পূর্ব প্রকাশিতের পর
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের
একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:
প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা কা’বা, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, ইমামুল উমাম, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যে সম্মানিত সুন্নত পালন করেন, মানুষকে পালনে অভ্যস্ত করে তোলেন এবং তিনি যে আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেখে যাওয়া সম্মানিত দ্বীন- ইসলাম উনাকে পবিত্র নুবুওওয়াত ও রিসালত উনাদের ধারায় যমীনে বাস্তবায়ন করেন, তার প্রকৃতি ও পরিধি প্রমাণ্য ইতিহাস এবং তাযকিরাতুল আউলিয়াসহ অন্যান্য কিতাবাদিতে উল্লিখিত কারো মধ্যেই দেখা যায় না। সুবহানাল্লাহ!
একইভাবে উনার ঈমানী কুওওয়াত, বিশুদ্ধ ই’তিক্বাদ, সীমাহীন হীম্মত, বিষ্ময়কর রো’ব, অতুলণীয় জযবা এবং সম্মানিত যাবতীয় সুন্নতী আমল সম্পাদনের ক্ষেত্রে অতীতে ও বর্তমানে উনার সমকক্ষ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। অর্থাৎ তিনি সার্বিকভাবে নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আলোকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি হাক্বীক্বীভাবে রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ হুযূূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা-সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যমণি। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত সুন্নত পালনের সীমাহীন ফাযায়িল-ফযীলত, শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللّٰـهَ فَاتَّبِعُوْنِيْ يُحْبِبْكُمُ اللّٰهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ ۗ وَاللّٰـهُ غَفُوْرٌ رَحِيمٌ
অর্থ: “(হে আমার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি কায়িনাতবাসীকে বলে দিন: যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত মা’রিফাত, রিযামন্দি-সন্তুষ্টি, তায়াল্লুক-নিসবত হাছিল করতে চাও, তবে আমার (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইতায়াত করো, অনুসরণ ও অনুকরণ করো। তা হলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন। তোমাদের গুনাহখতা ক্ষমা করবেন এবং তোমাদের প্রতি দয়ালু হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
পবিত্র এই আয়াত শরীফ যে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ইরশাদ মুবারক হয়েছে তা হলো, সূক্ষ্মাতিসূক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সম্মানিত সুন্নত উনার অনুসরণ-অনুকরণ দ্বারাই মহান আল্লাহ পাক এবং রউফুর রহীম, রহমতুল্লিল আলামীন, আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পরিপূর্ণ ও হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফাত, রিযামন্দি-সন্তুষ্টি ও নিগূঢ় নৈকট্য হাছিলের শীর্ষ সোপানে উপনীত হওয়া যায়। ওলীয়ে মাদারযাদ আওলাদে রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উনার উদ্দিষ্ট সকল প্রকার ইবাদত-বন্দেগী ও আমল সম্পাদনের অর্থই হলো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে ও পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ ও অনুকরণ করা। (চলবে)
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি