-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই তোমরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রুরূপে পাবে ইহুদীদেরকে।” গোটা বিশ্ববাসীর গভীর নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও গাজায় নৃশংস ও ইতিহাসের জঘন্য হত্যাকা- চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। জাতিসংঘ আশ্রয় শিবির, স্কুলে এমনকি মসজিদেও চলছে ইসরাইলের পৈচাশিক হত্যাকাণ্ড জাতিসংঘের আহ্বানকেও তোয়াক্কা করছে না ইসরাইল। এরপরও জাতিসংঘসহ পাশ্চাত্য বিশ্ব- ইসরাইলকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করছে না এবং যুদ্ধ বন্ধের জন্য শক্ত চাপ প্রয়োগ করছেনা। অথচ লাদেনের মত মুনাফিকদের কারণে গোটা মুসলমানজাতিকেই জঙ্গি-সন্ত্রাসী বলে প্রচার করতে তারা খুবই তৎপর।

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

-মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেছেন, গাজায় গত ২৩ দিন ধরে চলা ইসরাইলি নৃশংস হত্যাকা- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন হিটলারের নাৎসী বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।”

গাজায় সবস্থানে নির্বিচারে নৃশংস গণহত্যা এমনকি জাতিসংঘ অফিসে, জাতিসংঘ স্কুলে, উদ্বাস্তু শিবিরেও হামলা চালানোর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, এত কিছুর পরও জঙ্গি ইসরাইলকে জাতিসংঘসহ পাশ্চাত্য বিশ্ব জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হিসেবে দেখছে না এবং প্রচার করছে না। অথচ ইসরাইলই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের জš§ দিয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, গাজায় ইসরাইলের হামলার যৌক্তিকতা দেখিয়ে জঙ্গি সন্ত্রাসী ইসরাইল বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরাইলের উপর রকেট হামলা চালিয়েছে। অথচ খোদ ইহুদীদের পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে জঙ্গি ইসরাইল। এ ব্যাপারে গত ১২ নভেম্বর ২০০৮ ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকার জেরুজালেম প্রতিনিধি ইসাবেল কার্সনার লিখেছেন, অস্ত্রবিরতি চুক্তি সম্পাদনের দীর্ঘ ৫ মাসের মাথায় প্রথমবারের মতো নভেম্বর ২০০৮-এর ৪ তারিখে গাজায় প্রবেশ করেছে ইসরাইল বাহিনী। ইসরাইলের বিমান হামলায় ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ১৪ নভেম্বর ২০০৮ নিউইয়র্ক টাইমসের জেরুজালেম ব্যুরো চীফ এথান ব্রুনার তার প্রতিবেদনেও একই কথা লিখেছেন। অর্থাৎ চুক্তির শর্তে বর্ণিত শেষ সময় ১৮ই ডিসেম্বর ২০০৮-এর আগেই জঙ্গি-সন্ত্রাসী ইসরাইল চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় হামলা চালায়। এছাড়া এ খবরের সত্যতা গত ৫ই নভেম্বরের ইসরাইলের শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক হ্যারেৎজ, ইয়েদিয়ত আহরোনোত, দ্য টাইমস (যুক্তরাজ্য), দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকাগুলো স্বীকার করে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, ২০ ডিসেম্বর, অর্থাৎ অস্ত্রবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিনের মাথায় ইন্টারন্যাশনাল মিডল ইস্ট মিডিয়া স্টোর (আইএমইএমসি) এক হিসাবে জানায়, ১৯ জুন ২০০৮ থেকে ১৮ ডিসেম্বর ২০০৮ সময়কালে ইসরাইলিরা ১৯৩ বার অস্ত্রবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। অস্ত্রবিরতির সময়টিতে ইসরাইলিরা ২২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা, ৬২ জনকে আহত, ৩৮ জনকে অপহরণ করে বলেও জানিয়েছে আইএমইএমসি। এ ছাড়া অস্ত্রবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে গাজার উপর অবরোধমূলক অবস্থা টিকিয়ে রাখে ইসরাইল।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, বর্তমান বিশ্বে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ হলো হিটলারের গোয়েন্দা সংস্থা গেস্টাপোর কার্বন কপি। এরা এত নৃশংস যে, যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সিআইএ (এটিও গেস্টাপোর আদলে গঠিত) ও এফবিআইকেও এক হাটে কিনে অন্য হাটে বেঁচে দেয়ার সামর্থ রাখে। পুরো ইউরোপ ও আমেরিকার শাসকম-লী মোসাদের কড়া নজরদারিতে থাকেন। গেস্টাপোর মতো মোসাদের মূল কাজ হলো শত্রু চিহ্নিত করা ও তাদের মেরে ফেলা। গাজায় ইসরাইলের কতজন শত্রু আছে এবং যারা জঙ্গি ইসরাইলের সক্রিয় শত্রু তাদের প্রত্যেকের নাম-ঠিকানা মোসাদের জানা। গাজায় তাদের চরের সংখ্যাও এত বেশি যে, ইসরাইলের শত্রুরা কে কখন কোথায় থাকেন বা যান, সঙ্গে সঙ্গে সে খবর জঙ্গি-সন্ত্রাসী ইসরাইলের সামরিক দফতরে মোসাদের দ্বারা পৌঁছে যায়। সংবাদ পাওয়া মাত্র ইসরাইলের বিমান সেনারা হেলিকপ্টার গানশিপে তৎক্ষণাত উড়ে গিয়ে ঘরে, রাস্তায়, মসজিদে যেখানে পায় রকেট ছুড়ে তাদের মেরে ফেলে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, বর্তমানে চারশ’ বিলিয়ন ডলারের বেশি পুঁজি খাটানো ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রায় গোটাটাই জঙ্গি-সন্ত্রাসী ইহুদীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই তারা তাদের নিয়োগকৃত মুসলমান নামধারী এজেন্টদের দ্বারাই কৃত সন্ত্রাসকে ব্যাপকভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করে গোটা মুসলমান জাতিকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি বলে প্রচারণা চালায় ও প্রতিপন্ন করতে চায়। অথচ জঙ্গি-সন্ত্রাসী ইসরাইল যে ইতিহাসের জঘন্যতম নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে, জাতিসংঘ উদ্বাস্ত শিবিরেও গণহত্যা চালাচ্ছে তারপরও পাশ্চাত্য মিডিয়া ইসরাইল সম্পর্কে কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী শব্দ সংযুক্ত করছে না, প্রচার করছে না। এমনকি এ বিষয়ে কোনো মুসলমান দেশও উচ্চবাচ্য করছে না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, তার মানে মুসলমানদের মধ্যে আজ আদৌ ইসলামী অনুভূতি, ঈমানী জজবা নেই। যে কারণেই মুসলমানদের উপর আজ এত গযব। এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা যতক্ষণ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ আঁকড়ে থাকবে ততক্ষণ তোমাদের কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যখনই তোমরা তা থেকে বিচ্যুত হবে তখনই লাঞ্ছিত ও পদদলিত হবে।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, আজকে শুধু ফিলিস্তিন, ইরাক আর কাশ্মির নয়; গোটা মুসলিম বিশ্বই কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ ছেঁড়ে দেয়ার কারণেই শত্রুদেশ দ্বারা বিপর্যস্ত হচ্ছে। কাজেই মুসলমানদের উচিত খাছ তওবা করে ইসলামে পরিপূর্ণ দাখিল হওয়া। তাহলেই তাদের প্রতি যিনি আল্লাহ পাক-উনার তরফ থেকে গায়িবী সাহায্য আসবে এবং এসব গযব থেকে মুসলমান মুক্তি পাবে। মহান আল্লাহ পাক তাওফিক দান করুন এবং কবুল করুন। (আমীন) 

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার (খইরে কাছির) দান করেছি।’ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ বা সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর।যা পালন করা মুসলমানদের জন্য তো অবশ্যই বরং সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরয-ওয়াজিব। তাই সকলকে এখন থেকেই তা যথাযথভাবে তা’যীম-তাকরীমের সহিত পালন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আয় আল্লাহ পাক! হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে হাদী ও হিদায়েতপ্রাপ্ত করুন এবং তাঁর দ্বারা লোকদের হিদায়েত দান করুন। হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শুধু ছাহাবীই নন, বরং মর্যাদাপূর্ণ, জলীলুল ক্বদর কাতিবে ওহী ও গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা ছাহাবী এবং ন্যায় পরায়ন খলীফাও ছিলেন। সুতরাং আশুরার আলোচনায় তাঁর সম্পর্কে সাবধানে কথা বলতে হবে। নচেৎ কুফরী করে ঈমান হারা হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তোমরা সম্মিলিতভাবে আল্লাহ পাক-এর রজ্জুকে আঁকড়িয়ে ধর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। ইসরাইল ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মুসলমানদের শহীদ করছে; অথচ কোন মুসলিম দেশই এর আদৌ প্রতিবাদ করছে না। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, সব মুসলমান মিলে একটা দেহের ন্যায়, দেহের কোন এক স্থানে আঘাত পেলে তা সারা দেহেই সংক্রমিত হয় তাই ইসলাম ও শরীয়তের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনে মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধে পৃথিবীর ২৫০ কোটিরও বেশি মুসলমানের প্রত্যেকের এগিয়ে আসা ফরয-ওয়াজিব। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আমি তাঁদের (নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের) প্রতি ওহী পাঠাতাম। আশুরা উপলক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে যারা বলে থাকে যে, আল্লাহ পাক-এর নবী হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক-এর নির্দেশ ব্যতীতই হিজরত করেছেন এবং গাছের নিকট আশ্রয় চেয়েছেন। তাই তিনি গযবস্বরূপ গাছের মধ্যে করাতের দ্বারা দ্বিখণ্ডিত হয়েছেন। (নাঊযুবিল্লাহ) আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে তাদের এ বক্তব্য ও আক্বীদা সম্পূর্ণভাবেই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এরূপ কুফরী আক্বীদা থেকে তওবা করা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, আমি তোমাদের নিকট রিসালত-এর দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাই না। তবে আমার আত্মীয়-স্বজনদের ও বংশধরদের সাথে সদাচরণ করবে। আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আমার আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য। খাছ আহলে বাইত-এর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শরীয়তের দৃষ্টিতে আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করা ফরয আর বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী -সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম