পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

সংখ্যা: ২৩২তম সংখ্যা | বিভাগ:

৬৪তম পর্ব

[সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহ্মতে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ”-উনার ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব উনার অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লّীন-যোয়াল্লীন-এর শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা)  ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) এবং  ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা) ২৭.  ইসলামের  নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-চলমান), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২০৩তম সংখ্যা) পেশ করা হয়েছে।

আর বর্তমানে ২৮তম ফতওয়াটি অর্থাৎ “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াটি” এখনো পত্র¯’ হচ্ছে। তাই মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা, করানো ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ

সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলাম উনার নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরক ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্র¯’ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” উনার মধ্যে এমনসব লেখাই পত্র¯’ হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক।

বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো ‘ওহাবী সম্প্রদায়’। ইহুদীদের এজেন্ট ওহাবী মতাবলম্বী উলামায়ে ‘ছূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে একের পর এক হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, জায়িযকে নাজায়িয, নাজায়িযকে জায়িয বলে প্রচার করছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

স্মরণীয় যে, ইহুদীদের এজেন্ট, ওহাবী মতাবলম্বী দাজ্জালে কায্যাব তথা উলামায়ে ‘ছূ’রা প্রচার করছে “ছবি তোলার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই”। (নাউযুবিল্লাহ) সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, “নির্বাচন কমিশনার বলেছে, ছবি তোলার বিরুদ্ধে বললে জেল-জরিমানা হবে, নির্বাচন কমিশনার ভোটার আই.ডি কার্ডের জন্য ছবিকে বাধ্যতামূলক করেছে এবং ছবির পক্ষে মসজিদে, মসজিদে প্রচারণা চালাবে বলেও মন্তব্য করেছে। আর উলামায়ে ‘ছূ’রা তার এ বক্তব্যকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে যে, “রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যেই ছবি তোলা জায়িয।” (নাঊযুবিল্লাহ) শুধু তাই নয়, তারা নিজেরাও অহরহ ছবি তুলে বা তোলায়।

অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, চরম বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। তাদের এ বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত ও আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, “রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ছবি তোলা জায়িয” তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। কেননা কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে-

استحلال الـمعصية كفر.

অর্থাৎ “গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” (শরহে আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)

অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে “সূ”দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমানদের আক্বীদা বা ঈমানের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

অনুরূপ “ছবি তোলার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন নিষেধ নেই বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সকলের জন্যে ছবি তোলা জায়িয” উলামায়ে “সূ”দের এ কুফরীমূলক বক্তব্য মুসলমানদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে ছবি তুলবে (যদিও হারাম জেনেই তুলুক না কেন) তারা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজে তথা হারাম কাজে মশগুল হবে যা শক্ত আযাব বা কঠিন গুনাহের কারণ। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نـمير فراى فى صفته تـماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى صلى الله عليه وسلم يقول ان اشد الناس عذابا عند الله الـمصورون.

অর্থঃ হযরত আ’মাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি হযরত মাসরূক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইর উনার ঘরে ছিলাম, তিনি উনার ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকট শুনেছি, তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ ৮৮০)

উক্ত হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় “উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী”  উনার মধ্যে উল্লেখ আছে-

وفى التوضيح قال اصحابنا وغيرهم صورة الحيوان حرام اشد االتحريم وهم من الكبائر.

অর্থ: ‘তাওদ্বীহ’ নামক কিতাবে উল্লেখ আছে যে, হযরত উলামায়ে কিরামগণ প্রত্যেকেই বলেন, জীব জš‘র ছবি বা প্রতিমূর্তি নির্মাণ করা হারাম বরং শক্ত হারাম এবং এটা কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত।

অতএব, নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উলামায়ে “সূ”দের উক্ত বক্তব্য ও বদ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ছবি তুলে প্রকাশ্য হারাম কাজে মশগুল হয়ে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে যা আমলের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষতিকর।

কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা ও হক্ব সমঝদার মুসলমানগণ ঈমান ও আমলকে যেন হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ মূর্তি বা ছবিসহ সকল বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দি হাছিল করতে পারে সে জন্যেই “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়াটি” পুনরায় প্রকাশ করা হলো।

