-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- পহেলা বৈশাখের তথাকথিত সংস্কৃতির বিরুদ্ধ চেতনায় উজ্জীবিত হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে বলা মুসলমানের জন্য ফরজ-ওয়াজিব ও সাংবিধানিক অধিকার। সরকারের জন্যও পহেলা বৈশাখের নামে বেলেল্লাপনা রোধ করা সাংবিধানিক কর্তব্য। রাজাকার, আল বাদর, জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী, ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের ইল্্ম ও আমালী আদর্শ দ্বারা পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি রুখতে ব্যর্থ হয়েছে।

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

-মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

  যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, æপহেলা বৈশাখের তথাকথিত সাংস্কৃতির বিরুদ্ধ চেতনায় উজ্জীবিত হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে বলা মুসলমানের জন্য ফরজ-ওয়াজিব ও সাংবিধানিক অধিকার। সরকারের জন্যও পহেলা বৈশাখের নামে বেলেল্লাপনা রোধ করা সাংবিধানিক কর্তব্য। রাজাকার, আল বাদর, জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী, ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের ইল্্ম ও আমালী আদর্শ দ্বারা পহেলা বৈশাখের সাংস্কৃতি রুখতে ব্যর্থ হয়েছে।”

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন মহলের নানা উৎসাহ, উদ্দীপনা, ব্যাপক প্রস্তুতি ও এর পক্ষে বিভিন্ন বক্তব্য ও মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, বাদশাহ আকবর ৯৬৩ হিজরী তথা ১৫৫৮ খ্রিস্টাব্দে আর কথিত বাঙ্গালি জাতির সংস্কৃতির ইতিহাস দাবি করা হয় হাজার বছরেরও ঊর্ধ্বে। তাহলে পহেলা বৈশাখ কী করে বাঙ্গালি সাংস্কৃতির চেতনা হতে পারে?

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, পহেলা বৈশাখ মূলতঃ আকবরী সংস্কৃতি, মোঘল সংস্কৃতি। এদেশের গণমানুষের সাংস্কৃতি নয়, শাসিতের সাংস্কৃতি নয় বরং শাসকের সাংস্কৃতি।

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, বাদশাহ আকবর ছিলো চরম কুশলী রাজনীতিক। ধর্ম তার কাছে মুখ্য ছিলো না, ছিলো ক্ষমতা। সারা পাক ভারতব্যাপী তার ক্ষমতাকে সুসংঘ করার দরকারেই সে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ সবাইকে গুলিয়ে দ্বীনে ইলাহী ধর্মমত প্রবর্তন করেছিলো। আজকের পহেলা বৈশাখও আকবরের সে দ্বীনে ইলাহীর প্রকৃষ্ট প্রতিফলন হচ্ছে। পহেলা বৈশাখের নামে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব বাঙ্গালির নামে একাকার করে মূলতঃ আকবরের দ্বীনে ইলাহীর অনুসারী হিসেবেই পর্যবসিত করা হয়। অথচ তাতে মুসলমানের মুসলমানিত্ব পুরোটা নষ্ট হয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, æতোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। এবং মারা যেয়োনা মুসলমান না হয়ে।” এ আয়াত শরীফ থেকে সাব্যস্ত হয় যে, মুসলমানের জন্য কোন অবস্থায়ই কোনো মুহূর্তে ইসলাম ও মুসলমানিত্বের খিলাফ কোন কাজ করা সম্ভব নয়। মৃত্যু পর্যন্ত তাকে মুসলমান থাকতে হবে এবং মুসলমানরূপেই তাকে মরতে হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, এদেশের সংবিধানের শুরুতে লেখা হয়েছে ‘বিসমিল্লার্হি রহমানির রহীম’। প্রস্তাবনায় লেখা হয়েছে, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-উনার নামে।’ ইসলামকে এদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সে হিসেবে সরকারের উচিত ইসলাম বিরুদ্ধ এসব সাংস্কৃতিকে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের প্রেক্ষিতে, ইসলাম বিরুদ্ধ এ অপসাংস্কৃতিকে বন্ধ করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, সংবিধানের ৪১ নম্বর অনুচ্ছেদে মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষিত হয়েছে। আর ইসলামের আলোকে মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার তখনই সংরক্ষিত হবে যখন ইসলাম স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করতে পারবে। আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, æযখন তোমরা অন্যায় কাজ দেখো তখন তাতে বাধা দিও। সে ক্ষমতা না থাকলে মুখে বলো। তারও ক্ষমতা না থাকলে অন্তর থেকে ঘৃণা কর।” এ হাদীছ শরীফ অনুযায়ী পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে বলা মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার। তবে বোমাবাজি করা, জীবনে মেরে ফেলা, কোন ধ্বংসাত্মক বা আক্রমণাত্মক কাজ করা ইসলাম সম্মত নয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী, ধর্মব্যবসায়ীরা বোমাবাজি করে মানুষ হত্যা করছে। পুলিশের উপর নির্বিচারে আক্রমণ করছে। মসজিদের জায়নামায পুড়িয়ে দিচ্ছে। অথচ এসব কাজই ইসলামে হারাম।

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, ধর্মব্যবসায়ী, মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী, রাজাকার, জামাতি, খারিজী, ওহাবী, দেওবন্দী তাদের ইল্্ম ও আমল দ্বারা তথাকথিত পহেলা বৈশাখের সাংস্কৃতিকে রুখে পারেনি। বরং একদিকে তারা নিজেরাই পহেলা বৈশাখকে বড় নিয়ামত বলেছে অপরদিকে তারা জঙ্গিপনা ও বোমাবাজি করেছে। অথচ দু’টোই শক্ত হারাম ও কবীরা গুনাহ। 

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার (খইরে কাছির) দান করেছি।’ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ বা সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর।যা পালন করা মুসলমানদের জন্য তো অবশ্যই বরং সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরয-ওয়াজিব। তাই সকলকে এখন থেকেই তা যথাযথভাবে তা’যীম-তাকরীমের সহিত পালন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আয় আল্লাহ পাক! হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে হাদী ও হিদায়েতপ্রাপ্ত করুন এবং তাঁর দ্বারা লোকদের হিদায়েত দান করুন। হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শুধু ছাহাবীই নন, বরং মর্যাদাপূর্ণ, জলীলুল ক্বদর কাতিবে ওহী ও গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা ছাহাবী এবং ন্যায় পরায়ন খলীফাও ছিলেন। সুতরাং আশুরার আলোচনায় তাঁর সম্পর্কে সাবধানে কথা বলতে হবে। নচেৎ কুফরী করে ঈমান হারা হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তোমরা সম্মিলিতভাবে আল্লাহ পাক-এর রজ্জুকে আঁকড়িয়ে ধর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। ইসরাইল ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মুসলমানদের শহীদ করছে; অথচ কোন মুসলিম দেশই এর আদৌ প্রতিবাদ করছে না। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, সব মুসলমান মিলে একটা দেহের ন্যায়, দেহের কোন এক স্থানে আঘাত পেলে তা সারা দেহেই সংক্রমিত হয় তাই ইসলাম ও শরীয়তের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনে মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধে পৃথিবীর ২৫০ কোটিরও বেশি মুসলমানের প্রত্যেকের এগিয়ে আসা ফরয-ওয়াজিব। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আমি তাঁদের (নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের) প্রতি ওহী পাঠাতাম। আশুরা উপলক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে যারা বলে থাকে যে, আল্লাহ পাক-এর নবী হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক-এর নির্দেশ ব্যতীতই হিজরত করেছেন এবং গাছের নিকট আশ্রয় চেয়েছেন। তাই তিনি গযবস্বরূপ গাছের মধ্যে করাতের দ্বারা দ্বিখণ্ডিত হয়েছেন। (নাঊযুবিল্লাহ) আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে তাদের এ বক্তব্য ও আক্বীদা সম্পূর্ণভাবেই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এরূপ কুফরী আক্বীদা থেকে তওবা করা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, আমি তোমাদের নিকট রিসালত-এর দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাই না। তবে আমার আত্মীয়-স্বজনদের ও বংশধরদের সাথে সদাচরণ করবে। আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আমার আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য। খাছ আহলে বাইত-এর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শরীয়তের দৃষ্টিতে আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করা ফরয আর বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম