খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৮

সংখ্যা: ১৯৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

الدنيا دار الفناء والاخرة دار البقاء

অর্থাৎ ‘দুনিয়া হচ্ছে অস্থায়ী জগৎ আর পরকাল হচ্ছে স্থায়ী জগৎ।’ আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাই অস্থায়ী জগৎ থেকে স্থায়ী জগতে প্রত্যাবর্তন করে থাকেন। শুধু পর্দার আড়ালে চলে যান। আর কিছু নয়। পর্দার আড়ালে চলে যান। এটাই যদি হয় হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অবস্থা তাহলে নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কি অবস্থা হবে? আর যিনি নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কি অবস্থা হবে? এটা চিন্তা-ফিকিরের বিষয়। সেটা কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-

ولاتقولوا لمن يقتل فى سبيل الله اموات بل احياء ولكن لاتشعرون.

æআল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যারা শহীদ হয়েছেন, উনাদেরকে তোমরা মৃত বলোনা বরং উনারা জিন্দা রয়েছেন, তোমরা সেটা বুঝতে পারছোনা।” এটা এক আয়াত শরীফ-এ বলা হয়েছে।

অন্য আয়াত শরীফ-এ বলা হয়েছে, আল্লাহ পাক তিনি বলেন যে দেখ-

ولا تحسبن الذين قتلوا فى سبيل الله اموات

æআল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যাঁরা শহীদ হয়েছেন উনাদেরকে মৃত বলোনা। এটা ধারণাও করোনা।”

আল্লাহ পাক বলেন, মৃততো বলা যাবেই না। শুধু তাই নয়, বরং যারা আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় শাহাদাত লাভ করেছেন উনাদের সম্পর্কে তোমরা এটা কস্মিনকালেও ধারণাও করোনা যে উনারা মারা গেছেন-

بل احياء عند ربهم يرزقون.

æবরং উনারা জীবিত রয়েছেন, আল্লাহ পাক উনার কাছে উনারা রিযিক পেয়ে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে রিযিক দিয়ে থাকেন, উনারা জীবিত রয়েছেন। মৃততো বলা যাবেই না। শুধু তাই নয়, মৃত ধারণাও করা যাবে না। আল্লাহ পাক তিনি বলেন, তোমরা এটা ধারণাও করোনা, এটা কল্পনাও করোনা যে, আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যাঁরা শাহাদাত বরণ করেছেন উনাদেরকে মৃত বলে। বরং উনারা জিন্দা রয়েছেন, শুধু জিন্দাই নয় উনারা আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে রিযিকও লাভ করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

এখন এটাই যদি হয়ে থাকে আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অবস্থা। হাক্বীক্বত উনাদের অবস্থা সেটাই। ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি বিছাল শরীফ-এর পরেও মাসয়ালার জাওয়াব দিয়েছেন। এটাই যদি হয়ে থাকে তাহলে অন্যান্য নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কি অবস্থা হবে? আর বিশেষ করে যিনি নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহলে উনার কি অবস্থা হবে, সেটা চিন্তা এবং ফিকিরের বিষয়। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে যে খুশি প্রকাশ করা যাবেনা, ইবলীস খুশি প্রকাশ করেছে এটা যেমন কুফরী কথা, ঠিক একইভাবে আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেদিন জমিনে এসেছেন সেদিনই আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতে চলে গেছেন কাজেই এটার শোক প্রকাশ করতে হবে একথাটাও বলা কুফরী। কারণ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্য সব অবস্থাতেই খুশি প্রকাশ করা এটাই হচ্ছে শরীয়তের নির্দেশ।

আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরীয়তের যা আদেশ নির্দেশ ছিলো তা সব বলে গেছেন, সব জানিয়ে দিয়ে গেছেন, আমল করে দেখিয়েছেন। কিভাবে বলতে হবে, করতে হবে, চলতে হবে সব স্পষ্ট করে তিনি বর্ণনা করেছেন। কাজেই এটা মনে রাখতে হবে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যেমন মৃত বলা যাবে না, উনি যেমন দুনিয়াবী জিন্দিগী মুবারকে দায়িত্ব পালন করেছেন, বণ্টন করেছেন, এখনও বণ্টনকারী রয়েছেন। আল্লাহ পাক তিনি যেমন এ সমস্ত ছিফতের অধিকারী ঠিক একইভাবে আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও অধিকারী। তবে আল্লাহ পাক হচ্ছেন আল্লাহ পাক হিসেবে ছিফতের অধিকারী। আর আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন আল্লাহ পাক উনার হাবীব হিসেবে। এতটুকু শুধু পার্থক্য। অন্য কোন পার্থক্য নেই। সেটাই আমরা বলে থাকি। আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা কেউ যদি বলতে চায় এককথায়, তাহলে এটা তাকে বলতে হবে, তিনি শুধু আল্লাহ পাক নন। এছাড়া অন্য সমস্ত ফযীলত, ছিফত, গুণ, মর্যাদা-মর্তবা যা কিছু রয়েছে সবই উনার রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা এবং সেজন্য ব্যবস্থা করা, মাহফিল করা প্রত্যেকটাই কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস সম্মত। কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসে এ সম্পর্কে কোন ইখতিলাফ নেই, মতবিরোধ নেই। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ এসেছেন, বিদায় নিয়েছেন এটাতে কোন হাক্বীক্বী ইখতিলাফ নেই। এটার মাশহূর বর্ণনা রয়েছে। কাজেই আল্লাহ পাক যেনো আমাদেরকে এটা করার তাওফীক দান করেন।  (সমাপ্ত)

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয’ এ শিরোনামে যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এ ১৫১তম সংখ্যা থেকে বর্তমান ১৯৮তম সংখ্যা পর্যন্ত যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, যামানার মহানতম মুজাদ্দিদ-মুজতাহিদ ও ইমাম, মুজাদ্দিদ আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার মূল্যবান ওয়াজ শরীফ এ সংখ্যা হতে শেষ করা হলো।

আগামী ১৯৯তম সংখ্যা হতে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে পবিত্র আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতমা সদস্য, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক সম্পর্কে ওয়াজ শরীফ পত্রস্থ করা হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ পাক তিনি তাওফীক দানের মালিক।

– সম্পাদক

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-  ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৯

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-  ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১০

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১১

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আ’লম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১২

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-   ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১৩