 

প্রাণীর মূর্তি, ভাস্কর্য তৈরি করা-করানো, ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো হারাম ও নাজায়িয হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীল প্রমাণ

 

 

স্মর্তব্য যে, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র তাফসীর শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহ, পবিত্র ফিক্বাহ-ফতওয়া ও উনাদের ব্যাখ্যামূলক নির্ভরযোগ্য ও সর্বজনমান্য সকল কিতাব উনাদের মধ্যে “প্রাণীর ছবি, মূর্তি, প্রতিমা, প্রতিকৃতি, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন,  পুতুল ইত্যাদি তৈরি করা-করানো, তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো হারাম ও নাজায়িয” বলে উল্লেখ আছে। নিম্নে সেসকল কিতাবসমূহ থেকে ধারাবাহিকভাবে এ সম্পর্কিত দলীল প্রমাণ তুলে ধরা হলো-

সম্মানিত ফিক্বাহ, ফতওয়া ও উনাদের নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যাগ্রš’সমূহ থেকে প্রমাণিত যে, মূর্তি, ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি, প্রাণীর ছবি ইত্যাদি হারাম, কুফরী ও শিরকী কাজ

পবিত্র ফিক্বাহ-ফতওয়া ও উনাদের ব্যাখ্যামূলক নির্ভরযোগ্য ও সর্বজনমান্য সকল গ্রš’সমূহে মূর্তি, ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি প্রাণীর ছবি ইত্যাদি তৈরি করা, এদের পূজা করা এগুলোর ব্যবসা করা এবং যে কোন অবস্থায় এগুলোর অনুশীলন করাকে নিষেধ করা হয়েছে। এগুলো তৈরি করা হারাম, এগুলোর পূজা করা কুফরী শিরকী এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদতের বিপরীতে গাইরুল্লাহর ইবাদত করার শামিল। নাউযুবিল্লাহ!

নি¤েœ মূর্তি, ভাস্কর্য, প্রাণীর ছবি নিষেধ সম্পর্কিত বিশ্ববিখ্যাত সর্বজনমান্য পবিত্র ফিক্বা ও ফতওয়া উনাদের কিতাব থেকে ছহীহ সমাধান তুলে ধরা হলো-

সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ফিকাহ ও ফাতাওয়ার কিতাব থেকে দলীল

সম্মানিত ফিকাহ ও সম্মানিত ফাতাওয়া উনাদের কিতাব উনাদের থেকে প্রমাণিত যে- মূর্তি, ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি, প্রতিমা, প্রাণীর ছবি ইত্যাদীর অনুশীলন করা হারাম, নাজায়িয, কুফরী ও র্শিকী কাজ।

(১০৬০)

(ولو لبس فيه ثوبا فيه تصاوير يكره) لانه يشبه حامل الصنم. (الهداية شرح بداية المبتدي في فقه الإمام أبي حنيفة رحمة الله عليه كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: حضرت العلامة الفقيه المجتهد برهان الدين ابو الحسن علي بن أبي بكر بن عبد الجليل الرشدانى الفرغاني المرغيناني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۵۱۱ هجرى سنة الوفاة ۵۹۳ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۶۹ دار الكتب العلمية بيروت لبنان)

অর্থ: (প্রাণীর ছবিযুক্ত পোশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী।) কেননা, সে এতে মূর্তি বহনকারীর অনুরূপ হয়ে যায়। (আল্ হিদায়াহ শরহে বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: হযরত আল্লামা ফক্বীহ মুজতাহিদ বুরহানুদ্দীন আবুল্ হাসান আলী বিন আবূ বাকার বিন আব্দুল্ জলীল রশদানী ফারগানী মারগীনানী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি জন্ম: ৫১১ হিজরী, ওফাত: ৫৯৩ হিজরী ১ম খন্ড ৬৯ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল্ কুতুবিল্ ইলমিয়্যাহ বইরূত লেবনান)

(১০৬১)

(ولا يكره تمثال غير ذى الروح) لانه لا يعبد. (الهداية شرح بداية المبتدي في فقه الإمام أبي حنيفة رحمة الله عليه كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: حضرت العلامة الفقيه المجتهد برهان الدين ابو الحسن علي بن أبي بكر بن عبد الجليل الرشدانى الفرغاني المرغيناني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۵۱۱ هجرى سنة الوفاة ۵۹۳ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۷۰ دار الكتب العلمية بيروت لبنان)

অর্থ: (প্রাণহীনের প্রতিকৃতি বা ছবির চর্চা মাকরূহ তাহরীমী নয়।) কেননা, সেগুলোর উপাসনা করা হয় না। (আল্ হিদায়াহ শরহে বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: হযরত আল্লামা ফক্বীহ মুজতাহিদ বুরহানুদ্দীন আবুল্ হাসান আলী বিন আবূ বাকার বিন আব্দুল্ জলীল রশদানী ফারগানী মারগীনানী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি জন্ম: ৫১১ হিজরী, ওফাত: ৫৯৩ হিজরী ১ম খন্ড ৭০ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল্ কুতুবিল্ ইলমিয়্যাহ বইরূত লেবনান)

আল-ইনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ

লিল্ বাবরতী

অত্র কিতাব মুবারকখানা লিখেছেন, আল্ ইমামুল্ মুহাক্কিক, আল্ হাফিযুল মুদাক্কিক, আল্লামা ইমাম ফক্বীহ আকমালুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ বিন মাহমূদ বাবরতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ওফাত: ৭৮৬ হিজরী।

(১০৬২)

(واطلق الكراهة فى الاصل) اى لم يفصل فى الـمبسوط فى حق الكراهة بين ان يسجد على الصورة او لايسجد. (العناية شرح الهداية شرح بداية المبتدي كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده الجلد ۱ الصفحة ۳۶۲ المؤلف: الامام المحقق الحافظ المدقق العلامة الامام الفقيه اكمل الدين محمد بن محمد بن محمود البابرتى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه الوفاة سنة ۷۸۶ هجرى المكتبة النورية بسكهر الباكستان)

অর্থ: (প্রাণীর ছবি-মূর্তির উপর সিজদাহ করবে না) ‘আল্ মাবসূত’ কিতাবে মাকরূহ হওয়ার বিষয়টি প্রকৃতভাবেই নিঃশর্ত করা হয়েছে। এভাবে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, প্রাণীর ছবি-মূর্তির উপর সিজদাহ করুক অথবা তার উপর সিজদাহ না-ই করুক, প্রাণীর ছবি-মূর্তি মুছাল্লীর আশেপাশে থাকলেই নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে। (আল্ ইনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ শরহে বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী ১ম খন্ড ৩৬২ পৃষ্ঠা লেখক: আল্লামা ইমাম ফক্বীহ আকমালুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ বিন মাহমূদ বাবরতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ওফাত: ৭৮৬ হিজরী প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুন্ নূরিয়াহ সাখ্খার পাকিস্তান)

(১০৬৩)

(لحديث جبريل) روى ان جبريل عليه السلام استأذن على رسول الله صلى الله عليه و سلم فقال له ادخل فقال كيف ادخل بيتا عليه ستر فيه تماثيل حيوان او رجال اما ان تقطع رؤوسها او تجعل بساطا يوطأ انا معاشر الـملائكة لاندخل بيتا فيه كلب او صورة. (العناية شرح الهداية شرح بداية المبتدي كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده الجلد ۱ الصفحة ۳۶۳ المؤلف: الامام المحقق الحافظ المدقق العلامة الامام الفقيه اكمل الدين محمد بن محمد بن محمود البابرتى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه الوفاة سنة ۷۸۶ هجرى المكتبة النورية بسكهر الباكستان)

