-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে বাঁকা চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে, আপনি বলুন- এটি মানুষের আরবী মাসও ইবাদতের সময় এবং হজ্জের সময় নির্ধারণ করার মাধ্যম। সউদী আরবসহ অনেক মুসলিম দেশে প্রশাসনিক কাজ-কর্মের জন্য আগাম রচিত চাঁদের ক্যালেন্ডার থাকার পরেও মাস শুরু নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছে। আরবী মাসের তারিখ শুরু নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনের একমাত্র উপায় চাঁদ দেখে মাস শুরু করা যা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর নির্দেশ। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

সংখ্যা: ১৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেছেন, “সউদী সরকার দাবি করে যে, প্রশাসনিক কাজ-কর্ম, স্কুল-কলেজ, বিমান ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তাদের একটি বছরব্যাপী ক্যালেন্ডারের প্রয়োজন হয়। আর সে কারণেই তারা তৈরি করে থাকে উম্মুল কুরা ক্যালেন্ডার। কিন্তু এ যাবত দেখা গেছে, সউদী আরবে অনেক আরবী মাস শুরু হয়েছে উম্মুল কুরার ক্যালেন্ডারকে উপেক্ষা করে।”

চাঁদের সঠিক তারিখ গণনা এবং তা প্রকাশের উপর গুরুত্বারোপ করে রাজারবাগ শরীফ-এ এক আলোচনা মজলিসে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সম্প্রতি জানা গেছে- সউদী আরব ‘উম্মুল কুরা’র ক্যালেন্ডার ছাড়াও ভিন্ন একটি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে। সে ক্যালেন্ডারে ১৪৩০ হিজরীর মুর্হরমুল হারাম মাস-এর তারিখ ‘উম্মুল কুরা’র ক্যালেন্ডারে উল্লিখিত তারিখের এক দিন পূর্ব থেকে শুরু হয়েছে।  আরব নিউজ এবং সউদী প্রেস এজেন্সী মুর্হরমুল হারাম মাসের তারিখ একদিন আগে-পরে শুরু করেছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আরও বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করা গেছে, সউদী প্রেস এজেন্সীর ওয়েব সাইটে আরবী অংশে মুর্হরমুল হারাম মাসের তারিখ এবং ইংরেজি অংশে আরবী তারিখের মধ্যে একদিনের পার্থক্য রয়েছে। তাহলে আশূরা মিনাল মুর্হরম-এর আমল সউদী নাগরিকগণ যেদিন পালন করার কথা ছিলো সেদেশে অবস্থিত অনারবগণ কি ভিন্ন দিনে পালন করেছিলো?

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আরবী মাসের তারিখ উল্লেখ করার বিষয়টি- ইংরেজি সন বা অন্যান্যসনের তারিখ উল্লেখ করার মত নয়। কেননা, ইংরেজি সন, বাংলা সন বা অন্যান্য সনের তারিখ অনুযায়ী মুসলমানদের কোন ইবাদত পালিত হয় না। অপরদিকে, আরবী মাসের শুরু সঠিক তারিখে না হলে মুসলমানগণের আমলসমূহ পালিত হবে না এবং সঠিকভাবে পালিত না হলে তা কবুলের প্রশ্নও আসে না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মুর্হরমুল হারাম আরবী সনের প্রথম মাস। প্রথম মাসের শুরু নিয়ে যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে বাকি মাসগুলোতে যেন তা না হয়; সে ব্যাপারে সউদী আরবসহ সকল মুসলিম দেশের দায়িত্ববান ব্যক্তিদের সচেতন হতে হবে। দু’টি দেশের মধ্যে চাঁদের তারিখের মধ্যে পার্থক্য হতে পারে; কিন্তু একটি দেশের দু’টি প্রচার মাধ্যমে দু’রকম তারিখ আবার একটি প্রচার মাধ্যমের দু’টো অংশে দু’রকম তারিখ উল্লেখের বিষয়টি মেনে নেয়া কঠিন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ২৬শে জানুয়ারি, সোমবার অমাবস্যার দিন, সেদিন সউদী আরবে সফর মাসের চাঁদ দেখতে পাওয়া সম্পূর্ণরূপে অসম্ভব। ২৭শে জানুয়ারি, মঙ্গলবার সউদী আরবে সফর মাসের চাঁদ দেখতে পাবার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁদের প্রকৃত হিসাবে মুর্হরমুল হারাম মাসটি সউদী আরবে ৩০ দিনে পূর্ণ হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, পৃথিবীর ২৫০ কোটি মুসলমানের প্রত্যাশা, সউদী আরব যেন আগামী মাসগুলো চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে শুরু করে। শুধু শা’বান, রমাদ্বান, শাওয়াল এবং যিলহজ্জ এই চারটি মাসে চাঁদ তালাশ করা আম ফতওয়া মতে ওয়াজিবে কিফায়া। কিন্তু খাছ ফতওয়া অনুসারে প্রতি মাসেই চাঁদ তালাশ করে মাস শুরু করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে বাঁকা চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে, আপনি বলুন- এটি মানুষের আরবী মাসও ইবাদতের সময় এবং হজ্জের সময় নির্ধারণ করার মাধ্যম।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার (খইরে কাছির) দান করেছি।’ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ বা সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর।যা পালন করা মুসলমানদের জন্য তো অবশ্যই বরং সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরয-ওয়াজিব। তাই সকলকে এখন থেকেই তা যথাযথভাবে তা’যীম-তাকরীমের সহিত পালন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আয় আল্লাহ পাক! হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে হাদী ও হিদায়েতপ্রাপ্ত করুন এবং তাঁর দ্বারা লোকদের হিদায়েত দান করুন। হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শুধু ছাহাবীই নন, বরং মর্যাদাপূর্ণ, জলীলুল ক্বদর কাতিবে ওহী ও গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা ছাহাবী এবং ন্যায় পরায়ন খলীফাও ছিলেন। সুতরাং আশুরার আলোচনায় তাঁর সম্পর্কে সাবধানে কথা বলতে হবে। নচেৎ কুফরী করে ঈমান হারা হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তোমরা সম্মিলিতভাবে আল্লাহ পাক-এর রজ্জুকে আঁকড়িয়ে ধর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। ইসরাইল ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মুসলমানদের শহীদ করছে; অথচ কোন মুসলিম দেশই এর আদৌ প্রতিবাদ করছে না। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, সব মুসলমান মিলে একটা দেহের ন্যায়, দেহের কোন এক স্থানে আঘাত পেলে তা সারা দেহেই সংক্রমিত হয় তাই ইসলাম ও শরীয়তের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনে মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধে পৃথিবীর ২৫০ কোটিরও বেশি মুসলমানের প্রত্যেকের এগিয়ে আসা ফরয-ওয়াজিব। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আমি তাঁদের (নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের) প্রতি ওহী পাঠাতাম। আশুরা উপলক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে যারা বলে থাকে যে, আল্লাহ পাক-এর নবী হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক-এর নির্দেশ ব্যতীতই হিজরত করেছেন এবং গাছের নিকট আশ্রয় চেয়েছেন। তাই তিনি গযবস্বরূপ গাছের মধ্যে করাতের দ্বারা দ্বিখণ্ডিত হয়েছেন। (নাঊযুবিল্লাহ) আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে তাদের এ বক্তব্য ও আক্বীদা সম্পূর্ণভাবেই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এরূপ কুফরী আক্বীদা থেকে তওবা করা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, আমি তোমাদের নিকট রিসালত-এর দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাই না। তবে আমার আত্মীয়-স্বজনদের ও বংশধরদের সাথে সদাচরণ করবে। আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আমার আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য। খাছ আহলে বাইত-এর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শরীয়তের দৃষ্টিতে আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করা ফরয আর বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম