-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- শতকরা পঁচানব্বই ভাগ মুসলমানের এই দেশে মাত্র পাঁচভাগ বিধর্মীদের সব ধর্মীয় দিনে সরকারি ছুটি না দিয়ে ঐচ্ছিক ছুটি দেয়া উচিত। বুদ্ধ পূর্ণিমার ক্ষেত্রেও তাই করা উচিত পাশাপাশি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষঙ্গের দিনগুলোতে সরকারি ছুটি বাড়ানো উচিত।দ

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

-মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আ’ইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, শতকরা পঁচানব্বই ভাগ মুসলমানের এই দেশে মাত্র একভাগ বৌদ্ধদের ধর্মীয় দিন ‘বুদ্ধ পুর্ণিমায়’ সরকারি ছুটির ব্যবস্থা না করে ঐচ্ছিক করা উচিত এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষঙ্গের দিনগুলোতে সরকারি ছুটি বাড়ানো উচিত।”

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটির ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় রাজারবাগ শরীফ-এ এক আলোচনা মজলিসে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, এদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়েছে। সংবিধানের প্রস্তাবনায় সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-উনার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সরকারি ছুটিতে ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটানো হয়নি।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে ইসলামের অন্যতম অনুষঙ্গ মিরাজ শরীফ-এ সরকারি ছুটি দেয়া হয়নি। লাইলাতুর রগায়িব, ফাতিহা-ই ইয়াযদাহম, আখিরী চাহার শোম্বাহ, ৬ই রজব ইত্যাদিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। অথচ এদিনগুলোর রয়েছে সুগভীর ইসলামী ঐতিহ্য, ফযীলত ও বরকত। কিন্তু এসব দিনে সরকারি ছুটি না থাকায় মুসলমানরা তার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে না। এসব মুবারক দিনের ফায়দা হাছিল করতে পারে না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে যারা মুসলমান নয় তাদের সম্পর্কে আল্লাহ পাক ‘সূরা আলে ইমরান’ এর ৯১ পৃষ্ঠায় ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই যারা কাফির এবং কাফির অবস্থায়ই মারা গেছে তাদের কেউ যদি কুফরীর কাফ্ফারা বাবদ যমীন পরিপূর্ণ স্বর্ণও প্রদান করে তথাপি তার থেকে সেটা গ্রহণ করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং তাদের জন্য কোন সাহায্যকারীও থাকবে না।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে ইসলাম আসার পর অন্য সব ধর্ম বাদ বা রদ করে দেয়া হয়েছে এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বগণকেও অনুসরণ ও অনুকরন করা নিষেধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, সেই আল্লাহ পাক- উনি উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েত ও সত্য দ্বীন ইসলাম দিয়ে যমীনে পাঠিয়েছেন পিছনের ওহী দ্বারা নাযিলকৃত সমস্ত দ্বীন এবং পিছনের এবং সামনের মানবরচিত যাবতীয় মতবাদ বাতিল বা রদ করে দিয়ে। এর সাক্ষী হিসেবে স্বয়ং আল্লাহ পাকই যথেষ্ট।” (সূরা ফাত্হ-২৮)

কাজেই যারা কুফরী করেছে ও কুফরী অবস্থায় মারা গেছে তাদের প্রশংসা করা ও মূল্যায়ন করা ইসলামের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। বরং হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ফাসিকের প্রশংসা করলে আল্লাহ পাক উনার আরশ কাঁপে।” তাহলে কাফিরের প্রশংসা করলে কী হবে?

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, অনেকে গৌতম বুদ্ধকে ইসলামের নবী বলে প্রচার করতে চায়। কিন্তু এর কোন দলীল নেই। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, æতোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকলে দলীল পেশ কর।”

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, কোন নবীকে নুবওওয়াত দেয়া হয়নি, কোন রসূলকে রিসালত দেয়া হয়নি যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার উপর ঈমান না এনেছেন। অর্থাৎ সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার উম্মত। আর কোন নবী-রসূলই র্শিক করেননি, পূজা করেননি এবং কোন অবৈধ বা হারাম কাজ কখনো করেননি।

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, দেশে আজ মুসলমানদের জন্য, অন্যান্য নবী আলাইহিমুস্ সালামগণ, উম্মুল মু’মিনীনগণ, হযরত ছাহাবায়ে কিরামগণ, ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরামগণ উনাদের সরকারিভাবে মূল্যায়নের কোন উদ্যোগ নেই। উনাদের স্মৃতিচারণে কোন সরকারি ছুটির ব্যবস্থা নেই। কিন্তু মুসলমানকে বিধর্মীয় ব্যক্তির স্মৃতিচারণে বাধ্য করে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মুসলমানের কাছে অনেক সম্মানের ও ঈমানী অঙ্গ তথা অনুষঙ্গের বিষয়গুলোতে সরকারি ছুটি না দিয়ে মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুণœ করা হচ্ছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, সরকারের উচিত এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা। মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার যথাযথ সংরক্ষণ করা। হিন্দু-বৌদ্ধদের ধর্মীয় দিনের ঐতিহ্য শতকরা পঁচানব্বই ভাগ মুসলমানের উপর চাপিয়ে না দেয়া। 

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার (খইরে কাছির) দান করেছি।’ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ বা সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর।যা পালন করা মুসলমানদের জন্য তো অবশ্যই বরং সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরয-ওয়াজিব। তাই সকলকে এখন থেকেই তা যথাযথভাবে তা’যীম-তাকরীমের সহিত পালন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আয় আল্লাহ পাক! হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে হাদী ও হিদায়েতপ্রাপ্ত করুন এবং তাঁর দ্বারা লোকদের হিদায়েত দান করুন। হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শুধু ছাহাবীই নন, বরং মর্যাদাপূর্ণ, জলীলুল ক্বদর কাতিবে ওহী ও গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা ছাহাবী এবং ন্যায় পরায়ন খলীফাও ছিলেন। সুতরাং আশুরার আলোচনায় তাঁর সম্পর্কে সাবধানে কথা বলতে হবে। নচেৎ কুফরী করে ঈমান হারা হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তোমরা সম্মিলিতভাবে আল্লাহ পাক-এর রজ্জুকে আঁকড়িয়ে ধর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। ইসরাইল ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মুসলমানদের শহীদ করছে; অথচ কোন মুসলিম দেশই এর আদৌ প্রতিবাদ করছে না। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, সব মুসলমান মিলে একটা দেহের ন্যায়, দেহের কোন এক স্থানে আঘাত পেলে তা সারা দেহেই সংক্রমিত হয় তাই ইসলাম ও শরীয়তের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনে মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধে পৃথিবীর ২৫০ কোটিরও বেশি মুসলমানের প্রত্যেকের এগিয়ে আসা ফরয-ওয়াজিব। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আমি তাঁদের (নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের) প্রতি ওহী পাঠাতাম। আশুরা উপলক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে যারা বলে থাকে যে, আল্লাহ পাক-এর নবী হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক-এর নির্দেশ ব্যতীতই হিজরত করেছেন এবং গাছের নিকট আশ্রয় চেয়েছেন। তাই তিনি গযবস্বরূপ গাছের মধ্যে করাতের দ্বারা দ্বিখণ্ডিত হয়েছেন। (নাঊযুবিল্লাহ) আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে তাদের এ বক্তব্য ও আক্বীদা সম্পূর্ণভাবেই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এরূপ কুফরী আক্বীদা থেকে তওবা করা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, আমি তোমাদের নিকট রিসালত-এর দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাই না। তবে আমার আত্মীয়-স্বজনদের ও বংশধরদের সাথে সদাচরণ করবে। আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আমার আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য। খাছ আহলে বাইত-এর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শরীয়তের দৃষ্টিতে আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করা ফরয আর বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম