ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭২

সংখ্যা: ১৭৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

‘মুহ্ইস সুন্নাহ’ লক্বব মুবারক প্রসঙ্গেঃ

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর জিন্দাকৃত বা পুনঃপ্রচলন করা কতিপয় সুন্নতের বিবরণ।

নতুন পাগড়ী পরিধানের সময় দোয়া করা সুন্নতঃ

আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নতুন জামা এবং পাগড়ী পরিধান করতেন তখন তিনি এই বলে দোয়া করতেন-

اللهم لك الحمد انت كسوتنيه اسألك من خيره وخير ما صنع له  واعوذبك من شره وشرما صنع له.

অর্থঃ æআয় আল্লাহ পাক! সমস্ত প্রশংসা আপনারই। আপনি আমাকে এই কাপড় পরিধান করিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ এবং ঐ সমস্ত কল্যাণও কামনা করছি, যে উদ্দেশ্যে একে তৈরি করা হয়েছে। আর এর অকল্যাণ এবং ঐ সমস্ত অকল্যাণ থেকেও আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যে উদ্দেশ্যে একে তৈরি করা হয়েছে। (আবু দাঊদ শরীফ-২/২০২, বযলুল মাজহুদ-৬/৩৯, আউনুল মাবুদ-৪/৭৪, তিরমিযী-১/২০৯, তোহ্ফাতুল আহ্ওয়াযী-৫/৪৬০, শামাইলুত তিরমিযী-৬, আরিদ্বাতুল আহ্ওয়াযী-৭/২৬৭, জামউল ওয়াসাইল-১/১৩৯, আহ্মদ-৩/৩০,৫০, মিশকাত-৩৭৫, মিরকাত-৮/২৫২, ত্বীবি-৮/২১৭, জুরকানী-৬/২০৮)

নতুন পাগড়ী জুমুয়ার দিন থেকে শুরু করা সুন্নত। (যাদুল মা’য়াদ, আল বাইয়্যিনাত ৯৬তম সংখ্যা)

ইমামাহ বা পাগড়ী দাঁড়িয়ে বাঁধাই সুন্নত ও আদব। আর বসে বসে পাগড়ী বাঁধা সুন্নাতের খিলাফ। (মিরকাত-৮/২৫০, জামউল ওয়াসাইল-১/২০৭, আল মাখযাল-১/১০৬)

হাফিজ বুরহানুদ্দীন নাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘কালাইদুল ইকয়ান’ কিতাবে উল্লেখ করেছেন, æবসে পাগড়ী বাঁধা এবং দাঁড়িয়ে সেলোয়ার পরিধান করা দারিদ্র্যতা ডেকে আনে এবং মেধাশক্তি দুর্বল করে দেয়।” (যুরকানী-৬/২৫৮, গিয়াউল আলবাব-২/২৫২ অন্যের মাথায় পাগড়ী বেঁধে দেয়া সুন্নত। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন-

عممنى رسول  الله  صلى الله  عليه  وسلم

অর্থঃ আল্লাহ পাক-এর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে পাগড়ী বেঁধে দিয়েছেন। (হাশিয়ায়ে আবু দাঊদ শরীফ-২/২০৯, উমদাতুল কারী-২১/৩০৭, নাইলুল আওতার-২/১১২, তোহফাতুল আহ্ওয়াযী-৫/৪১২, বজলুল মাযহুদ-৬/৫২, আওনুল মা’বুদ-৪/৯৬, মিশকাত-৩৭৪, আল বাইয়্যিনাত-৯৬তম সংখ্যা)

মাথায় রুমাল, গামছা, তোয়ালে বা কোন কাপড়ের টুকরা পরিধানের দ্বারা পাগড়ীর সুন্নত আদায় হবে নাঃ

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রাসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ম্দ্দুা জিল্লুহুল আলী বলেন- æমাথায় রুমাল, গামছা, তোয়ালে, কোন কাপড়ের টুকরা ইত্যাদি দিয়ে পাগড়ীর মত বাঁধলে তা দ্বারা পাগড়ী পরার সুন্নত আদায় হবে না। কারণ-

১. দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের তারতম্যঃ সাধারণত পাগড়ীর দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে- তিন হাত, সাত হাত এবং বারো হাত। আর প্রস্থ হচ্ছে অর্ধ-হাত, এক হাত, দেড় হাত এবং দুই হাত। কিন্তু রুমাল, গামছা, তোয়ালে কিংবা কাপড়ের টুকরার সেই দৈর্ঘ্য-প্রস্থ থাকে না।

২। রং এর তারতম্যঃ সাদা, সবুজ, কালো এই তিন রংয়ের পাগড়ী হতে হবে। ইহা ব্যতীত অন্যান্য রং যেমন- লাল, কুসুম, হলুদ, জাফরানী ইত্যাদি রংয়ের পাগড়ী হারাম ও মাকরূহ্্ তাহরীমি।

পক্ষান্তরে রুমাল, গামছা, তোয়ালে কিংবা কাপড়ের টুকরার কোন রং নির্দিষ্ট করা হয়নি। যদিওবা রুমাল খাছভাবে সাদাই হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য যে, পুরুষের জন্য লাল রুমাল পরিধান করা হারাম। আর অধিকাংশ লাল মিশ্রিত থাকলে মাকরূহ তাহরীমী। এটাই হানাফী মাযহাবের মু’তাবার (গ্রহণযোগ্য) ফতওয়া। (ফাতহুল মুলহীম-৪/৫৫৪, ৫৫৩ আবু দাঊদ শরীফ’-২/২০৮ আশয়াতুল লুময়াত- ৩/৫৪২ ফাতহুল বারী-১/৪৮৫ তোহ্ফাতুল আহ্ওয়াযী-৫/৩৯০,৩৯১,৩৯২ আল বাইয়্যিনাত শরীফ-১৫৩-১৬৩ তম সৎখ্যা)। (অসমাপ্ত)

জলীলুর ক্বদর, আলিয়্যুল হিম্মাহ, কাছীরুয্ যিক্রা, হাদীদুত্ ত্বরফাইন, মুবদিউস্ সালাম, জামিলুল খলক্ব, আমীনুস্ সামা, মুযহিরুশ শরীয়াহ, ক্বাতিলুল খাওয়ারিজ, আফীফুন্ নাফস,, আত্বইয়াবুন্ নাস, বদরুল মুনীল, আকরামুন্ নাস, খইলুল আ’লামীন, দারুল হিকমাহ, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম-  রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকে পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২৯

দলীলুল খইরাত, যখীরাতুল্লাহ, যুল খুলুক্বিল আযীম, রহমাতুল উম্মাহ, রফীউদ্ দারাজাত, রুহুল হক্ব, রুকনুল মুতাওয়াদ্বিয়ীন, যইনুল ইবাদ, সাইয়্যিদুছ্ ছাক্বালাইন, ছাহিবুল বুরহান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩০

দলীলুল খইরাত, যখীরাতুল্লাহ, যুল খুলুক্বিল আযীম, রহমাতুল উম্মাহ, রফীউদ্ দারাজাত, রুহুল হক্ব, রুকনুল মুতাওয়াদ্বিয়ীন, যইনুল ইবাদ, সাইয়্যিদুছ্ ছাক্বালাইন, ছাহিবুল বুরহান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩১

 দলীলুল খইরাত, যখীরাতুল্লাহ, যুল খুলুক্বিল আযীম, রহমাতুল উম্মাহ, রফীউদ্ দারাজাত, রুহুল হক্ব, রুকনুল মুতাওয়াদ্বিয়ীন, যইনুল ইবাদ, সাইয়্যিদুছ্ ছাক্বালাইন, ছাহিবুল বুরহান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩১

যিকরুল্লাহ বিল খাইর, হাবীবু রব্বিল আ’লামীন, রউফুম বিল মু’মিনীন, জালিলুস্ সাক্বালাইন, ক্বাওওয়ামুল লাইল, ছাওওয়ামুন্ নাহার, আহসানুত্ তাযকিরাহ, খতীবুল আউলিয়া, আশিদ্দাউ আলাল কুফ্ফার, সা’দুল খালায়িক, ছাহিবুদ্ দারাজাত, ইমামুল আ’ইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩২