তাফসীরুল কুরআন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৯৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

তরজমা: হে মানুষেরা! তোমাদের যিনি রব তায়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট তাশরীফ মুবারক এনেছেন (আমার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিনি মহান নছীহতকারী, যিনি অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, যিনি মহান হিদায়েত দানকারী এবং যিনি (আমভাবে সমস্ত আলম বা কায়িনাতবাসীর জন্য আর খাছভাবে) মু’মিনদের জন্য মহান রহমত দানকারী। (আমার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফদ্বল মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক স¦রূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য অবশ্যই তারা যেন খুশি মুবারক প্রকাশ করে অথার্ৎ উম্মতের জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করা ফরযে আইন বা অপরিহার্য কর্তব্য। এই খুশি মুবারক প্রকাশ সংক্রান্ত আমল বা ইবাদত হচ্ছে তাদের সমস্ত ইবাদত বা আমল অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)

তাফসীর: মূলতঃ যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উনার মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি খুশি মুবারক প্রকাশ করতঃ অনন্তকালের জন্য ছানা-ছিফত মুবারক করে যাচ্ছেন। অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যারা উম্মতের অন্তর্ভুক্ত- ফেরেশ্তা, জিন, ইনসান, পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে, ছোট-বড়, জামাদাত, শাজারাত, হাজারাত, জীব-জড় সকলের প্রতি খুশি মুবারক প্রকাশ করতঃ উনার ছানা-ছিফত মুবারক করা ফরয-ওয়াজিব করে দিয়েছেন। এ সম্পর্কে পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ উনার ৫৬ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-

إِنَّ اللهَ وَمَلَآئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَاۤ أَيُّـهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُـوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করেন। হে ঈমানদারগণ! উনার প্রতি তোমরাও পবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করো এবং পবিত্র সালাম মুবারক পেশ করার মতো পেশ করো।

অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি খুশি মুবারক প্রকাশ করতঃ উনার ছানা-ছিফত মুবারক করা বা পবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার আমল মুবারকের অন্তর্ভুক্ত। আর উক্ত আমল মুবারকেরই তাজদীদী নাম মুবারক হচ্ছে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। যা প্রকাশ করেছেন বর্তমান হিজরী পঞ্চদশ শতকের মহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, পবিত্র রাজারবাগ শরীফের সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি।

উল্লেখ্য, উম্মতকে রহমত, নিয়ামত, হিদায়েত, মাগফিরাত, নাজাত, ফযীলত, মহব্বত, তায়াল্লুক-নিছবত, কুরবত-কামিয়াবী, রেজামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে হলে সর্বশ্রেষ্ঠ দুটি আমল মুবারক করতে হবে। (এক) যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার আমল মুবারক অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। (দুই) মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আমল মুবারক অর্থাৎ পবিত্র সুন্নত মুবারক।

তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরণের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৫

তাফসীরুল কুরআন: যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৬

তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৭

তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৮

তাফসীরুল কুরআন: যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ১০