-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আল্লাহ পাক তোমাদেরকে তোমাদের আওলাদ বা সন্তান সম্পর্কে আদেশ করেন একজন ছেলের অংশ দু’জন মেয়ের অংশের সমান। উত্তরাধিকারের এ আয়াত শরীফ অস্বীকার করে ছেলে ও মেয়ের অধিকার সমান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অর্থ হচ্ছে আল্লাহ পাক, কুরআন শরীফ ও ইসলামকে সরাসরি অস্বীকার করা যা কাট্টা নাজায়িয, হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। যা কোন মুসলমান কখনো মেনে নিতে পারে না।

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

-মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

 

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আ’ইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, কুরআন শরীফ-এ ‘সূরা নিসা’-এর ১১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ পাক তোমাদেরকে তোমাদের সন্তান সম্পর্কে আদেশ করেন; একজন ছেলের অংশ দু’জন মেয়ের অংশের সমান।”

এরপর ‘সূরা নিসা’-এর ১৭৬ নম্বর আয়াত শরীফ-এ আল্লাহ পাক আরো স্পষ্ট করে বলেন, মানুষ আপনার নিকট ফতওয়া জানতে চায়। অতএব, আপনি বলে দিন আল্লাহ পাক তোমাদিগকে ‘কালালাহ’-এর মীরাস সংক্রান্ত সুস্পষ্ট নির্দেশ বাতলে দিচ্ছেন; যদি কোন পুরুষ মারা যায় এবং তার কোন সন্তানাদি না থাকে এবং এক বোন থাকে, তবে সে পাবে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধেক অংশ এবং সে যদি নিঃসন্তান হয়, তবে তার দুই বোন থাকলে তাদের জন্য তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ। পক্ষান্তরে যদি ভাই ও বোন উভয়ই থাকে, তবে একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর সমান। তোমরা বিভ্রান্ত হবে বলে আল্লাহ পাক তোমাদিগকে সুস্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন। দআর আল্লাহ পাক হচ্ছেন সর্ব বিষয়ে পরিজ্ঞাত।”

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, মুসলমান মাত্রেরই প্রাণের চেয়ে প্রিয় আল্লাহ পাক ও উনার নাযিল করা কুরআন শরীফ এবং উনার হাবীব, আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার হাদীছ শরীফ। তাই কুরআন শরীফ অস্বীকার করা প্রকৃতপক্ষে কুরআন শরীফ-এর মানহানির অন্তর্ভুক্ত; যা কোন মুসলমান প্রাণ থাকতে মেনে নিতে বা সইতে পারে না।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালার নামে ‘নারী-পুরুষ সমঅধিকার আইন’ বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সরাসরি কুরআন শরীফ-এর মানহানির শামিল। যা আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উভয়ের মানহানী। আর এ মানহানি ডেনমার্কের ব্যঙ্গচিত্র এবং নেদারল্যান্ডের কুরআন শরীফ-এর পাতা ছিঁড়ে ফেলার দৃশ্যের চেয়ে লক্ষ কোটি গুণ বেশি।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, নারী-পুরুষ সমঅধিকার নীতিমালা অনুমোদন করা মূলতঃ রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে ১৫ কোটি মুসলমানকে কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ-এর সাথে সংঘাত ঘটানোর শামিল। মুসলমানকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ-এর বিরোধিতা করানোর শামিল।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন,  সরকারকে অবিলম্বে কুরআন শরীফ-এর ‘সূরা নিসা’-এর ১১ নম্বর ও ১৭৬ নম্বর আয়াত শরীফ বিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। এবং এ বিষয়ে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে; যাতে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর খিলাফ কোন আইন করা না হয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা দিয়েছে, ‘এটি কোন আইন নয়, নারীদের উন্নয়নের সহায়ক দিক-নির্দেশনামূলক নীতি।’ তাদের এ ব্যাখ্যাও গ্রহণযোগ্য নয় এবং নির্ভরযোগ্য নয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, ইসলাম বিরোধী তথাকথিত নারীবাদীরা তথাকথিত প্রগতির নামে সর্বদাই ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করতে, ইসলাম-এর বিরোধিতা করতে, কুরআন শরীফ-এর উপর আঘাত হানতে, আয়াত শরীফ-এর খিলাফ কাজ করতে সদা উন্মুখ। মূলতঃ এরা ইসলাম বিরোধী ইহুদী-নাছারার গোলাম ও এজেন্ট। এদের সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, কথিত নারী-পুরুষ সমতা আনয়নের কথা বলে ইসলাম-এর বিরোধিতা করলে পৃথিবীর প্রায় পৌনে তিনশ’ কোটি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে গভীর আঘাত হানা হবে। দেশের প্রচলিত সংবিধানের উপরও আঘাত হানা হবে। যা মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার চরমভাবে ক্ষুণœ করা হবে।  যা মুসলমানরা কখনো মেনে নিবে না।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, তথাকথিত নারীবাদীরা নারীমুক্তির নামে অরাজকতা, অনৈতিকতা, বেহায়াপনা আর বল্গাহারা জীবন ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। ইসলামই নারীকে পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছে। ‘মায়ের পদতলে বেহেশত’ ঘোষণা করে।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, তথাকথিত নারীবাদীরা নিতান্ত অজ্ঞ। তারা ছেলে; মেয়ের চেয়ে একভাগ সম্পদ বেশি পায় শুধু সেটাই দেখেছে। কিন্তু মেয়ে যে পিতার সম্পদ ছাড়াও স্বামীর সম্পত্তিতে ভাগ পায় পাশাপাশি স্ত্রীর আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর দায়িত্ব স্বামীর সেটা তারা আদৌ ভেবে দেখেনি।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন যে, æতিনি সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না।” আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, æতোমরা যা ভাল মনে কর সেটাই হয়তো খারাপ এবং তোমরা যেটা খারাপ মনে কর সেটাই হয়তো ভালো।” আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, æমানুষকে অল্প ব্যতীত জ্ঞান দেয়া হয়নি।”

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, কুরআন শরীফ-এ বর্ণিত উত্তরাধিকারের আয়াত শরীফ অস্বীকার করে ছেলে ও মেয়ের অধিকার সমান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে সম্পূর্ণরূপে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী। কেননা মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, æআল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে ফায়সালা দিয়েছেন তার মধ্যে নিজের মত পেশ করা কোন মু’মিন নর ও নারীর জন্য জায়িয হবে না অর্থাৎ সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী।”

তাই ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে এ ধরনের কোন আইন পাশ না করা। 

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার (খইরে কাছির) দান করেছি।’ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ বা সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর।যা পালন করা মুসলমানদের জন্য তো অবশ্যই বরং সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরয-ওয়াজিব। তাই সকলকে এখন থেকেই তা যথাযথভাবে তা’যীম-তাকরীমের সহিত পালন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আয় আল্লাহ পাক! হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে হাদী ও হিদায়েতপ্রাপ্ত করুন এবং তাঁর দ্বারা লোকদের হিদায়েত দান করুন। হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শুধু ছাহাবীই নন, বরং মর্যাদাপূর্ণ, জলীলুল ক্বদর কাতিবে ওহী ও গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা ছাহাবী এবং ন্যায় পরায়ন খলীফাও ছিলেন। সুতরাং আশুরার আলোচনায় তাঁর সম্পর্কে সাবধানে কথা বলতে হবে। নচেৎ কুফরী করে ঈমান হারা হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তোমরা সম্মিলিতভাবে আল্লাহ পাক-এর রজ্জুকে আঁকড়িয়ে ধর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। ইসরাইল ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মুসলমানদের শহীদ করছে; অথচ কোন মুসলিম দেশই এর আদৌ প্রতিবাদ করছে না। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, সব মুসলমান মিলে একটা দেহের ন্যায়, দেহের কোন এক স্থানে আঘাত পেলে তা সারা দেহেই সংক্রমিত হয় তাই ইসলাম ও শরীয়তের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনে মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধে পৃথিবীর ২৫০ কোটিরও বেশি মুসলমানের প্রত্যেকের এগিয়ে আসা ফরয-ওয়াজিব। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আমি তাঁদের (নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের) প্রতি ওহী পাঠাতাম। আশুরা উপলক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে যারা বলে থাকে যে, আল্লাহ পাক-এর নবী হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক-এর নির্দেশ ব্যতীতই হিজরত করেছেন এবং গাছের নিকট আশ্রয় চেয়েছেন। তাই তিনি গযবস্বরূপ গাছের মধ্যে করাতের দ্বারা দ্বিখণ্ডিত হয়েছেন। (নাঊযুবিল্লাহ) আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে তাদের এ বক্তব্য ও আক্বীদা সম্পূর্ণভাবেই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এরূপ কুফরী আক্বীদা থেকে তওবা করা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, আমি তোমাদের নিকট রিসালত-এর দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাই না। তবে আমার আত্মীয়-স্বজনদের ও বংশধরদের সাথে সদাচরণ করবে। আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আমার আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য। খাছ আহলে বাইত-এর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শরীয়তের দৃষ্টিতে আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করা ফরয আর বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম