খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৩১

সংখ্যা: ১৮১তম সংখ্যা | বিভাগ:

এজন্য হাদীছ শরীফে এসেছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর তা’যীম-তাকরীম অনেক বড় বিষয়। হক্কানী-রব্বানী আলিম, যাঁরা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াস মুতাবিক চলেন। উলামায়ে ‘ছু’ নয়, দুনিয়াদার মাওলানা নয়। দ্বীনদার, পরহেযগার আল্লাহওয়ালা আলিম যারা রয়েছেন, তাঁদের তা’যীম-তাকরীম করলেও জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ।

হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে-

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من زار عالما فكانما زارنى ومن زارنى فقد زار الله ومن زار الله  فقد غفرله.

আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেন যে দেখ, কেউ যদি কোন হক্কানী-রব্বানী আলিম-এর অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর ওলী যাঁরা রয়েছেন, আলিম যাঁরা রয়েছেন তাঁদের কেউ যদি যিয়ারত করে প্রকৃতপক্ষে সে যেন আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর যিয়ারত করলো। সুবহানাল্লাহ।

আর যে আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর যিয়ারত করলো সে যেন আল্লাহ পাক-এর যিয়ারত করলো। সুবহানাল্লাহ।

ومن  زار الله

আর যে আল্লাহ পাক-এর যিয়ারত করলো

فقد غفرله

“আল্লাহ পাক তার গুনাহ-খতা ক্ষমা করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ।

হক্কানী-রব্বানী আলিমকে তা’যীম-তাকরীম করলে যদি এতো ফযীলত হয় তাহলে আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে তা’যীম-তাকরীম করলে কতটুকু ফযীলত রয়েছে?

হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে-

من صلى خلف عالم فكانما صلى خلف نبى  ومن  صلى خلف نبى فقد غفر له.

আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেন, “কেউ যদি কোন হক্কানী-রব্বানী আলিম, অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর ওলী’র পিছনে নামায পড়ে সে যেন প্রকৃতপক্ষে কোন নবীর পিছনে নামায পড়লো।” সুবহানাল্লাহ। আর যে নবীর পিছনে নামায পড়লো আল্লাহ পাক তার যিন্দেগীর সমস্ত গুনাহ-খতা মাফ করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ।

যদি একজন আল্লাহ পাক-এর ওলীকে তা’যীম-তাকরীম করলে এ ফযীলত পাওয়া যায় তাহলে আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে তা’যীম-তাকরীম করলে কি পাওয়া যাবে? সেটাতো বলার অপেক্ষা রাখে না, কত ফযীলত রয়েছে, কত বুযুর্গী রয়েছে, কত সম্মান রয়েছে? ঠিক তার বিপরীত ফাসিক-ফুজ্জার যারা রয়েছে, বিদয়াতী, গোমরাহ এদের তা’যীম করলে আবার আল্লাহ পাক গোস্সা করেন। যারা গোমরাহ, বাতিল ফিরক্বা রয়েছে, বদ মাযহাব, বদ আক্বীদা এদেরকে তা’যীম করলে আল্লাহ পাক গোস্সা করেন।

হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-

عن ابراهيم بن ميسرة رحمة الله عليه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من وقر صاحب بدعة فقد اهان دين الاسلام.

আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেন যে দেখ, কোন বিদয়াতী, গোমরাহ, লোককে অর্থাৎ বদ মাযহাব, বদ আক্বীদা যারা, যারা আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর তা’যীম-তাকরীম বুঝে না, ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ফযীলত বুঝে না, এই বদ মাযহাব, বদ আক্বীদার যারা তাদেরকে কেউ যদি তা’যীম-তাকরীম করে তাহলে সে যেন দ্বীন ধ্বংসের কাজে  সাহায্য করলো। নাউযুবিল্লাহ।

কাজেই, এই ধরনের ফাসিক-ফুজ্জারদের ইজ্জত-সম্মান করা এটা আল্লাহ পাক-এর কাছে কঠিন ব্যাপার।

হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا مدح الفاسق  اهتز لـه العرش.

“আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেন, যারা ফাসিক, যারা গোমরাহ, যারা বাতিল মাযহাব, বদ মাযহাবের লোক এদের তা’যীম-তাকরীম করলে আল্লাহ পাক-এর আরশে মুয়াল্লা কেঁপে ওঠে।” নাউযুবিল্লাহ।

তাই যদি হয়ে থাকে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর ইতায়াত করার কারণে, হক্কানী-রব্বানী আলিম, যাঁরা আল্লাহ পাক-এর ওলী তাঁদের তা’যীম-তাকরীম করলে যদি জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়, গুনাহ-খতা মাফ হয়ে যায় তাহলে আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর অজুুদ মুবারক, আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করলে সেটার কত মর্যাদা রয়েছে? সেটা মানুষ ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না। ক্বিয়ামত পর্যন্ত অনন্তকাল ধরে সমস্ত কায়িনাত, সমস্ত মাখলূকাত যদি লিপিবদ্ধ করে, শেষ করতে পারবে না।

এখন আল্লাহ পাক-এর হাবীব এক দিক থেকে রহমত। যেটা বলা হয়েছে-

هدى ورحمة للمؤمنين. وما ارسلنك الا رحمة للعالمين.

