মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاللهُ وَرَسُوْلُهٗۤ أَحَقُّ أَنْ يُّرْضُوْهُ إِنْ كَانُوْا مُؤْمِنِيْنَ
অর্থ: তারা যদি মু’মিন হয়ে থাকে তাহলে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার সম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট করা। কেননা উনারাই সন্তুষ্টি-রেযামন্দি পাওয়ার সর্বাধিক হক্বদার। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৬)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
رِضْوَانٌ مِّنَ اللهِ أَكْبَرُ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারকই হচ্ছেন সবচেয়ে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি রেযামন্দি হচ্ছে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত মুবারক। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭২)
কাজেই বিবাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দিকে প্রাধান্য দেয়া আবশ্যক। সেক্ষেত্রে নিজের মতকে, নিজের নফসানিয়াতকে প্রধান্য দেয়া উচিত নয়।
এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ কুরবত-নৈকট্য সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত ছাহাবী হযরত জুলাইবিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বিবাহের বিষয়টি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য।
উল্লেখ্য যে, কোন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের মানহানিকর তথা সম্মান-মর্যাদার খিলাফ কথা-বার্তা বলা, শুনা সম্মানিত ঈমান উনার খিলাফ। যারা মানহানীকর কথা-বার্তা বলবে ও শুনবে কিংবা সমর্থন করবে তারা কেউই ঈমানদার থাকতে পারবে না। উনাদের উত্তম বিষয়গুলো আলোচিত হবে। অপ্রিয় বা সাধারণের বোধগম্য নয় এমন বিষয়গুলো আলোচনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা বা বিশ্বাস। কাজেই আমরা শুধুমাত্র ইবরত-নছীহত গ্রহণ করার জন্য উনার ছাওয়ানেহ উমরী মুবারক থেকে কিছু আলোচনা করবো। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেকে ক্ষমা করুন।
সাইয়্যিদুনা হযরত জুলাইবিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছূরত লম্বা ও বর্ণের দিক থেকে কিছু ব্যতিক্রম ছিলেন। আর সমাজে উনার প্রভাব-প্রতিপত্তি না থাকার কারণে সাধারণ মানুষের সাথে উনার তেমন কোন সম্পর্ক ছিলো না।
কিন্তু মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা উনাকে অত্যধিক মুহ্ববত করতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে উনার পরিবারভুক্ত করে নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত জুলাইবিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আমার থেকে এবং আমি উনার থেকে।
সাইয়্যিদুনা হযরত জুলাইবিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সবসময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতেন।
একসময় নূরে মুজাসাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফে তাশরীফ মুবারক নিলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত জুলাইবিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে বিলম্ব করেননি। তিনি প্রতিদিনই উনার পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেন। খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেন এমনভাবে যেন, তিনি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সদস্য।