যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, বোরকা তথা পর্দা মুসলমানদের বানানো বা মনগড়া কোন আমল নয় বরং তা স্বয়ং আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার পক্ষ থেকে নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয আমল। কেননা কুরআন শরীফ-এ æসূরা নিসা, সূরা নূর ও সূরা আহযাব” সূরাসমূহে পর্দা করার ব্যাপারে কঠোর আদেশ-নির্দেশ করা হয়েছে। যেমন আল্লাহ পাক সূরা নূর-এর ৩০, ৩১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, æ(হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি মু’মিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণ। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তারা যা করে তার খবর রাখেন। আর আপনি মু’মিনাদেরকে বলুন, তারাও যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে ও তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী মুসনাদে আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, দারিমী, মিশকাত শরীফ-এর বরাত দিয়ে বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! দৃষ্টিকে অনুসরণ করবেন না। প্রথম দৃষ্টি (যা অনিচ্ছা সত্ত্বে পতিত হয় তা) ক্ষমা করা হবে; কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না।” অর্থাৎ প্রতি দৃষ্টিতে একটি কবীরা গুনাহ লেখা হয়ে থাকে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বাইহাক্বী ও মিশকাত শরীফ-এর বরাত দিয়ে বলেন, হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, æযে দেখে এবং দেখায় অর্থাৎ যে বেপর্দা হয় ও যে বেপর্দা করায় উভয়ের প্রতি আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার কালাম পাক এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ দ্বারা সরাসরি পর্দাকে ফরয করে দিয়েছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সমস্ত অমুসলিমরা মিলে এক ধর্ম। অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও ইসলাম ও মুসলমানের ক্ষতিসাধনে তারা সবাই একজোট। ইহুদী-খ্রিস্টান, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসী ও মুশরিক অর্থাৎ এক কথায় সকল অমুসলিমরাই ইসলাম ও মুসলমানের শত্রু। তাই তারা সবাই মিলে সর্বদা চেষ্টা করে থাকে- কী করে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যায় এবং তাদের ঈমান আমল নষ্ট করে কাফিরে পরিণত করা যায়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মহান আল্লাহ পাক ‘সূরা বাক্বারা’-এর ১০৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, æইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাব অর্থাৎ অমুসলিমদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোন রকমে অমুসলিম বানিয়ে দিতে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, অমুসলিমরা যেহেতু ইসলাম ও মুসলমানদের চরম পরম শত্রু তাই তারা হিংসার বশবর্তী হয়েই বোরকা ও পর্দার বিরোধিতা ও সমালোচনা করছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমানদেরকে বেপর্দা করে দাইয়্যুছ বানিয়ে লা’নতগ্রস্ত করে জাহান্নামী করে দেয়া।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয আমল পর্দা সম্পর্কে এরূপ ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার মত দুঃসাহস ফরাসী প্রেসিডেন্ট, ইতালির প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য অমুসলিমরা পেল কোথায়? মূলত মুসলমানদের ঈমানী ও আমলী দুর্বলতার কারণেই তারা আজ একের পর এক ইসলাম বিদ্বেষী কথা বলার সাহস পাচ্ছে। মুসলমানরা যদি পূর্বে অমুসলিমদের ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যগুলোর শক্ত প্রতিবাদ জানাতো তবে তারা পরবর্তিতে আর কখনো এরূপ দুঃসাহস দেখাতে পারতো না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ভাবতে অবাক লাগে যে, পর্দা সম্পর্কে প্রকাশ্যে ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য দেয়ার ও পর্দার কঠোর বিরোধিতা ও সমালোচনা করার পরও পৃথিবীর কোন মুসলমান সরকার বা দেশের পক্ষ থেকেই এর কোন শক্ত প্রতিবাদ করা হয়নি। অথচ বাংলাদেশ সরকারসহ সকল মুসলিম সরকার ও পৃথিবীর ২৫৫ কোটির বেশি মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব ছিল এর শক্ত প্রতিবাদ করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মূল কথা হলো- পর্দা মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার, অর্থাৎ ফরয আমল; যা মহিলাদের সম্মান ও ব্যক্তিত্বের প্রতীক। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও ইতালির প্রধানমন্ত্রীসহ সকল অমুসলিমরা হিংসাবশত পর্দার বিরোধিতা করছে। অথচ ইসলামের বিরোধিতা করার কোন অধিকার তাদের নেই। কারণ মুসলমানরা পৃথিবীর কোথাও অমুসলিমদেরকে তাদের স্ব স্ব ধর্ম পালনে বাধা দিচ্ছে না। তাই বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল মুসলিম সরকারসহ পৃথিবীর ২৫৫ কোটিরও বেশি মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও ইতালির প্রধানমন্ত্রীসহ সকল অমুসলিমদের পর্দা বিরোধী বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করা। আর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও ইতালির প্রধানমন্ত্রীসহ সকল পর্দা বিরোধীদের উচিত তারা যেন তাদের ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য প্রত্যাহার করে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চায়। অন্যথায় তাদেরকে কঠিন খোদায়ী আজাব গজবের সম্মুখীন হতে হবে। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য আর মুসলমানদের দ্বীন মুসলমানদের জন্য।