খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৩৫

সংখ্যা: ১৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা উম্মতের জন্য কতটুকু দায়িত্ব- কর্তব্য, এর কি ফাযায়িল-ফযীলত রয়েছে, গুরুত্ব-প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, কি খুছূছিয়ত, বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ করেন-

يايها الناس قد جائتكم موعظة من ربكم وشفاء لما فى الصدور. وهدى ورحمة للمؤمنين. قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون.

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-

  يايها الناس  হে মানুষেরা! আল্লাহ পাক এখানে সমস্ত মানুষকে সম্বোধন করে বলেছেন। শুধু ঈমানদারকে বলেননি।

قد جائتكم موعظة من ربكم وشفاء لما فى الصدور.

তোমাদের কাছে এসেছে আল্লাহ পাক-এর তরফ থেকে নছীহত-ইবরত এবং তোমাদের অন্তরের শিফা।

وهدى ورحمة للمؤمنين.

হিদায়েত এবং সমস্ত মু’মিনদের জন্য রহমত।

قل بفضل الله وبرحمته

হে আমার হাবীব! আপনি বলে দিন, তোমাদেরকে যে ফযল-করম দেয়া হয়েছে, ইসলাম দেয়া হয়েছে, ঈমান দেয়া হয়েছে, ইল্ম্ দেয়া হয়েছে।

وبرحمته

এবং আমার হাবীব; যিনি আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেয়া হয়েছে,

فبذلك فليفرحوا

এই জন্য তোমরা খুশি প্রকাশ করো, সন্তুষ্টি প্রকাশ করো।

هو خير مما يجمعون.

আল্লাহ পাকই বলে দিচ্ছেন, এটা হচ্ছে উত্তম, কিসের থেকে উত্তম? তোমরা যা জমা করে থাক। অর্থাৎ গইরুল্লাহ থেকে, আল্লাহ পাক ব্যতীত যা কিছু রয়েছে তা থেকে। তোমাদের  জন্য এটা অতি উত্তম যে, তোমরা আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্যে খুশি প্রকাশ করবে।

ঈমান দেয়া হয়েছে, ইসলাম দেয়া হয়েছে, ইল্্ম দেয়া হয়েছে, কিতাব দেয়া হয়েছে এবং সাথে সাথে যিনি আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; উনাকেও তোমাদের জন্য দেয়া হয়েছে। কাজেই, সে জন্য তোমরা খুশি প্রকাশ করো। এটা আল্লাহ পাক-এরই নির্দেশ।

আর আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ করেন।

যা তিরমিযী শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে যে,

আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন সকাল এগারটা বারোটার দিকে, যুহরের পূর্বের দিকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমদের নিয়ে কিছু খাদ্য খাচ্ছিলেন;

এমতাবস্থায় হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু; তিনি উপস্থিত হলেন। উপস্থিত হয়ে তিনি কোন খাদ্যই গ্রহণ করছিলেন না, চুপচাপ বসে রইলেন।

আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন,  হে আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! তোমার কি হয়েছে? সকলেই খাদ্য খাচ্ছে, তুমি চুপচাপ বসে রয়েছ।

তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমিতো আজকে রোযা রেখেছি।

এটা শুনে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! হে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! তোমরা সকলেই জেনে রাখ, তোমাদের যদি রোযা রাখতে হয় তাহলে তোমরা সোমবার দিন রোযা রেখ।

আমি সোমবার দিন এসেছি, আল্লাহ পাক-এর সাক্ষাতে যাব, আমার মি’রাজ শরীফ হয়েছে, নুবুওওয়াতের প্রকাশ ঘটেছে, হিজরত শরীফ হয়েছে, আমার বিশেষ বিশেষ কাজগুলো সংঘটিত হয়েছে সোমবার দিন।

কাজেই, তোমাদের যদি রোযা রাখতে হয় তাহলে সোমবার দিন রেখ।

এই হাদীছ শরীফ-এর মাধ্যম দিয়ে স্বয়ং আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতদেরকে তা’কিদ করলেন সোমবার দিনকে বিশেষ ভাবে তা’যীম-তাকরীম করার জন্য, পালন করার জন্য; এর যে গুরুত্ব রয়েছে, মর্যাদা রয়েছে সেটা স্পষ্ট করে বলে দিলেন।

কাজেই আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা,

প্রকৃত পক্ষে সেটা আল্লাহ্ পাক-এর নির্দেশ, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী, নূরে মুজাস্্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত।

যেটা আমরা অতীতে বলেছি, এই বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার কারণে কিছু বদ্ মাযহাব, বদ্ আক্বীদার লোক রয়েছে যারা এ সম্পর্কে এলোমেলো কথা বলে থাকে।

যেটা আবূ লাহাবের যে ওয়াকেয়া বলা হয়েছে সে কারণে তারা এটাকে লাহাবী উৎসবও বলে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! সেটাও আমরা আলোচনা করেছি। এবং আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলে যে ফযীলত রয়েছে সেটাও কিছুটা আলোচনা করা হয়েছে।

কারণ, স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী, নূরে মুজাস্্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করেছেন। হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণকে এ বিষয়ে ওয়াদা করিয়েছেন। যা সূরা আলে ইমরান-এর মধ্যে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-

واذ اخذ الله ميثاق النبين لما اتيتكم من كتب وحكمة ثم جاءكم رسول مصدق لما معكم لتؤمنن به ولتنصرنه قال ءاقررتم واخذتم على ذلكم اصرى قالوا اقررنا قال فاشهدوا وانا معكم من الشهدين.

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, সেই রোজে আযল, সৃষ্টির শুরুতেই।

واذ اخذ الله ميثاق النبين

সমস্ত নবী, সমস্ত রসূলগণদের থেকে আল্লাহ পাক ওয়াদা নিয়েছেন, শপথ নিয়েছেন।

لما اتيتكم من كتب وحكمة ثم جاءكم رسول  مصدق لما معكم لتؤمنن به ولتنصرنه

আল্লাহ পাক ওয়াদা নিয়েছেন, শপথ নিয়েছেন, হে আমার নবী, হে আমার রসূল আলাইহিমুস্ সালাম! আপনাদেরকে নুবুওওয়াত দেয়া হবে, রিসালত দেয়া হবে, কিতাব দেয়া হবে, তবে শর্ত হচ্ছে; আমার যিনি আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; উনার প্রতি ঈমান আনতে হবে, উনাকে পেলে উনার খিদমত করতে হবে। এই শর্তে আপনারা কী রাজি রয়েছেন?

قال ءاقررتم واخذتم على ذلكم اصرى

আপনারা কি এতে রাজি রয়েছেন?

এ শর্ত কি মানতে সম্মতি প্রকাশ করতেছেন?

এই ওয়াদা কি গ্রহণ করবেন আপনারা এই শর্ত অনুযায়ী?।

قالوا اقررنا.

উনারা সকলেই বললেন যে, হ্যাঁ, আমরা স্বীকার করলাম, মেনে নিলাম।

উল্লেখিত ওয়াদায় আমরা আবদ্ধ হলাম।

অর্থাৎ আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমরা নবীদের নবী, রসূলদের রসূল হিসেবে মেনে নিলাম এবং উনাকে পেলে আমরা অবশ্যই উনার খিদমত করবো।

আল্লাহ পাক বললেন,

قال فاشهدوا وانا معكم من الشهدين.

আপনারা সাক্ষী থাকুন; আল্লাহ পাক বললেন এবং তিনি নিজেও সাক্ষী থাকলেন। সুবহানাল্লাহ!

এখানে আল্লাহ পাক আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যে মর্যাদা-মর্তবা সেটা অনুষ্ঠান করে আনুষ্ঠানিকতার সহিত সমস্ত নবী, সমস্ত রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণকে জানিয়ে দিলেন- যে,

আল্লাহ পাক-এর হাবীব; তিনি আসবেন, আপনাদের সত্যতা প্রতিপাদন করবেন, আপনাদের যে কিতাব দেয়া হবে, আপনারা যে নবী, আপনারা যে রসূল, সেটা তিনি সত্য প্রতিপাদন করবেন। কাজেই সেই নবী, সেই রসূল উনার প্রতি আপনাদের ঈমান আনতে হবে, সাক্ষী দিতে হবে, স্বীকৃতি দিতে হবে, পেলে খিদমত করতে হবে ইত্যাদি শর্তে আল্লাহ পাক মজলিস করে, অনুষ্ঠান করে সেটা প্রকাশ করে দিলেন;

যে আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর আগমনের ব্যাপারটা, উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী সম্মানের ব্যাপারটা। উনার আগমনের কারণে আল্লাহ পাক স্বয়ং খুশি হয়েছেন, সেই খুশিটা প্রকাশ করে দিলেন।

সমস্ত নবী, সমস্ত রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণকে তাতে শরীক করে নিলেন।

কাজেই কালামুল্লাহ শরীফ-এ এ প্রকার আরো অনেক আয়াত শরীফ রয়েছে। সে সমস্ত আয়াত শরীফ-এর মাধ্যম দিয়ে হাক্বীক্বীভাবেই আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে, আগমন উপলক্ষে যে খুশি প্রকাশ করতে হবে; সেটা খুশির বিষয়, উম্মতের জন্য বান্দাদের জন্য নিয়ামতের বিষয়, সেটা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দিয়েছেন।

ঠিক একইভাবে স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার যে ফাযায়িল-ফযীলত রয়েছে, উনার আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার বিষয়টা, উনার মর্যাদা-মর্তবার যে বিষয়টা রয়েছে সেটা তিনি নিজেই প্রকাশ করেছেন।

তিনি নিজেই সেটা বলে দিয়েছেন। উনার আগমন উপলক্ষে অর্থাৎ বিলাদত শরীফ উপলক্ষে তোমরা খুশি প্রকাশ করবে।

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-

عن عباس رضى الله تعالى عنه انه جاء الى النبى صلى الله عليه وسلم فكانه سمع شيئا فقام النبى صلى الله عليه وسلم على المنبر فقال من انا فقالوا انت رسول الله صلى الله عليه وسلم قال انا محمد بن عبد الله بن عبد المطلب ان الله خلق الخلق  فجعلنى فى خيرهم ثم جعلهم فرقتين فجعلنى فى خيرهم فرقة ثم جعلهم قبائل فجعلنى فى خيرهم قبيلة ثم جعلهم بيوتا فجعلنى فى خيرهم بيتا فانا خيرهم نفسا وخيرهم بيتا.

হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, তিনি একদিন আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দরবার শরীফ-এ আসলেন।

فكانه سمع شيئا

তিনি এসে বুঝতে পারলেন যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; তিনি কিছু শুনেছেন।

অর্থাৎ কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন-বদ্দ্বীন যারা ছিল আবূ জেহেল, আবূ লাহাব, উতবা, শাইবা, মুগীরা এরা এবং এদের অনুসারী যারা ছিল ইহুদী-নাছারা মুশরিক, এই শ্রেণীর লোক যারা ছিল তারা আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কিছু এলোমেলো বক্তব্য পেশ করেছে, রটিয়েছে। সেটা আল্লাহ পাক-এর হাবীব শুনেছেন। শুনার কারণে কী করলেন-

فقام النبى صلى الله عليه وسلم على المنبر

আল্লাহ পাক-এর হাবীব সেটা শুনে মিম্বর শরীফ-এ উঠলেন,

فقال من انا

উঠে জিজ্ঞাসা করলেন, হে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আমি কে? অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর হাবীব বললেন যে, তিনি কে?

فقالوا انت رسول الله صلى الله عليه وسلم

সমস্ত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম যারা উপস্থিত ছিলেন সকলেই বললেন, হে আল্লাহ পাক-এর হাবীব! আপনিতো আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আল্লাহ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ জাওয়াব পেয়ে আল্লাহ পাক-এর হাবীব বললেন,

قال انا محمد بن عبد الله بن عبد المطلب.

আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যে নসবনামা রয়েছে সেটা তিনি বললেন। তিনি হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম-এর সন্তান এবং তিনি হচ্ছেন হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস্ সালাম-এর সন্তান। সিলসিলা বললেন।

এরপর বললেন যে দেখ,

ان الله خلق الخلق فجعلنى فى خيرهم

নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক যা সৃষ্টি করেছেন; তারমধ্যে উত্তম যে সম্প্রদায়, তারমধ্যে আমাকে রেখেছেন।

ثم جعلهم فرقتين فجعلنى فى خيرهم فرقة

অতঃপর আল্লাহ পাক দু’ফিরকাতে ভাগ করলেন, উত্তম যে ফিরক্বা বা সম্প্রদায় সেটাতে আমাকে রাখলেন। সুবহানাল্লাহ!

ثم جعلهم قبائل فجعلنى فى خيرهم قبيلة

অতঃপর অনেক কবীলাতে বা গোত্রে আল্লাহ পাক বিভক্ত করলেন, উত্তম যে কবীলা বা গোত্র সেই ক্ববীলাতে আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ পাক রাখলেন।

ثم جعلهم بيوتا فجعلنى فى خيرهم بيتا

অতঃপর আল্লাহ পাক অনেক ঘরে ঘরে ভাগ করলেন। উত্তম যে ঘর রয়েছে সেই ঘরে আল্লাহ পাক-এর হাবীব আখিরী নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ পাক রাখলেন।

فانا خيرهم نفسا وخيرهم بيتا.

অতঃপর আল্লাহ পাক-এর হাবীব বললেন যে দেখ, আমি ব্যক্তিগত দিক থেকে আমার গোত্র, সম্প্রদায়, ক্বওম, ক্ববীলা সব দিক থেকে শ্রেষ্ঠ এবং উত্তম। সুবহানাল্লাহ!

আল্লাহ পাক-এর হাবীব; উনার যে মর্যাদা রয়েছে, গুরুত্ব রয়েছে, ফাযায়িল-ফযীলত রয়েছে, সেটা আল্লাহ পাক-এর হাবীব নিজেই প্রকাশ করলেন। এবং উম্মতদেরকে সেটা জানিয়ে দিলেন যাতে উনার এই মর্যাদা-মর্তবা ফযীলতের কারণে উম্মত ইত্মিনান লাভ করতে পারে।

যে সমস্ত কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন-বদ্দ্বীন, মুনাফিক, তারা যে এলোমেলো বক্তব্য প্রদান করেছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বরং আল্লাহ পাক-এর হাবীব তিনি হাবীবুল্লাহ।

وما محمد الا رسول.

আল্লাহ পাক-এর হাবীব আল্লাহ পাক-এর রসূল, এ ব্যতীত তিনি অন্য কিছু নন।

কাজেই সেজন্য প্রত্যেক উম্মতের দায়িত্ব হবে খুশি প্রকাশ করা, ইত্মিনান হওয়া। সেটাই আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ করেছেন,

আল্লাহ পাক যেমন খুশি প্রকাশ করতে বলেছেন এবং ছানা-ছিফত করেছেন, খুশি প্রকাশ করেছেন ঠিক একইভাবে স্বয়ং আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও খুশি প্রকাশ করেছেন এবং করতে বলেছেন। সেটা হাদীছ শরীফ-এ বর্ণনা করা হয়েছে-

عن ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال جلس ناس من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فخرج حتى اذا دنا منهم سمعهم يتذاكرون قال بعضهم ان الله اتخذ ابراهيم خليلا وقال اخر موسى كلمه تكليما وقال اخر فعيسى كلمة الله وروحه وقال اخر ادم اصطفاه الله فخرج عليهم رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال قد سمعت كلامكم وعجبكم ان ابراهيم خليل الله وهو كذلك وموسى نجى الله وهو كذلك وعيسى روحه وكلمته وهو كذلك وادم اصطفاه الله وهو كذلك الا وانا حبيب الله ولا فخر وانا حامل لواء الحمد يوم القيمة تحته ادم عليه السلام فمن دونه ولا فخر وانا اول شافع واول مشفع يوم القيمة ولا فخر وانا اول من يحرك حلق الجنة فيفتح الله لى فيدخلنيها ومعى فقراء المؤمنين ولا فخر وانا اكرم الاولين والاخرين على الله ولا فخر.

(অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-২৮

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-২৯

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আল মালিক, আল মাখদূম, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, ইমামুল আইম্মাহ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হজ্জ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উমরা উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুম-আহকাম সম্পর্কে (২৫)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৩০

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৩১