-মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেছেন, æআহলে বাইতের মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, তিনি চান আহলে বাইতগণকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ এ কথার অর্থ হলো মহান আল্লাহ পাক আহলে বাইতগণকে পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম ‘তাফসীরে ইবনে হাতেম, ইবনে কাছির, মাযহারী, মা’রিফুল কুরআন’-এর বরাত দিয়ে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার বংশধারা হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা ও উনার আওলাদদ্বয় হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনাদের মাধ্যমে বিশ্বময় জারী রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম মুসলিম ও মিশকাত শরীফ-এর বরাত দিয়ে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, æআমি তোমাদের জন্য দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। প্রথমটি হলো, আল্লাহ্্ পাক-উনার কিতাব। যার মধ্যে রয়েছে হিদায়েত ও নূর। তোমরা কিতাবুল্লাহকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়িয়ে ধর। æতিনি কিতাবুল্লাহ’র প্রতি উৎসাহ প্রদান করলেন। অতঃপর বললেন, æদ্বিতীয়টি হলো, আমার আহলে বাইত বা (আওলাদগণ) বংশধরগণ। উনাদের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক করছি। উনাদের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক করছি।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, যারা হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনাদের বংশধর বা আওলাদ উনারাই আওলাদুর রসূল।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম এ প্রসঙ্গে তাফসীরে আহমদ ও ইবনে কাছিরের বরাত দিয়ে বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, æআল্লাহ পাক-উনার কছম। ততক্ষণ পর্যন্ত কোন মুসলমান ব্যক্তির অন্তরে ঈমান দাখিল হবে না (হাক্বীক্বীভাবে ঈমানদার হবে না) যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি আল্লাহ পাক-উনার সন্তুষ্টির জন্য আমার বংশধর হওয়ার কারণে কুরাঈশদেরকে মুহব্বত না করবে।” আওলাদুর রসূলগণ কুরাঈশ-এর অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ আওলাদুর রসূলগণ-উনাদের মুহব্বতই ঈমানের অঙ্গ।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম সিররুশ শাহাদাতাইন কিতাবের বরাত দিয়ে বলেন, আহ্লে বাইত তথা আওলাদুর রসূলগণ-উনাদের খুছুছিয়ত, মর্যাদা, মর্তবা, বৈশিষ্ট্য ও ফযীলত সম্পর্কে অন্য হাদীছ শরীফ-এ রহমাতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাস্্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, æনিশ্চয়ই আমার আওলাদগণ-উনাদের উদাহরণ হলো- হযরত নূহ আলাইহিস্্ সালাম-উনার কিস্তির ন্যায়। যে তাতে প্রবশে করেছে (অর্থাৎ যে আমার আওলাদগণকে মুহব্বত করে) সেই নাযাত পেয়েছে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, অন্য হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, æমহান আল্লাহ পাক তোমাদেরকে যে নিয়ামত দান করেছেন তার জন্য আল্লাহ পাককে মুহব্বত করো। আর আমাকে মুহব্বত করো আল্লাহ পাক-উনার সন্তুষ্টি লাভ করার জন্য। আর আমার আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য।” সেজন্যই অতীতের সকল ইমাম-মুজতাহিদ ও ওলীআল্লাহগণ আওলাদে রসূলগণকে প্রাণ উজাড় করে মুহব্বত করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, এ সম্পর্কে ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুল আ’যম, হাকীমুল হাদীছ হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার জীবনী মুবারকের একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। একবার তিনি একস্থানে বসে স্বীয় ছাত্রদেরকে র্দ্স দিচ্ছিলেন। র্দস প্রদানরত অবস্থায় তিনি কিছুক্ষণ পর পরই র্দস বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন। যখন র্দস শেষ হলো তখন ছাত্ররা প্রশ্ন করল, æহে ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি! বেয়াদবী ক্ষমা করবেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আপনি বারবার র্দস বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন, এর পিছনে কি কারণ রয়েছে?” উত্তরে তিনি বললেন যে, æতোমরা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছ যে, আমাদের র্দস গাহের পাশেই কিছু ছোট ছেলেরা দৌঁড়াদৌড়ি করছিল। তন্মধ্যে অমুক ছেলেটি বার বার আমার নিকটবর্তী হলেই আমি দাঁড়িয়ে যেতাম।” ছাত্ররা জানতে চাইলো, সেই ছোট ছেলেটি আপনার নিকটবর্তী হলে কেন দাঁড়িয়ে যেতেন? তখন ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন যে, æদেখ, সেই ছেলেটি আওলাদে রসূল বা আল্লাহ পাক-উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার বংশধর। উনার সাথে আল্লাহ পাক-উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য যখনই তিনি আমাদের র্দসগাহের নিকটবর্তী হয়েছেন তখনই আমি উনার সম্মানার্থে দাঁড়িয়েছি। কেননা আল্লাহ পাক-উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার আওলাদগণকে তা’যীম-তাকরীম ও সম্মান প্রদর্শন করা ঈমানের অঙ্গ তথা আল্লাহ পাক ও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার নির্দেশ।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোন মুমিনকে স্বেচ্ছায় কতল করে সে জাহান্নামী।’ আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘মুসলমানকে গালী দেয়া ফাসিক্বী আর ক্বতল করা কুফরী।’ কাজেই সাধারণ মুমিন, মুসলমানকে কতল করা যদি কুফরী ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ হয় তবে যারা হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে শহীদ করেছে শরীয়তের দৃষ্টিতে তাদের ফায়ছালা কি হবে?
মূল কথা হলো- নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আহলে বাইত তথা খাছ আওলাদ হচ্ছেন- হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। কাজেই ইয়াজীদসহ যারাই উনার মুবারক শাহাদত-এর সাথে জড়িত ছিল শরীয়তের দৃষ্টিতে তারা সকলেই কাট্টা কাফির ও জাহান্নামী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, আওলাদুর রসূলগণকে তাযীম-তাকরীম করা, উনাদের খিদমত করা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।