যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেছেন, “ফিলিস্তিনে মুসলমানদের নির্বিচারে শহীদ করা হচ্ছে। কিন্তু এর প্রতিকারে কেউই এগিয়ে আসছে না। অথচ ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের ৬০ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহতের ঘটনা।”
ফিলিস্তিনে ইহুদীবাদী ইসরাইলের বর্বর মুসলিম নিধনের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, কতিপয় মুসলিম দেশের কিছু মুনাফিক তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করার জন্য হামাসকে উৎখাত করতে দখলদার ইসরাইলকে প্ররোচিত করেছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সউদী আরব, জর্দান ও মিশরের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা চলতি মাসের প্রথম দিকে ইসরাইলী কর্মকর্তাদের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে এবং গাজায় হামাসের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে ইসরাইলী কর্মকর্তাদের প্ররোচিত করে।
মিশর, জর্দান ও সউদী আরবের এই নেতারা ইসরাইলী নেতাদের আরও বোঝায় যে, গাজায় হামাসের কর্তৃত্বের কারণে ইসরাইল ও আরব দেশগুলোর কথিত শান্তি বা আপোস প্রক্রিয়া জটিলতার সম্মুখীন হয়েছে এবং বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের জন্য আরো একটি তুরুপের তাস হয়ে আছে। লেবাননের হিজবুল্লাহসহ সেখানকার ইরানপন্থী খ্রিস্টান ও ইসলামপন্থী দলগুলো মধ্যপ্রাচ্যের ইরানের জন্য ট্রাম্পকার্ড বলে তারা ইসরাইলের কাছে নিজের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে। ফলে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গাজায় সর্বাত্মক হামলা চালানোর আহ্বান জানানো হয়।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ইহুদী নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে, ‘ছয় মাসের যুদ্ধবিরতি যুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ২৪ ডিসেম্বর ২০০৮, বুধবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে প্যালেস্টাইনিয়া যে ৬০টি রকেট হামলা চালায় তার পাল্টা জবাবেই বিমান হামলা করেছে বলে জানায় ইসরাইলের সেনাবাহিনী।
প্রকৃতপক্ষে জঙ্গিবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’-এর এজেন্ট জঙ্গি সংগঠন হামাস ফিলিস্তিনে ইসরাইলে স্থায়ী আধিপত্য কায়েম করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য হামাসের মাধ্যমে কথিত রকেট ও মর্টার হামলা করানো হয়েছে। এগুলো হচ্ছে মেকিং গেম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর ২০০৮ শুরু হওয়া জঙ্গিবাদী ইসরাইলের হামলায় চার দিনে মোট ৩৯০ জন মুসলমান নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ১ হাজার ৬শ’ ৯০ জন। যদিও প্রকৃতপক্ষে নিহত ও আহতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক ত্রাণসংস্থা রেডক্রস বলেছে, হাসপাতালগুলোতে লাশের স্থান সংকুলান হচ্ছে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, জাতিসংঘ বেসামরিক লোক জন নিহতের সংখ্যা কম করে বলে সত্য গোপনের চেষ্টা করেছে। প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ইসরাইলি পরাষ্ট্রমন্ত্রী হুযকী জিপি লিভনি হুমকি দিয়ে বলেছে, গাজার বাস্তবতা বদলে দেয়া হবে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট বলেছেন, হামলা কেবল শুরু; শীঘ্রই হানা হবে চরম আঘাত। এজন্য ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল এবং নৌপথেও হামলার পথ বেছে নিয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ইইউ’র সভাপতি ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি গাজা সঙ্কট নিরসনে মিশরসহ বিভিন্ন দেশের সাথে কথিত আলোচনা করছে। অথচ সউদী আরব সে ব্যাপারে কোন উদ্যোগই নেয়নি। বরং তার বিরুদ্ধে ইসরাইলিদেরকে মদদ দেয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আরবের কিছু দেশের কিছু মুনাফিক কর্তৃপক্ষ ইসরাইলের সাথে অবৈধ চুক্তি করেছে। আর এই কারণে মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিনে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চললেও আরব দেশগুলো নীরব। ভিতরে ভিতরে তাদের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তার ফলশ্রুতিস্বরূপ। ইসরাইলের ইচ্ছা হলো- এইভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে গাজা উপত্যকা দখল করে নেয়া।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, জঙ্গিবাদী ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা চিরতরে নির্মূল করার লক্ষ্যে গাজা উপত্যকার মসজিগুলোতে অবিরাম বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে। জঙ্গি ইসরাইলিরা গাজার সব মসজিদ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, পত্রিকার খবরে প্রকাশ, গাজার আধিবাসী আবু খালিদ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমাদেরকে এবং আমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করেও ওরা ক্ষ্যান্ত হয়নি, এখন আল্লাহ পাক-এর ঘর মসজিদগুলোকেও গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। গত ২৭ ডিসেম্বর/২০০৮, সোমবার ভোরে ইসরাইলী যুদ্ধবিমান পশ্চিম গাজায় আবু খালিদের বাড়ির নিকটবর্তী একটি মসজিদের উপর গোলাবর্ষণ করে সেটি গুঁড়িয়ে দিলে কমপক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে ২ জন নিহত ও বহু আহত হয়। ইসরাইলী যুদ্ধবিমান ২৭ ডিসেম্বর/২০০৮, সোমবার সকালে জাবালিয়াতেও একটি মসজিদের উপর বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেয়। একইদিন দক্ষণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুসেও একটি মসজিদ ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরাইল। ইসরাইল কর্তৃক গাজার মসজিদ ধ্বংস করা ফিলিস্তিনীদেরকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, “মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গাজায় সর্বাত্মক হামলা চালানোর আহ্বান জানানো হয় বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হামাস ও ফাতাহ দুটোই জঙ্গি সংগঠন। এবং তারা সবই ‘মোসাদ’-এর তৈরি ও নিয়ন্ত্রিত। জঙ্গি সংগঠন ‘ফাতাহ’র কর্ণধার মাহমুদ আব্বাসের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে হাজার হাজার মুসলমান নিধন যে উদ্দেশ্যমূলক সেটা স্পষ্ট প্রমাণিত। আর এটা মুসলমানদের শহীদ করে ফিলিস্তিন দখলে ইহুদী-নাছারা প্রণীত রোডম্যাপ বাস্তবায়নেরই অংশ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আজ মুসলমানদের মধ্যে একতা নেই। মুহব্বত নেই। ঈমানী জজবা নেই। রূহানী কুওয়ত নেই। কুরআন-সুন্নাহর আদর্শ নেই। তাই মুসলমান আজ এভাবে পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, প্রত্যেক মুসলমান ভাই ভাই; সব মুসলমান মিলে একটা দেহের ন্যায়, দেহের কোন এক স্থানে আঘাত পেলে যেমন তা সারাদেহে সংক্রমিত হয়, তেমনি পৃথিবীর কোথাও কোন মুসলমান আক্রান্ত হলে পৃথিবীর অন্য সব মুসলমানের মাঝেও তা ছড়িয়ে পড়বে। এবং সবাই মিলে তা প্রতিহত করবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তোমরা পরস্পর সম্মিলিতভাবে আল্লাহ পাক-এর রজ্জুকে আঁকড়িয়ে ধর। পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।
কাজেই পৃথিবীর সব মুসলমানদের জন্য ফরয ও ওয়াজিব- আসামে, আফগানিস্তানে, ইরাকে, ফিলিস্তিনে, কাশ্মিরে মুসলমানদেরকে যেভাবে শহীদ করা হচ্ছে যেভাবে মুসলমান মা-বোনদের ইজ্জত সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে, সম্পদ লুটে নেয়া হচ্ছে তা প্রতিহতকরণে এগিয়ে আসা।