যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেছেন, “সউদী সরকার দাবি করে যে, প্রশাসনিক কাজ-কর্ম, স্কুল-কলেজ, বিমান ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তাদের একটি বছরব্যাপী ক্যালেন্ডারের প্রয়োজন হয়। আর সে কারণেই তারা তৈরি করে থাকে উম্মুল কুরা ক্যালেন্ডার। কিন্তু এ যাবত দেখা গেছে, সউদী আরবে অনেক আরবী মাস শুরু হয়েছে উম্মুল কুরার ক্যালেন্ডারকে উপেক্ষা করে।”
চাঁদের সঠিক তারিখ গণনা এবং তা প্রকাশের উপর গুরুত্বারোপ করে রাজারবাগ শরীফ-এ এক আলোচনা মজলিসে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সম্প্রতি জানা গেছে- সউদী আরব ‘উম্মুল কুরা’র ক্যালেন্ডার ছাড়াও ভিন্ন একটি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে। সে ক্যালেন্ডারে ১৪৩০ হিজরীর মুর্হরমুল হারাম মাস-এর তারিখ ‘উম্মুল কুরা’র ক্যালেন্ডারে উল্লিখিত তারিখের এক দিন পূর্ব থেকে শুরু হয়েছে। আরব নিউজ এবং সউদী প্রেস এজেন্সী মুর্হরমুল হারাম মাসের তারিখ একদিন আগে-পরে শুরু করেছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আরও বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করা গেছে, সউদী প্রেস এজেন্সীর ওয়েব সাইটে আরবী অংশে মুর্হরমুল হারাম মাসের তারিখ এবং ইংরেজি অংশে আরবী তারিখের মধ্যে একদিনের পার্থক্য রয়েছে। তাহলে আশূরা মিনাল মুর্হরম-এর আমল সউদী নাগরিকগণ যেদিন পালন করার কথা ছিলো সেদেশে অবস্থিত অনারবগণ কি ভিন্ন দিনে পালন করেছিলো?
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আরবী মাসের তারিখ উল্লেখ করার বিষয়টি- ইংরেজি সন বা অন্যান্যসনের তারিখ উল্লেখ করার মত নয়। কেননা, ইংরেজি সন, বাংলা সন বা অন্যান্য সনের তারিখ অনুযায়ী মুসলমানদের কোন ইবাদত পালিত হয় না। অপরদিকে, আরবী মাসের শুরু সঠিক তারিখে না হলে মুসলমানগণের আমলসমূহ পালিত হবে না এবং সঠিকভাবে পালিত না হলে তা কবুলের প্রশ্নও আসে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মুর্হরমুল হারাম আরবী সনের প্রথম মাস। প্রথম মাসের শুরু নিয়ে যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে বাকি মাসগুলোতে যেন তা না হয়; সে ব্যাপারে সউদী আরবসহ সকল মুসলিম দেশের দায়িত্ববান ব্যক্তিদের সচেতন হতে হবে। দু’টি দেশের মধ্যে চাঁদের তারিখের মধ্যে পার্থক্য হতে পারে; কিন্তু একটি দেশের দু’টি প্রচার মাধ্যমে দু’রকম তারিখ আবার একটি প্রচার মাধ্যমের দু’টো অংশে দু’রকম তারিখ উল্লেখের বিষয়টি মেনে নেয়া কঠিন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ২৬শে জানুয়ারি, সোমবার অমাবস্যার দিন, সেদিন সউদী আরবে সফর মাসের চাঁদ দেখতে পাওয়া সম্পূর্ণরূপে অসম্ভব। ২৭শে জানুয়ারি, মঙ্গলবার সউদী আরবে সফর মাসের চাঁদ দেখতে পাবার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁদের প্রকৃত হিসাবে মুর্হরমুল হারাম মাসটি সউদী আরবে ৩০ দিনে পূর্ণ হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, পৃথিবীর ২৫০ কোটি মুসলমানের প্রত্যাশা, সউদী আরব যেন আগামী মাসগুলো চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে শুরু করে। শুধু শা’বান, রমাদ্বান, শাওয়াল এবং যিলহজ্জ এই চারটি মাসে চাঁদ তালাশ করা আম ফতওয়া মতে ওয়াজিবে কিফায়া। কিন্তু খাছ ফতওয়া অনুসারে প্রতি মাসেই চাঁদ তালাশ করে মাস শুরু করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে বাঁকা চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে, আপনি বলুন- এটি মানুষের আরবী মাসও ইবাদতের সময় এবং হজ্জের সময় নির্ধারণ করার মাধ্যম।