পূর্ব প্রকাশিতের পর
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার
সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:
উনাদের মুবারক উসীলায় সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার আনুষ্ঠানিকভাবে বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মাধ্যমে উল্লিখিত মুবারক আয়োজন চূড়ান্ত রূপলাভ করে। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবধি মুবারক জীবনব্যাপী সর্বক্ষেত্রেই সম্মানিত সুন্নতপালনে তৎপর থাকতেন। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:
اَحَبُّ الأَعْمَالِ اِلَى اللهِ تَعَالٰـى اَدْوَمُهَا وَاِنْ قَلَّ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার কাছে ওই আমলই অধিক প্রিয়, যা দায়িমীভাবে করা হয়, যদিও তা আল্প হোক না কেন”। সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
যাবতীয় ইবাদত বন্দেগী সম্পাদন, শরয়ী পর্দাপালন, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাওয়া-দাওয়া, যিকির-ফিকির, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ তিলাওয়াত এবং মর্ম অনুধাবন, মুরাকাবা-মুশাহাদা, সম্মানিত আওলাদ-ফরজন্দ উনাদের প্রতিপালন ও শিক্ষাদান, পারিবারিক যাবতীয় দায়িত্বপালন, আতিথেয়তা, বড়দের প্রতি সম্মান এবং ছোটদের প্রতি হে বাৎসল্য, অর্থাৎ সম্মানিত পুরো যিন্দেগী মুবারকের প্রতিক্ষেত্রেই সম্মানিত সুন্নত ও শরয়ী পর্দাপালনে সাইয়্যিদাতুনা দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার একনিষ্ঠতা ছিলো সীমাহীন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি