যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেছেন, æহাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, ‘মুসলমান ঐ ব্যক্তি- যার হাত ও যবান থেকে মুসলমান (মানুষ) নিরাপদ।’ কিন্তু জঙ্গিদের হাত থেকে মুসলমানসহ কোন মানুষই নিরাপদ নয়। কাজেই জঙ্গিরা কখনও হাক্বীক্বী মুসলমান নয় এবং মুসলমান কখনও জঙ্গি নয়।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আজকে একটি মহল মনে করে, ‘মুসলমান মানেই মৌলবাদী।’ কিন্তু তা ইসলামসম্মত কথা নয়। ইসলামে মৌলবাদ হারাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আবার আরেকটি মহল রয়েছে, যারা জঙ্গিপনা, বোমাবাজি ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষকে নির্বিচারে হত্যা ও হামলা করে ইসলাম কায়িম করতে চায়। মূলতঃ এরা ইসলামবিরোধী ইহুদী-নাছারাদের মিত্র।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ইসলামের নামধারী রাজনৈতিক দলগুলো শুধু ধর্মব্যবসায়ী আর রাজাকার তথা যুদ্ধাপরাধীই নয়। হাক্বীক্বতে তারাই জঙ্গিবাদের জনক ও পৃষ্ঠপোষক। জঙ্গিদের পঞ্চাশভাগ জামাতী, পয়ত্রিশভাগ ক্বওমী-দেওবন্দী আর পনের ভাগ সালাফী, লামাযহাবী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ‘দৈনিক আল ইহসান’-এ ৩০/০৩/২০০৭ ঈসায়ী তারিখে সূত্র সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী ভয়াবহ সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে যে সব জঙ্গিকে পুলিশ-র্যাব গ্রেফতার করেছে জেআইসি, পুলিশ ও র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জামাত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত অথবা এক সময় জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে জামাত-শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী ও গো’আযমের লেখা বিভিন্ন পুস্তকও উদ্ধার করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। এছাড়া জেএমবি’র শীর্ষ নেতাদের প্রায় সকলেই পূর্বে জামাত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ‘দৈনিক আল ইহসান’-এ ০৮/০৪/২০০৭ ঈসায়ী তারিখে সূত্র উল্লেখ করে প্রকাশ করা হয়েছে, চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার দারুল উলুম মাদ্রাসা, হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল মাদ্রাসা এবং পটিয়ার আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া (আল জামেয়া আল ইসলামিয়া) এই তিন কওমী মাদ্রাসার অধীনে দেশজুড়ে পরিচালিত হচ্ছে প্রায় কয়েক হাজার কওমী মাদ্রাসা। এই তিন কওমী মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরির মূল সূতিকাগার। জঙ্গিরা এই তিন মাদ্রাসা থেকে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের জঙ্গি অপতৎপরতা। জন্ম দিচ্ছে শত শত ধর্মান্ধ উগ্র জঙ্গির। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবানসহ সীমান্ত এলাকাগুলোতে এদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, বরিশাল, উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী কিছু এলাকাসহ সারা দেশের কয়েক হাজার কওমী মাদ্রাসা এ তিন মাদ্রাসার অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
২০০২-এর মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-১এর তৎকালীন সিনিয়র সহকারী সচিব এসএম হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক সার্কুলারে চট্টগ্রামের পটিয়ার আল জামেয়া আল-ইসলামিয়া, হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল এবং লালখান বাজারের দারুল উলুম মাদ্রাসাসহ কয়েকটি মাদ্রাসার তালেবান নেটওয়ার্কের কথা উল্লেখ করা হয়। এদের বিরুদ্ধে তালেবান সম্পৃক্ততা ও কথিত মুজাহিদ বাহিনী গঠনের মাধ্যমে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের অভিযোগ এনে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা স্বীকার করেন জঙ্গি প্রশিক্ষণের বিষয়। সে সঙ্গে নিজেদের দুর্বলতা স্বীকার করে বলেন, এসব দুর্গম এলাকায় জঙ্গি প্রতিরোধে যেতে হলে সেনা ও বিডিআর-এর অনুমতি এবং সহযোগিতা দুটোই জরুরী। পুলিশের তথ্য মতে, গত ১৪-১৬ মে ২০০৪ নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন পাহাড়ে রোহিঙ্গা ন্যাশনাল কনভেনশন হয়। এতে ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে কওমী মাদ্রাসার নির্বাচিত ছাত্রদের প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত হয়। প্রশাসন এসব জানে। জেনেও তারা নির্লিপ্ত। এই কওমী মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তম চট্টগ্রাম হয়ে পড়ছে জঙ্গি সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য। চট্টগ্রামের মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। অর্থাৎ জঙ্গিদের পঞ্চাশভাগ জামাতী, পয়ত্রিশভাগ ক্বওমী-দেওবন্দী আর পনের ভাগ সালাফী, লামাযহাবী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, ধর্মব্যবসায়ী ও রাজাকারবিরোধী মুখপত্র ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ ও ‘দৈনিক আল ইহসান’-এর বহু সংখ্যায় বহুবার দলীল সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসলামের নামধারী সব রাজনৈতিক দলই মূলতঃ রাজাকার ঘরানার ও যুদ্ধাপরাধী। পাশাপাশি তারাই মূলতঃ জঙ্গিবাদের জনক ও পৃষ্ঠপোষক।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যমীনে ফিৎনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না।’ আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘মুসলমান ঐ ব্যক্তি- যার হাত ও যবান থেকে মুসলমান (মানুষ) নিরাপদ।’ তাই ইসলামের দৃষ্টিতে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণ নাজায়িয, হারাম ও কাট্টা কুফরী। অতএব, বর্তমান সরকারের উচিত ইসলামের নির্দেশের প্রেক্ষিতে জঙ্গিবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।