ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭৬

সংখ্যা: ১৮২তম সংখ্যা | বিভাগ:

-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

‘মুহ্ইস সুন্নাহ’ লক্বব মুবারক প্রসঙ্গেঃ

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর জিন্দাকৃত বা পুনঃ প্রচলন করা কতিপয় সুন্নতের বিবরণঃ

 (৩) “রুমাল”

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেছেন, রুমাল পরিধান করা বা ব্যবহার করা খাছ সুন্নত। তা পাগড়ীর উপর হোক অথবা পাগড়ী ছাড়া শুধু টুপির উপর হোক।

হাদীছ শরীফে উল্লেখ রয়েছে,

عن عائشة رضى الله تعالى عنها قالت ما اتى رسول الله صلى الله عليه وسلم احدا من نسائه الا متقنعا يرخى الثوب على رأسه حياء.

অর্থঃ “হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বলেন, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখনই উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের কারো নিকট আসতেন তখন (রুমাল দিয়ে) মাথা মুবারক ঢেকে আসতেন। তিনি হায়ার কারণে স্বীয় মাথা মুবারকের উপর কাপড় (রুমাল) পরিধান করতেন।” (মসনদে আয়িশা, হাশীয়ায়ে আবূ দাউদ/২০৯)

উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত হাদীছ শরীফে متقنعا শব্দটি تقنع শব্দ থেকে এসেছে। আর  تقنع শব্দের অর্থ হলো-

وضع شيئ الزائد على الرأس فوق العمامة

অর্থঃ تقنع হলো মাথায় পাগড়ীর উপরে অতিরিক্ত একটি কাপড় (রুমাল) পরিধান করা।” (বুখারী শরীফ ২/৮৬৪, ফতহুল বারী ১০/২২৪, উমদাতুল কারী ২১/৩০৯)

تقنع  শব্দের ব্যাখ্যায় অন্যত্র বলা হয়েছে,

تغطية الرأس واكثر الوجه برداء او غيره

অর্থঃ “মাথা এবং চেহারার অধিকাংশ কোন চাদর অথবা অন্য কোন কাপড় (রুমাল) দিয়ে ঢেকে রাখা।” (বুখারী শরীফ ২/৮৬৪, ফতহুল বারী ১০/২২৪, উমদাতুল কারী ২১/৩০৮)

এছাড়া অনেক হাদীছ শরীফে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের রুমাল ব্যবহারের কথাও বর্ণনা করা হয়েছে।

 (বুখারী শরীফ, আহমদ, আবূ দাউদ শরীফ,  দারেমী, ইবমে মাযাহ্, মিশকাত, ফতহুল বারী, উমদাতুল কারী, বযলুল মাযহুদ, ইরশাদুস্সারী, ফতহুর রব্বানী, আউনুল মা’বুদ, মিরকাত, আশয়াতুল লুময়াত, লুময়াত, ত্বীবী, তালীক্ব, মোযাহেরে হক্ব, মসনদে আয়েশা, মসনদে আহমদ, আরবাঈন ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি, আল মুর্শিদুল আমীন, নেহায়া, লুগাতুল হাদীস, লিসানুল আরব, লুগাতে হিরা, মিছবাহুল লুগাত, মু’জামুল ওয়াসীত, কামুছ ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, টুপি, পাগড়ীর ন্যায় রুমাল পরিধান করাও দায়িমী সুন্নত। নামাযের সময় এবং নামাযের বাইরের সময় উভয় অবস্থাতেই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রুমাল পরিধান করেছেন।

সুতরাং রুমাল মাথায় দিয়ে চলাচল করলে কিংবা নামায আদায় করলে “মেয়েদের মতো ঘোমটা দিয়ে চলাচল করে ও নামায পড়ে,” ইত্যকার কথা সম্পূর্ণ কুরআন-সুন্নাহ্র পরিপন্থী। আর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি মিথ্যা তোহ্মত দেয়া এবং তাঁর খাছ সুন্নতি আমলের প্রতি ইহানত করার শামীল যা স্পষ্টতঃ কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। আর আক্বাঈদের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে,

اهانة السنة كفر

অর্থঃ- “সুন্নতের ইহানত করা কুফরী।”

এ ধরণের কুফরী কথা বলা হতে সকলকে বিরত থাকতে হবে। আর এ ধরণের কথা যে বলবে, তাকে খালিছ ইস্তিগ্ফার ও তওবা করতে হবে। অন্যথায় তার ঈমান-আমল নষ্ট হয়ে কুফরী অবস্থায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। (আল্ ফিক্বহুল আক্বার, শরহে আকাঈদে নছফি,  আকাঈদে হাক্কা, তাক্মিলুল ঈমান) (অসমাপ্ত)

জলীলুর ক্বদর, আলিয়্যুল হিম্মাহ, কাছীরুয্ যিক্রা, হাদীদুত্ ত্বরফাইন, মুবদিউস্ সালাম, জামিলুল খলক্ব, আমীনুস্ সামা, মুযহিরুশ শরীয়াহ, ক্বাতিলুল খাওয়ারিজ, আফীফুন্ নাফস,, আত্বইয়াবুন্ নাস, বদরুল মুনীল, আকরামুন্ নাস, খইলুল আ’লামীন, দারুল হিকমাহ, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম-  রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকে পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২৯

দলীলুল খইরাত, যখীরাতুল্লাহ, যুল খুলুক্বিল আযীম, রহমাতুল উম্মাহ, রফীউদ্ দারাজাত, রুহুল হক্ব, রুকনুল মুতাওয়াদ্বিয়ীন, যইনুল ইবাদ, সাইয়্যিদুছ্ ছাক্বালাইন, ছাহিবুল বুরহান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩০

দলীলুল খইরাত, যখীরাতুল্লাহ, যুল খুলুক্বিল আযীম, রহমাতুল উম্মাহ, রফীউদ্ দারাজাত, রুহুল হক্ব, রুকনুল মুতাওয়াদ্বিয়ীন, যইনুল ইবাদ, সাইয়্যিদুছ্ ছাক্বালাইন, ছাহিবুল বুরহান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩১

 দলীলুল খইরাত, যখীরাতুল্লাহ, যুল খুলুক্বিল আযীম, রহমাতুল উম্মাহ, রফীউদ্ দারাজাত, রুহুল হক্ব, রুকনুল মুতাওয়াদ্বিয়ীন, যইনুল ইবাদ, সাইয়্যিদুছ্ ছাক্বালাইন, ছাহিবুল বুরহান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩১

যিকরুল্লাহ বিল খাইর, হাবীবু রব্বিল আ’লামীন, রউফুম বিল মু’মিনীন, জালিলুস্ সাক্বালাইন, ক্বাওওয়ামুল লাইল, ছাওওয়ামুন্ নাহার, আহসানুত্ তাযকিরাহ, খতীবুল আউলিয়া, আশিদ্দাউ আলাল কুফ্ফার, সা’দুল খালায়িক, ছাহিবুদ্ দারাজাত, ইমামুল আ’ইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩২