তাফসীরুল কুরআন সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ. وَهُدًى وَّرَحْـمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

তরজমা: “হে মানুষেরা! তোমাদের মহাসম্মানিত রব তায়ালা উনার তরফ থেকে মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য মহান রহমত দানকারী তোমাদের নিকট তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন। (অতএব, আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ফদ্বল ও মহাসম্মানিত রহমতস¦রূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের প্রতি কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি মুবারক প্রকাশ করা। এই খুশি মুবারক প্রকাশের ইবাদত হচ্ছে তাদের সমস্ত ইবাদত অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)

তাফসীর: মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কায়িনাতবাসী তথা উম্মতের নিকট পাঠানোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে যাতে উনার আনুগত্য মুবারক করা হয়। যেমন এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন-

وَمَاۤ أَرْسَلْنَا مِنْ رَّسُوْلٍ إِلَّا  لِيُطَاعَ بِإِذْنِ اللهِ

অর্থ: আমি মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এজন্যই প্রেরণ  করেছি যেন মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক আদেশে উনার আনুগত্য মুবারক করা হয়। (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৪)

কেননা উনার আনুগত্য বা অনুসরণ ব্যতিরেকে কেউ হিদায়েত লাভ করতে পারে না।

এ মর্মে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَإِنْ تُطِيْعُوْهُ تَهْتَدُوْا

অর্থ: আর তোমরা যদি উনার অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্য করো তবেই তোমরা হিদায়েত লাভ করবে। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ:পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৪)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ

অর্থ: মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে আনুগত্য করবে, সে মহান আল্লাহ পাক উনারই আনুগত্য করলো। (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮০)

মূলকথা হচ্ছে উম্মতের পক্ষে মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্য বা অনুসরণ ব্যতীত মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য বা অনুসরণ আদৌ সম্ভব নয়। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্যের বিষয়টি উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্যের উপর নির্ভরশীল। কেউ নামায পড়–ক, যাকাত আদায় করুক, রোযা রাখুক, হজ্জ করুক, কুরবানী করুক, টুপি পরিধান করুক, পাগড়ী পরিধান করুক, রুমাল পরিধান করুক, কোর্তা পরিধান করুক, লুঙ্গি পরিধান করুক, খাবার গ্রহণ করুক, পানিয় গ্রহণ করুক, শয়ন করুক, হাটা-চলা বা চলা-ফেরা করুক, বিবাহ-শাদী করুক ইত্যাদি যে কোন বিষয়ে অনুসরণ করতে হলে তাকে অবশ্যই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করতে হবে বা উনারই আনুগত্য করতে হবে। উনার আনুগত্য বা অনুসরণ করলেই সে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত, ক্ষমা ও অনুগ্রহ লাভে ধন্য হবে। সুবহানাল্লাহ! যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قُلْ إِنْ كُنتُمْ تُـحِبُّونَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِي يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ ۗ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

অর্থ: “আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!” আপনি (উম্মতকে) বলে দিন, তোমরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করেই থাক তাহলে আমার (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার) আনুগত্য বা অনুসরণ করো। তাহলেই মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন, তোমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, দয়ালু অর্থাৎ তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু হয়ে যাবেন। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)

অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করলে উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল হওয়ার সাথে সাথে যিনি খ্বলিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনারও মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল হবে। সুবহানাল্লাহ! আর এটাই মূলত বান্দা ও উম্মতের চূড়ান্ত কামিয়াবী ও চূড়ান্ত চাওয়া পাওয়ার বিষয়।

তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরণের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৪

তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরণের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৫

তাফসীরুল কুরআন: যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৬

তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৭

তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৮