ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭৭

সংখ্যা: ১৮৩তম স | বিভাগ:

-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

 

‘মুহ্ইস সুন্নাহ’ লক্বব মুবারক প্রসঙ্গেঃ

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর জিন্দাকৃত বা পুনঃ প্রচলন করা কতিপয় সুন্নতের বিবরণঃ

লাল রুমাল পরিধানের আহকামঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবসময় সাদা রুমাল পরিধান করতেন। কাজেই সাদা রুমাল পরিধান করা খাছ  সুন্নত। পুরুষের জন্য লাল কাপড় পরিধান করা তিনি পছন্দ করতেন না।

কাজেই, লাল রংয়ের রুমাল, পাগড়ী, জামা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান করা জায়িয নেই।

হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

عن عبد الله بن عمرو قال مر النبى صلى الله عليه وسلم رجل و عليه ثوبان احمران فسلم عليه فلم يرد عليه.

অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন এক ব্যক্তি দুটি লাল কাপড় পরিহিত অবস্থায় আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে সালাম দেন। কিন্তু তিনি তার সালামের জাওয়াব দেননি। (তিরমিযী শরীফ, আবু দাউদ শরীফ)

এরূপ আরো অনেক হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। যার উপর ভিত্তি করে হানাফী মাযহাবের সকল ইমাম-মুজতাহিদ এবং আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ ফতওয়া দিয়েছেন যে, “পুরুষের জন্য লাল কাপড় পরিধান করা জায়িয নেই। সম্পূর্ণ লাল হলে হারাম, অধিকাংশ লাল হলে মাকরূহ তাহরীমী। আর কম অংশ লাল হলে মাকরূহ তানযীহী। আর এটাই হচ্ছে হানাফী মাযহাবের মুখতার বা গ্রহণযোগ্য ফতওয়া। (মিরকাত, আশয়াতুল লুময়াত, ফতহুল মুলহিম, নাইলুল আওতার, মাসিক আল বাইয়্যিনাত-১৫৩-১৬০তম সংখ্যা)

তবে শাফিয়ী বা অন্যান্য মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক পরিধান করা জায়িয রয়েছে। আর এটাও স্মরণীয় যে, হানাফী মাযহাবের অনুসারীগণের জন্য শাফিয়ী বা অন্য কোন মাযহাবের (মাসয়ালার উপর) আমল করা জায়িয নেই। এ ব্যাপারে উম্মতের ইজমা বা ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (তাফসীরে আহমদী-৩৪৬, দুররুল মুখতার-১/৬)

রুমাল দিয়ে পাগড়ী বাঁধার আহকাম

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসুল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, রুমাল দিয়ে পাগড়ীর মত বাঁধলে পাগড়ীর সুন্নত আদায় হবে না। বরং তা হবে স্পষ্টই বিদয়াত। কারণ, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবিয়ীন, তাবে-তাবিয়ীনগণ কেউই রুমাল দ্বারা পাগড়ী বাঁধেননি। পরবর্তী কিছু লোক অজ্ঞতাবশতঃ রুমাল দ্বারা পাগড়ীর মত করে বাঁধার প্রচলন করেছে। যা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য। আর সুন্নত আদায় না হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে-

১.         দৈর্ঘ্যরে তারতম্য: পাগড়ীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে তিন হাত, সাত হাত এবং বার হাত। আর মাথার রুমালে এ দৈর্ঘ্যরে পরিমাপ থাকে না।

২.         প্রস্থের তারতম্য: পাগড়ীর প্রস্থ হচ্ছে অর্ধ হাত, এক হাত, দেড় হাত, দুই হাত। আর রুমালে তা থাকে না।

৩.         তাছাড়া উছূল রয়েছে-

وضع الشىء فى محله عدل ووضع الشىء فى غير محله ظلم

অর্থঃ “যে জিনিস যে জন্য তৈরী হয়েছে তা সে কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ইনছাফ বা আদব। আর তার বিপরীত ব্যবহার করা জুলুম বা অন্যায়।”

৪. রুমাল দ্বারা পাগড়ী বাঁধার কারণে রুমাল পরিধান করার সুন্নত হতে বঞ্চিত হতে হয়।

৫.         রুমাল দ্বারা পাগড়ী বাঁধার দ্বারা পাগড়ী পরিধানের মত দায়িমী ও গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতের বিলুপ্তি ঘটে। কাজেই যাদের দ্বারা এই সুন্নতের বিলুপ্তি ঘটবে তারা সবাই বিদয়াতীদের কাতারে শামিল হবে। আর বিদয়াত জারী করার কঠিন গুনাহে গুনাহগার হবে।

 

সাইয়্যিদুল কাওম, মাহবুবুল মা’বুদ, মুছতামবিতুল ইশারাত, রাইয়াতুল মুহতাদীন, নূরুল মুতয়ীন, ওলীউল মুত্তাক্বীন, ইমামুল আদিলীন, কুদওয়াতুল মুত্তাক্বীন, যীনাতুল আরিফীন, ছহিবুল কালবিল উকুল, আহদুল ওয়াফী, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয যামান, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৮

 ইমামুল খইর, আল আর্বারু বিল্লাহ, আহসানুন্ নাস, আখিযুছ্ ছদাক্বাত, আরহামুন্ নাছি বিল ইবাদ, ছাহিবু আহসানিল ক্বওল, আল আ’লামু  বিল্লাহ, আকরামুল আউলিয়াইল্লাহ, আল্ আমির ওয়ান্ নাহী, আছদাকু ফিল্লাহ, যীনাতুল আরিফীন, ছাহিবুল ক্বালবিল উকূল, আহ্দুল ওয়াফী, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৯

মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাওলানা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৯৫ বিবাহের কতিপয় সুন্নত মুবারক-৬

রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম  মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২০

ইমামুল খইর, আল আর্বারু বিল্লাহ, আহসানুন্ নাস, আখিযুছ্ ছদাক্বাত, আরহামুন্ নাছি বিল ইবাদ, ছাহিবু আহসানিল ক্বওল, আল আ’লামু  বিল্লাহ, আকরামুল আউলিয়াইল্লাহ, আল্ আমির ওয়ান্ নাহী, আছদাকু ফিল্লাহ, যীনাতুল আরিফীন, ছাহিবুল ক্বালবিল উকূল, আহ্দুল ওয়াফী, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২১ –