“সমস্ত আলমের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠানো হয়েছে।” আরেক দিক থেকে নিয়ামত।

واما بنعمة  ربك  فحدث.

আল্লাহ পাক বলেন, তোমাদেরকে যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে তোমরা সেটা প্রকাশ করো। সবচেয়ে বড় নিয়ামত হচ্ছেন আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কারণ, আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর জন্যেই সমস্ত কায়িনাত সম্মানিত হয়েছে, ফযীলতপ্রাপ্ত হয়েছে। আমরা যে আশরাফুল মাখলূকাত হয়েছি, আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর জন্যই। তিনি সবচেয়ে বড় নিয়ামত। যেটা আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ-এর অন্যত্র বলেছেন-

يا ايها الناس اذكروا نعمة  الله  عليكم.

তোমাদেরকে যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে সে বিষয় তোমরা আলোচনা করো, সে বিষয় মানুষকে জানিয়ে দাও, বলে দাও। আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে এটা জানা থাকলে প্রকাশ করো, মানুষকে বলে দাও। কারণ, যদি জানার পরও কেউ প্রকাশ না করে, জানিয়ে না দেয় তাহলে সে তো আমানতের খিয়ানতকারী হবে। আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর জন্যই মানুষ, সমস্ত কায়িনাত জাহান্নাম থেকে বেঁচেছে, আগুন থেকে বেঁচেছে, গইরুল্লাহ থেকে বেঁচে গেছে। কাজেই, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হচ্ছেন সবচেয়ে বড় নিয়ামত।

কাজেই, নিয়ামতের জন্য খুশি প্রকাশ করা, প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য। আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর ছানা-ছিফত বর্ণনা করা ফাযায়িল-ফযীলত বর্ণনা করা দায়িত্ব-কর্তব্য। যে যতটুকু করবে তার জন্য ততটুকু কামিয়াবী রয়েছে। যেটা আল্লাহ পাক বলেন-

فاذكرونى  اذكركم

তোমরা আমার আলোচনা কর, আমার স্মরণ কর, আমি তোমাদের স্মরণ করব।

واشكرولى ولا تكفرون.

আমার নিয়ামতের শুকরিয়া করো, অস্বীকার করো না, কুফরী করো না। কুফরী করলে কঠিন শাস্তি রয়েছে। কুফরী করলে কঠিন শাস্তি রয়েছে।

যেটা আল্লাহ পাক নিজেই বলেন-

لئن شكرتم لازيدنكم  ولئن كفرتم ان عذابـى  لشديد.

তোমরা যদি আমার নিয়ামতের শুকরিয়া করো আমি নিয়ামত বৃদ্ধি করে দিব। আর অস্বীকার করলে কঠিন আযাব রয়েছে। আল্লাহ পাক বললেন, আমার আযাব কঠিন তোমরা সেটা যেনে রেখ-

ان  عذابى  لشديد.

আমার আযাব নিশ্চয়ই অনেক কঠিন।

এখন শুকরিয়া করলে আল্লাহ পাক নিয়ামত বৃদ্ধি করে দিবেন। কি বৃদ্ধি করে দিবেন? আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর ফাযায়িল-ফযীলত, ছানা-ছিফত, প্রশংসা কেউ যদি করে উনাকে তা’যীম-তাকরীম করে, কি বৃদ্ধি করে দিবেন? আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত বৃদ্ধি করে দিবেন, উনার তায়াল্লুক, নিসবত বৃদ্ধি করে দিবেন, উনার ওসীলায় বান্দার মর্যাদা, ফযীলত যা কিছু রয়েছে, তার ইহকাল, পরকালে আল্লাহ পাক সবকিছু তাকে যথাযথভাবে সেটা বৃদ্ধি করে তাকে সম্মানিত করে দিবেন, ফযীলত দিয়ে দিবেন। আল্লাহ পাক তাকে বুযূর্গ করে দিবেন। (অসমাপ্ত)

ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যূমুয্যামান, কুতুবুল আরম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউছূল আযম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, ছহিবু সুলতানিন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসুল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহকাম-৩৭

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম,ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৩৯

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাত রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম,ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪০

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪১

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪২