-মুহম্মদ সাদী
তাছাউফসহ সার্বিক ইলমে
শিক্ষা ও দীক্ষালাভ
বুযুর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম এবং বুযূর্গ নানা-নানী আলাইহিমাস সালাম উনাদের মুবারক তত্ত্বাবধানে তাছাউফসহ দ্বীন ইসলাম এবং সার্বিক শিক্ষা ও দীক্ষায় সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি অনুপম ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। তীক্ষè মেধা, সমঝ ও আনুগত্যপূর্ণ মানসে হাক্বীক্বী পরহেযগারী অবলম্বন এবং সুন্নত পালন উনার সর্বক্ষণের অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। অল্প বয়স মুবারকেই উনার মুবারক মন ও মননে দৃঢ় প্রত্যয় জন্মলাভ করে যে, পার্থিব ও পারলৌকিক সৌভাগ্য লাভ এবং মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী সন্তুষ্টি হাছিলের ক্ষেত্রে দুনিয়া বিরাগী মানসিকতায় আনুগত্যতা, তাক্বওয়া ও দায়িমী হুযূরী অবলম্বন ছাড়া বিকল্প কোন পথই মানুষের জন্য আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টি করেননি।
সুন্নত পালনে সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা
ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম, উম্মুল খইর, ছিদ্দীক্বায়ে কুবরা, রাহনুমায়ে দ্বীন, ছাহিবাতুল ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামাত, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, কুতুবুল আলম, মাবূবায়ে ইলাহী, হাবীবাতুল্লাহ, হাবীবাতু রসূল্লিাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জাদ্দাতু খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম, উম্মু মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম, ছাহিবাতুল মুকাররমা লী আবী মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি উনার মুবারক শৈশব ও কৈশোরকাল থেকে, অর্থাৎ বিলাদত শরীফ-এর পর থেকেই একনিষ্ঠভাবে পর্দা ও সুন্নত পালন করেন। শিশু ও কিশোরীসুলভ চঞ্চলতাহীনতায় শরীয়ত পালনের দায়িমী অনুশীলনে উনার বয়স মুবারক বাড়তে থাকে। মেয়েলী ছেলেখেলায় কালক্ষেপণ এবং অপ্রয়োজনীয় চিন্তা ও খেয়ালের মগ্নতা থেকে মুক্ত থেকে তিনি মুবারক কৈশোরেই সকলের লক্ষ্যস্থলে পরিণত হন। বুযূর্গ পিতা-মাতাসহ পরিবারের সকলের পূর্ণাঙ্গ ইসলামী আবহ উনাকে পর্দা ও সুন্নত পালনে অভ্যস্ত করে তোলে।
পর্দা প্রথা ইসলামের এক বিশেষ অবদান। একমাত্র ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মেই পর্দা পালনের ব্যবস্থা নেই। পর্দা পালন করা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই পর্দা পালন করা ফরয। শরয়ী পর্দা পালনের পরিবর্তে অত্যাধুনিকা হওয়ার অদম্য উৎসাহে স্বপ্ন বসনা নারীরা আজ বল্গাহীনা। তাই তাদের সম্মান ও সম্ভ্রম আজ ভূলুণ্ঠিত। কিন্তু লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, তিনি পুরুষ হোন অথবা মহিলা হোন, তিনি উনার বিলাদত শরীফ সূত্রেই লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ। ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার ক্ষেত্রে আমরা একই অবস্থা লক্ষ্য করি।
পর্দা ও তাক্বওয়ার প্রসঙ্গ এলে সকলকেই সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদুয যামান, ইমামুর রাসিখীন, সুলত্বানুল আরিফীন, মুহিউদ্দীন ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা বড়পীর ছাহিব হযরত আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বুযূর্গ পিতা আওলাদুর রসূল হযরত আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গি দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং উনার মাতা ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল হযরত উম্মুল খইর আমাতুল জাব্বার ফাতিমা রহমতুল্লাহি আলাইহা উনাদের মুবারক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে দেখা যায়। এ মুবারক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত এবং আবশ্যিকভাবে প্রয়োজন। কারণ বুযূর্গ পিতা-মাতা উনাদের তাক্বওয়া অবলম্বন এবং সুন্নত ও পর্দা পালনের একনিষ্ঠতার জন্যই হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি এতো বড় ওলীআল্লাহ হয়েছেন, মুজাদ্দিদ হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রেক্ষিতে লক্ষ্য করার বিষয় হলো পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি হলেন হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ সকল ইমাম, মুজতাহিদ, ওলীআল্লাহ, মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ইমাম, উনাদের সাইয়্যিদ, উনাদের সর্বক্ষণের ফখর, উনাদের ধ্যান-জ্ঞান এবং উনাদের মনোযোগের দায়িমী ক্বিবলা। সুবহানাল্লাহ!
(চলবে)