-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, শান-শওকত সম্পর্কে অবগত হও কেননা উনারা হিদায়েত ও ‘ছিরাতুল মুস্তাক্বীম’-এর উপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত। কারণ উনারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী। তাই মুসলমানদের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- মুর্হরমুল হারাম মাসে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের ফাযায়িল-ফযীলত ছানা-ছিফত বর্ণনা করা ও মুহব্বত প্রকাশ করা। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

সংখ্যা: ১৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এক ক্বওল শরীফ-এ এ কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মূলতঃ মুর্হ্রম মাসসহ সারা বৎসরই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের ফাযায়িল-ফযীলত বর্ণনা করা ও উনাদের মুহব্বত প্রকাশ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। তবে বিশেষভাবে পবিত্র মুর্হ্রম মাসে উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত বর্ণনা করা ও মুহব্বত প্রকাশ করতে বলার কারণ হলো- মুর্হ্রম মাসের দশ তারিখ আশূরার দিনে কারবালায় সংঘটিত ইয়াযিদের অপকর্মকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ বিশিষ্ট ছাহাবী, কাতিবে ওহী, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর সমালোচনা করে থাকে। যা ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। তাই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- বিশেষভাবে মুর্হ্রম মাসে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের বেশি বেশি ফাযায়িল-ফযীলত বর্ণনা করা ও মুহব্বত প্রকাশ করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক-এর রসূল এবং তাঁর খাদিম বা ছাহাবীগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহ পাক-এর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাঁদেরকে রুকূ ও সিজদাবনত দেখবেন। তাঁদের মুখম-লে রয়েছে সিজদার চিহ্ন। তাঁদের এরূপ অবস্থা তাওরাত শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে। আর ইঞ্জীল শরীফ-এ তাঁদের অবস্থা এরূপ বর্ণিত রয়েছে, যেমন একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় ডাল-পালা। অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং দৃঢ়ভাবে কা-ের উপর দাঁড়ায়, কৃষককে আনন্দে অভিভূত করে। অর্থাৎ ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের সংখ্যা চারা গাছের অনুরূপ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। যেমন তাঁরা শুরুতে অল্প সংখ্যক হবেন, এরপর তাঁদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং শক্তি অর্জিত হবে, যাতে তাঁদের দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জ্বালা বা হিংসার সৃষ্টি হয়। যারা ঈমান আনয়ন করে এবং নেক আমল করে আল্লাহ পাক তাঁদেরকে ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন। অর্থাৎ সমস্ত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণকে ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের ওয়াদা দেয়া হয়েছে।” (সূরা ফাতহ্-২৯)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, উল্লিখিত আয়াত শরীফ-এ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণের গুণাবলী, শ্রেষ্ঠত্ব ও বিশেষ  লক্ষণাদি বর্ণনা করা হয়েছে। যদিও নুযূল খাছ তবে হুকুম হচ্ছে আম অর্থাৎ এতে সকল ছাহাবায়ে কিরামগণই দাখিল রয়েছেন। অর্থাৎ সমস্ত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ছিলেন পরস্পর পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল আর কাফিরদের প্রতি কঠোর। আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া  সাল্লাম-এর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই আক্বাইদ, ইবাদত, মুয়ামিলাত, মুয়াশারাত, তাছাউফ ইত্যাদি সবই করেছেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হাদীছ শরীফ-এ হযরত ছাহাবা আজমাঈন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের অনুসরণ ও অনুকরণ এবং ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। “যে ব্যক্তি শরীয়তের সঠিক তরীক্বা অনুসরণ করতে চায়, তার উচিত যারা অতীত হয়েছেন, তাঁদেরকে অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রিয় ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের অনুসরণ করা। তাঁরা উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম। আত্মার দিক দিয়ে তাঁরা অধিক পবিত্র। ইল্মের দিক দিয়ে গভীর। তাঁরা লোক দেখানো আমল করা হতে মুক্ত। আল্লাহ পাক তাঁদেরকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্যে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথী হিসেবে মনোনীত করেছেন। সুতরাং, তাঁদের মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, শান-শওকত সম্পর্কে অবগত হও এবং তাঁদের কথা ও কাজের অনুসরণ কর এবং যথাসম্ভব তাঁদের সিরত-ছূরত তথা মুবারক জীবনাদর্শকে গ্রহণ কর, কারণ তাঁরা হিদায়েত ও ‘ছিরাতুল মুস্তাক্বীম’-এর উপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত।” (মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা ৩২)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ, যাঁদের প্রতি আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট এবং তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সন্তুষ্ট, যাঁদেরকে আল্লাহ পাক জান্নাতী বলে কুরআন শরীফ-এ ঘোষণা করেছেন, যাঁদের পথ ও মত অনুসরণকারীরাও নাজাতপ্রাপ্ত, যাঁদেরকে আল্লাহ পাক অগাধ জ্ঞানের অধিকারী করেছেন, যাঁদের যুগকে সর্বোত্তম যুগ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যাঁদের অকল্পনীয় ত্যাগ ও কষ্টের বিনিময়ে পরবর্তী উম্মত সহজেই পরিপূর্ণ দ্বীন ইসলাম পেয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে অনেকেই বেখবর। অনেকেই আবার তাঁদের সমালোচনায় মুখর। তারা তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে, তাঁদেরকে সত্যের মাপকাঠি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। উপরন্তু তাঁদেরকে নাক্বিছ ও অপূর্ণ বলে আত্মতৃপ্তি লাভ করে থাকে এরা সকলেই লা’নতগ্রস্ত বা মালউন। (নাঊযুবিল্লাহ্ মিন যালিক) কারণ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণের প্রতি মুহব্বত রাখা, তাঁদের প্রতি সুধারণা পোষণ করা হচ্ছে ঈমানের অঙ্গ। তাঁদের ইত্তিবা বা অনুসরণ করা ফরয-ওয়াজিব। আর তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা, তাঁদেরকে কষ্ট দেয়া, সমালোচনা করা, নাক্বিছ বা অপূর্ণ বলা সম্পূর্ণই কুফরী। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা বা বিশ্বাস। এর বিপরীত আক্বীদা পোষণ করা কুফরী ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “একমাত্র কাফিররাই তাঁদের (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের) প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে।” (সূরা ফাত্হ-২৯)

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হাদীছ শরীফ-এর উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, ‘যে ব্যক্তি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, সে কাফির।’ (নাসীমুর রিয়াদ্ব)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ‘যে ব্যক্তি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণকে গালি দেয়, দোষারোপ করে তাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালা, ফেরেশ্তা, মানুষ ও সকল মাখলুকাতের লা’নত এবং তাদের কোন ফরয ও নফল ইবাদত আল্লাহ পাক কবুল করবেন না।’ (মুযাহিরে হক্ব)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ‘ছহীহ বুখারী শরীফ-এর’ হাদীছ শরীফ উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণকে গালি দিয়োনা বা দোষারোপ করোনা। যদি তোমাদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহ পাক-এর রাস্তায় দান করে, তবুও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের এক মুদ্ (১৪ ছটাক) বা অর্ধ মুদ্ (৭ ছটাক) গম দান করার ফযীলতের সমপরিমাণ ফযীলত অর্জন করতে পারবে না।’

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ‘মিশকাত শরীফ-এর’ হাদীছ শরীফ উল্লেখ করে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ তারকা সাদৃশ্য, তাঁদের যে কাউকে তোমরা অনুসরণ করবে, তোমরা হিদায়েতপ্রাপ্ত হবে। অর্থাৎ তাঁদের যে কাউকে, যে কোন ব্যক্তি, যে কোন বিষয়ে অনুসরণ করবে, সে ব্যক্তি সে বিষয়েই হিদায়েতের উপর থাকবে।’

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মূলকথা হলো, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ হলেন- হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী। মুর্হরমুল হারাম মাস হযরত ছাহাবায়ে কিরামগণের ফাযায়িল-ফযীলত বর্ণনা ও তাঁদেরকে মুহব্বত করার মাস। তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- এ মাসে তাঁদের বেশি বেশি ছানা-ছিফত করা ও মুহব্বত প্রকাশ করা।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার (খইরে কাছির) দান করেছি।’ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ বা সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর।যা পালন করা মুসলমানদের জন্য তো অবশ্যই বরং সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরয-ওয়াজিব। তাই সকলকে এখন থেকেই তা যথাযথভাবে তা’যীম-তাকরীমের সহিত পালন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আয় আল্লাহ পাক! হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে হাদী ও হিদায়েতপ্রাপ্ত করুন এবং তাঁর দ্বারা লোকদের হিদায়েত দান করুন। হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শুধু ছাহাবীই নন, বরং মর্যাদাপূর্ণ, জলীলুল ক্বদর কাতিবে ওহী ও গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা ছাহাবী এবং ন্যায় পরায়ন খলীফাও ছিলেন। সুতরাং আশুরার আলোচনায় তাঁর সম্পর্কে সাবধানে কথা বলতে হবে। নচেৎ কুফরী করে ঈমান হারা হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তোমরা সম্মিলিতভাবে আল্লাহ পাক-এর রজ্জুকে আঁকড়িয়ে ধর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। ইসরাইল ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মুসলমানদের শহীদ করছে; অথচ কোন মুসলিম দেশই এর আদৌ প্রতিবাদ করছে না। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, সব মুসলমান মিলে একটা দেহের ন্যায়, দেহের কোন এক স্থানে আঘাত পেলে তা সারা দেহেই সংক্রমিত হয় তাই ইসলাম ও শরীয়তের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনে মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধে পৃথিবীর ২৫০ কোটিরও বেশি মুসলমানের প্রত্যেকের এগিয়ে আসা ফরয-ওয়াজিব। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আমি তাঁদের (নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের) প্রতি ওহী পাঠাতাম। আশুরা উপলক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে যারা বলে থাকে যে, আল্লাহ পাক-এর নবী হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক-এর নির্দেশ ব্যতীতই হিজরত করেছেন এবং গাছের নিকট আশ্রয় চেয়েছেন। তাই তিনি গযবস্বরূপ গাছের মধ্যে করাতের দ্বারা দ্বিখণ্ডিত হয়েছেন। (নাঊযুবিল্লাহ) আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে তাদের এ বক্তব্য ও আক্বীদা সম্পূর্ণভাবেই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এরূপ কুফরী আক্বীদা থেকে তওবা করা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, আমি তোমাদের নিকট রিসালত-এর দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাই না। তবে আমার আত্মীয়-স্বজনদের ও বংশধরদের সাথে সদাচরণ করবে। আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আমার আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য। খাছ আহলে বাইত-এর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শরীয়তের দৃষ্টিতে আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করা ফরয আর বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম