জলীলুর ক্বদর, আলিয়্যুল হিম্মাহ, কাছীরুয্ যিক্রা, হাদীদুত্ ত্বরফাইন, মুবদিউস্ সালাম, জামিলুল খলক্ব, আমীনুস্ সামা, মুযহিরুশ শরীয়াহ, ক্বাতিলুল খাওয়ারিজ, আফীফুন্ নাফস,, আত্বইয়াবুন্ নাস, বদরুল মুনীল, আকরামুন্ নাস, খইলুল আ’লামীন, দারুল হিকমাহ, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম-  রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকে পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২৯

সংখ্যা: ১৩৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালিম

(ধারাবাহিক) কুরআন শরীফে ‘পীরে কামিল’ শব্দের প্রয়োগঃ     ‘পীরে কামিল’-এ শব্দ বা বাক্যটি যদিও সরাসরি কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফে নেই। তবে মূল বিষয় বা তার আলোচনা ও বর্ণনা রয়েছে। যেমন শব্দ হিসেবে নেই- ‘নামায, রোযা, দুরূদ’ ইত্যাদি। কারণ এগুলো উর্দূ, ফার্সী শব্দ। আরবী ভাষায় নাযিলকৃত কুরআন শরীফে তা হুবহু কিভাবে থাকতে পারে? তবে তার প্রতিশব্দ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফে আছে। কুরআন শরীফে ‘পীর ছাহেবকে’ সাধারণত ‘ওলী ও  মুর্শিদ’ বলা হয়েছে।  মহান আল্লাহ পাক তাঁরা কালাম পাকে ইরশাদ হয়েছে,

 من يهد الله فهو المهتد ومن يضلل فلن تجد له وليا مرشدا.

 অর্থঃ- “যে হিদায়েত চায়; আল্লাহ পাক তাকে হিদায়েত দান করেন। আর যে গোমরাহীতে দৃঢ় থাকে সে ওলী-মুর্শিদের ছোহবত (সংস্পর্শ) পায় না।” (সূরা কাহফ্/১৭) ولى (ওলী) শব্দের বহুবচন হচ্ছে اولياء (আওলিয়া)। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,

 الا ان اولياء الله لاخوف عليهم ولاهم يحزنون.

 অর্থঃ- “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক-এর ওলীগণের কোন ভয়ভীতি নেই এবং তাঁরা কোন প্রকার চিন্তিত হবেন না।” (সূরা ইউনুছ/৬২) নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম এবং আওলিয়ায়ে কিরামগণ হচ্ছেন আল্লাহ পাক-এর বিশেষ নিয়ামতপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব। আল্লাহ পাক বলেন,

 والله يختص برحمته من يشاء.

 অর্থঃ- “আল্লাহ পাক যাকে ইচ্ছা তাকে তাঁর বিশেষ রহমত দ্বারা ভুষিত করেন।” (সূরা বাক্বারা/১০৫)

 الله يجتبى اليه من يشاء ويهدى اليه من ينيب.

 অর্থঃ- “আল্লাহ পাক যাকে ইচ্ছা খাছভাবে মনোনীত করেন এবং যে তাঁর দিকে রুজু (অভিমূখী) হয় তাকে হিদায়েত দান করেন।” (সূরা শূরা/১৩)         উল্লেখ্য, ইবাদত-বন্দিগী, যিকির-ফিকির, রিয়াজত, মুশাক্কাত করলে ওলী-আওলিয়া হওয়া যায় কিন্তু নবী-রসূল হওয়া যায় না। অনুরূপভাবে আওলিয়ায়ে কিরামগণের মধ্যে বিশেষ এক শ্রেণীর আওলিয়ায়ে কিরাম আছেন তাঁরাও নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের মত বিশেষভাবে মনোনীত। যিকির-ফিকির ইবাদত-বন্দিগী, রিয়াজত, মুশাক্কাতের দ্বারা তাঁদেরও মাক্বাম বা মর্যাদা হাছিল করা সম্ভব নয়। সুতরাং একথা অতি সহজেই অনুধাবনীয় যে, ওলী-আওলিয়া এবং মুর্শিদগণ বিভিন্ন মাকাম বা শ্রেণীতে বিভক্ত।  আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,

 انعم الله عليهم من النبين والصديقين والشهداء والصلحين.

 অর্থঃ- “আল্লাহ পাক নবী-রসূল, ছিদ্দীক, শহীদ এবং ছালিহীনগণকে (বিশেষ) নিয়ামত দান করেছেন।” (সূরা নিসা/৬৯)           নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ হচ্ছেন এক তব্কা (স্তর)। আর ছিদ্দীক, শহীদ এবং ছালেহগণ হচ্ছেন আওলিয়ায়ে কিরামের তবকা (স্তর)। অর্থাৎ ছিদ্দীক, শহীদ, ছালেহ হচ্ছেন আওলিয়ায়ে কিরামগণের মাকামের স্তর।           আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নৈকট্য, রেযামন্দীর কোন সীমা-পরিসীমা নেই। আর নৈকট্য ও রেযামন্দী অনুযায়ী ওলী-আওলিয়া, মুর্শিদগণ মাকাম বা মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। তবে নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের শ্রেণী বিন্যাস করা তথা মর্যাদা-মর্তবার পার্থক্য করা যেমন উম্মতের জন্য জায়িয নেই তেমনি আওলিয়ায়ে কিরামগণের শ্রেণী বিন্যাস করা তথা মর্যাদা-মর্তবার তারতম্য ঘটানো জায়িয নেই। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে,

 لانفرق بين احد من رسله.

 অর্থঃ- “আমরা আল্লাহ পাক-এর রসূলগণের মধ্যে কোন পার্থক্য করিনা।” (সূরা বাক্বারা/২৮৫)

সাইয়্যিদুল কাওম, মাহবুবুল মা’বুদ, মুছতামবিতুল ইশারাত, রাইয়াতুল মুহতাদীন, নূরুল মুতয়ীন, ওলীউল মুত্তাক্বীন, ইমামুল আদিলীন, কুদওয়াতুল মুত্তাক্বীন, যীনাতুল আরিফীন, ছহিবুল কালবিল উকুল, আহদুল ওয়াফী, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয যামান, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৮

 ইমামুল খইর, আল আর্বারু বিল্লাহ, আহসানুন্ নাস, আখিযুছ্ ছদাক্বাত, আরহামুন্ নাছি বিল ইবাদ, ছাহিবু আহসানিল ক্বওল, আল আ’লামু  বিল্লাহ, আকরামুল আউলিয়াইল্লাহ, আল্ আমির ওয়ান্ নাহী, আছদাকু ফিল্লাহ, যীনাতুল আরিফীন, ছাহিবুল ক্বালবিল উকূল, আহ্দুল ওয়াফী, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৯

মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাওলানা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৯৫ বিবাহের কতিপয় সুন্নত মুবারক-৬

রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম  মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২০

ইমামুল খইর, আল আর্বারু বিল্লাহ, আহসানুন্ নাস, আখিযুছ্ ছদাক্বাত, আরহামুন্ নাছি বিল ইবাদ, ছাহিবু আহসানিল ক্বওল, আল আ’লামু  বিল্লাহ, আকরামুল আউলিয়াইল্লাহ, আল্ আমির ওয়ান্ নাহী, আছদাকু ফিল্লাহ, যীনাতুল আরিফীন, ছাহিবুল ক্বালবিল উকূল, আহ্দুল ওয়াফী, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২১ –