يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ
তাফসীর : মহান আল্লাহ পাক তিনি উল্লেখিত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খাছভাবে মু’মিনদের জন্য আর আমভাবে কায়িনাতবাসী সকলের জন্য সম্মানিত ফদ্বল ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে প্রেরণ করেছেন এবং সর্বশ্রেষ্ঠ এই নিয়ামত মুবারক লাভ করার কারণে তাদেরকে আদেশ মুবারক করেছেন, তারা যেন অবশ্যই খুশি মুবারক প্রকাশ করে। এই খুশি মুবারক প্রকাশ করাটা তাদের সমস্ত ইবাদত থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। সুবহানাল্লাহ!
এখন কখন, কিভাবে বা কোন নিয়মে খুশি মুবারক প্রকাশ করবে এ বিষয়টি যিনি মহাসম্মানিত আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ছাহিবু সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ সুলত্বানুন নাছীর সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ওয়াক্ত বা সময় হিসেবে খুশি মুবারক প্রকাশ করতে হলে প্রত্যহ “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আওক্বাত শরীফ” অথার্ৎ ছুবহি ছাদিক্ব শুরু হওয়ার মুহূর্তটিতে এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিছ ছায়াত শরীফ অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের সময় দুপুর প্রায় ১২টায় পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে খুশি মুবারক প্রকাশ করতে হবে। আর দিন বা বার হিসেবে খুশি মুবারক প্রকাশ করতে হলে “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ অথার্ৎ ইয়াওমুল ইছনাইন শরীফ (সোমবার) পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে খুশি মুবারক প্রকাশ করতে হবে। আর তারিখ হিসেবে খুশি মুবারক প্রকাশ করতে হলে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ বা ১২ই শরীফ পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে খুশি মুবারক প্রকাশ করতে হবে। আর মাস হিসেবে খুশি মুবারক প্রকাশ করতে হলে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূর অর্থাৎ পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ পুরো মাসব্যাপী পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে খুশি মুবারক প্রকাশ করতে হবে।
স্মরণীয় যে, সুলত্বানুন নাছীর সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে অনন্তকাল ব্যাপী সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারী করেছেন। উনার মাঝে আবার পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূর পবিত্র ১২ই শরীফ উনার সম্মানার্থে বিশেষ ইন্তেজামে ৯০দিন ব্যাপী মাহফিল করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং ইন্তেজামও করে যাচ্ছেন।
স্মরণীয় যে, পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ وَهُوَ لَيْـلَةُ اثْـنَـىْ عَشَرَ مِنْ رَّبِيْع الْاَوَّلِ بِاتِّـخَاذِهٖ فِيْـهَا طَعَامًا كُنْتُ لَهٗ شَفِيْـعًا يَّـوْمَ الْقِيَامَةِ
অর্থ: সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খাতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার সম্মানিত বিলাদত শরীফ পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ মহিমান্বিত রাত বা দিবস (লোকজনকে) খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে সম্মানের সাথে পালন করবে, আমি ক্বিয়ামতের দিন অর্থাৎ ইহকাল-পরকাল সবসময় তার জন্য সুপারিশকারী হবো। সুবহানাল্লাহ! (নি’মতে কুবরা উর্দূ ১১ পৃষ্ঠা)
আরো উল্লেখ্য, সুলত্বানুন নাছীর সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, বান্দার পক্ষ থেকে সবোর্চ্চ মাক্বাম হচ্ছে আবদিয়াতের মাক্বাম। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সবোর্চ্চ মাক্বাম হচ্ছে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
কাজেই, যে ব্যক্তি বা উম্মত পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ যত বেশি, যত সুন্দর করে, যত ব্যাপকভাবে, জওক-শওকের সাথে, মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম, সম্মান-ইয্যত, আদব সহকারে এবং পরিপূর্ণ সাখাওয়াতি বা বদান্যতার সাথে পালন করবে তিনি ততবেশি মর্যাদা-মর্তবার অধিকারী হবেন, ততবেশি রহমত, বরকত, ফযীলত, নিয়ামত মুবারক লাভ করবেন, সর্বোপরি তিনি ততবেশি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অথার্ৎ উনাদের মুহব্বত, মা’রিফাত, তায়াল্লুক, নিছবত, কুরবত, রেযামন্দী-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তাফসীরুল কুরআন: যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৬
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৭
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৮
তাফসীরুল কুরআন: যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ১০
তাফসীরুল কুরআন: যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ১১