অর্থ: (হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট পবিত্র হাদীছ শরীফ) বর্ণিত রয়েছে, নিশ্চয়ই হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি একদা সাইয়্যিদুল্, মুরসালীন ইমামুল্ মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি চাইলেন। তাই তিনি উনাকে প্রবেশের অনুমতি দিলেন। তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আমি ঘরে কিভাবে প্রবেশ করি? অথচ ঘরে একটি পর্দায় প্রাণীর ছবি আছে। যাতে এগুলির মাথা কেটে দেয়া হয় অথবা বাকী অংশ দ্বারা বিছানা বানানো হয়। নিশ্চয়ই আমরা হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম এমন ঘরে প্রবেশ করি না যে ঘরে কুকুর অথবা প্রাণীর ছবি-মূর্তি থাকে। (আল্ ইনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ শরহে বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী ১ম খন্ড ৩৬৩ পৃষ্ঠা লেখক: আল্লামা ইমাম ফক্বীহ আকমালুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ বিন মাহমূদ বাবরতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ওফাত: ৭৮৬ হিজরী প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুন্ নূরিয়াহ সাখ্খার পাকিস্তান)

(১০৬৪)

(وإذا كان التمثال مقطوع الرأس أى ممحو الرأس) انما فسره بهذا اشارة الى انه لو قطع رأسه بخيط من الحلقوم كانت الكراهة باقية لان من الطير ما هو مطوق أما ما محى راسه بحيث لا يرى لا يكره لما ذكر انه لايعبد بلا راس فكان كالجمادات. (العناية شرح الهداية شرح بداية المبتدي كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده الجلد ۱ الصفحة ۳۶۳ المؤلف: الامام المحقق الحافظ المدقق العلامة الامام الفقيه اكمل الدين محمد بن محمد بن محمود البابرتى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه الوفاة سنة ۷۸۶ هجرى المكتبة النورية بسكهر الباكستان)

অর্থ: (প্রাণীর ছবি-মূর্তি যদি মাথা কাটার কারণে আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায় অর্থাৎ মাথা মিটিয়ে দেয়ার কারণে) এই ইবারতের ব্যাখ্যা দ্বারা ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, প্রাণীর ছবির হুকুম থেকে মাথা কাটার পরো কখনো কখনো তা মাকরূহ তাহরীমীর হুকুমের আয়োতাভুক্ত থাকে (মাথা কাটার পর আকৃতি বুঝা যাওয়ার কারণে)। পাখি তার মাথাকে ভিতরে ঢুকায়ে রাখে। এ অবস্থায় তাকে মাথা কাটার মতোই দেখা যাওয়ার কারণে তার মাথা দৃষ্টিগোচর হয় না বিধায় এমন ছবি মাকরূহ তাহরীমী হয় না। আর যার মাথা নেই তা জড়ব¯‘র মতো দেখা যাওয়ার কারণে তার উপাসনা বা পূজা করা প্রমাণীত হয় না। (আল্ ইনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ শরহে বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফ্সিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াক্রাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী ১ম খন্ড ৩৬৩ পৃষ্ঠা লেখক: আল্লামা ইমাম ফক্বীহ আকমালুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ বিন মাহমূদ বাবরতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ওফাত: ৭৮৬ হিজরী প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুন্ নূরিয়াহ সাখ্খার পাকিস্তান)

(১০৬৫)

(فصار كالصلاة الى شمع او سراج( فى انهما لا يعبدان و انما قال (على ما قالوا) اشارة الى ان بعضهم قال يكره ذلك كما لو كان بين يديه كانون فيه جمر او نار موقدة والصحيح ما قالوا لما ذكر انهما لايعبدان. (العناية شرح الهداية شرح بداية المبتدي كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده الجلد ۱ الصفحة ۳۶۳ المؤلف: الامام المحقق الحافظ المدقق العلامة الامام الفقيه اكمل الدين محمد بن محمد بن محمود البابرتى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه الوفاة سنة ۷۸۶ هجرى المكتبة النورية بسكهر الباكستان)

অর্থ: {সুতরাং তা (অর্থাৎ মাথা কাটার কারনে যে ছবিগুলো গাছের মত দেখা যায়) প্রদীপ অথবা মোমবাতি সামনে রেখে ছলাত আদায় করার মতই হয়} কেননা, নামাযের সময় এগুলো উপাসনার জন্য রাখা হয় না) ‘হিদায়াহ’ গ্রš’কার বলেন, (হক্কানী-রব্বানী উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এমনটিই ফাতাওয়া দিয়েছেন) কতক উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মতে, নামাযের সামনে প্রদীপ অথবা মোমবাতি থাকলে তা প্রজ্বলিত অঙ্গার অথবা প্রজ্বলিত আগুন হওয়ায় নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে। কিন্তু ছহীহ মত এটাই যা উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘হিদায়াহ’ গ্রš’কার লিখেছেন যে, নামাযের সামনে প্রদীপ অথবা মোমবাতি থাকলে নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে না। কারণ নামাযের উদ্দেশ্য প্রদীপ বা বাতির উপাসনা করা নয়, বরং আলো লাভ করাই উদ্দেশ্য। (আল্ ইনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ শরহে বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফ্সিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াক্রাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী ১ম খন্ড ৩৬৩ পৃষ্ঠা লেখক: আল্লামা ইমাম ফক্বীহ আকমালুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ বিন মাহমূদ বাবরতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ওফাত: ৭৮৬ হিজরী প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুন্ নূরিয়াহ সাখ্খার পাকিস্তান)

(১০৬৬)

( وَلَا يُكْرَهُ تِمْثَالُ غَيْرِ ذِى الرُّوحِ ) لِمَا رُوِىَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ نَهَى مُصَوِّرًا عَنْ التَّصْوِيرِ فَقَالَ: كَيْفَ أَصْنَعُ وَهُوَ كَسْبِى؟ قَالَ: إنْ لَمْ يَكُنْ بُدٌّ فَعَلَيْك بِتِمْثَالِ الْأَشْجَارِ، وَفِى هَذَا إشَارَةٌ إلَى أَنَّ التِّمْثَالَ وَالصُّورَةَ وَاحِدٌ. (العناية شرح الهداية شرح بداية المبتدي كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده الجلد ۱ الصفحة ۳۶۴ المؤلف: الامام المحقق الحافظ المدقق العلامة الامام الفقيه اكمل الدين محمد بن محمد بن محمود البابرتى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه الوفاة سنة ۷۸۶ هجرى المكتبة النورية بسكهر الباكستان)

অর্থ: (প্রাণহীনের ছবি-প্রতিকৃতি থাকলে নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে না) যেমনটি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে। তিনি একদা একজন প্রাণীর ছবি অঙ্কনকারীকে ছবি অঙ্কন করতে নিষেধ করলেন। উত্তরে লোকটিকে বললেন, আমি কিভাবে তা ত্যাগ করতে পারি অথচ ইহা আমার উপার্জনের পথ? তখন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বললেন, তোমার যদি তা করতেই হয়, তাহলে গাছপালার ছবি অঙ্কন করতে পারো। এ বর্ণনাটি দ্বারা প্রমাণীত হয় যে, প্রাণীর ছবি ও মূর্তি-ভাস্কর্য উভয়ের হুকুম একই ভাবে হারাম ও নাজায়িয। (আল্ ইনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ শরহে বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফ্সিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াক্রাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী ১ম খন্ড ৩৬৪ পৃষ্ঠা লেখক: আল্লামা ইমাম ফক্বীহ আকমালুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ বিন মাহমূদ বাবরতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ওফাত: ৭৮৬ হিজরী প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুন্ নূরিয়াহ সাখ্খার পাকিস্তান)

আল-বিনায়াহ লিল্ আইনী

(আইনী শরহে হিদায়াহ)

অত্র ‘আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ আলা বিদায়াতিল্ মুবতাদী’ কিতাব মুবারকখানা লিখেছেন, ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী, ওফাত: ৮৫৫ হিজরী।

(১০৬৭)

(ولا يسجد على التصاوير لأنه) اى لان السجود على الصورة. (البناية شرح الهداية المشهور: عينى شرح هداية كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره للمصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: قاضي القضاة الامام الفقيه المجتهد المحدث المؤرخ حضرت العلامة بدر الدين ابو محمد محمود بن احمد بن موسى بن احمد العيني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۷۶۲ هجرى سنة الوفاة ۸۵۵ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۸۰۷  المكتبة الامدادية باب العمرة المكة المكرمة)

অর্থ: (প্রাণীর ছবি-মূর্তির উপর সিজদাহ করবে না। কেননা) অর্থাৎ এতে মূর্তি বা প্রতিমার উপাসনা করা প্রমাণিত হয় বিধায় এমন স্থানে নামায পড়া জায়িয হবে না। (আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ মাশহূর: আইনী শরহে হিদায়াহ অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী ওফাত: ৮৫৫ হিজরী ১ম খন্ড ৮০৭ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুল্ ইমদাদিয়াহ বাবুল্ উমরাহ আল্ মাক্কাতুল্ মুর্কারামাহ)

(১০৬৮)

(يشبه عبادة الصورة) لانه يشبه فعل الكفار العبدة الاصنام. (البناية شرح الهداية المشهور: عينى شرح هداية كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره للمصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: قاضي القضاة الامام الفقيه المجتهد المحدث المؤرخ حضرت العلامة بدر الدين ابو محمد محمود بن احمد بن موسى بن احمد العيني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۷۶۲ هجرى سنة الوفاة ۸۵۵ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۸۰۷  المكتبة الامدادية باب العمرة المكة المكرمة)

অর্থ: (প্রাণীর ছবি-ভাস্কর্যের উপর সিজদাহ করাতে মূর্তি পূজার সাথে সাদৃশ্য হয়) কেননা, এ কাজ কাফির-মুশরিকদের প্রতিমা বা মূর্তির উপাসনার সাথে মিলে যায়। (আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ মাশহূর: আইনী শরহে হিদায়াহ অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী, ওফাত: ৮৫৫ হিজরী ১ম খন্ড ৮০৭ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুল্ ইমদাদিয়াহ বাবুল্ উমরাহ আল্ মাক্কাতুল্ মুর্কারামাহ)

(১০৬৯)

(واطلق الكراهة في الاصل) اطلق محمد رحمة الله عليه الكراهة فى الاصل اى لم يفصل بين ان يكون الصورة فى موضع السجود او فى غيره فانه قال فان صلى على بساط فيه تماثيل يكره.

(البناية شرح الهداية المشهور: عينى شرح هداية كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره للمصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: قاضي القضاة الامام الفقيه المجتهد المحدث المؤرخ حضرت العلامة بدر الدين ابو محمد محمود بن احمد بن موسى بن احمد العيني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ৭৬২ هجرى سنة الوفاة ۸۵۵ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۸۰۷ المكتبة الامدادية باب العمرة المكة المكرمة)

অর্থ: (মূলত: প্রাণীর ছবি মূর্তি ভাস্কর্যের উপর সিজদাহ করা মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার বিষয়টি সর্বসম্মত ফায়সালা হিসেবে স্বীকৃত) সাধারণত: হযরত ইমাম মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি মৌলিকভাবে এটাকে মাকরূহ তাহরীমী বা হারাম বলে ফাতাওয়া দিয়েছেন অর্থাৎ প্রাণীর ছবি-মূর্তি সিজদার স্থানে থাক অথবা আশেপাশে অন্য স্থানে থাক এমতাবস্থায় নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে। কেননা, তিনি বলেছেন- প্রাণীর ছবি মূর্তি ভাস্কর্য ইত্যাদী যদি বিছানায় থাকে তাহলে সেখানে নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে। (আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ মাশহূর: আইনী শরহে হিদায়াহ অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী, ওফাত: ৮৫৫ হিজরী ১ম খন্ড ৮০৭ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুল্ ইমদাদিয়াহ বাবুল্ উমরাহ আল্ মাক্কাতুল্ মুর্কারামাহ)

(১০৭০)

(لأن الـمصلى معظم) هذا تعليل الاطلاق و المصلى بالفتح الـميم و اراد به الـمسجد التى يصلى فيه قوله معظم بفتح الظاء اى مستحق للتعظيم لانها حد للصلاة فاستحق التعظيم من سائر البسط فلو كان فيه صورة كان بنوع تعظيم لـها و نحن امرنا باهانتها فلا ينبغى ان تكون فى الـمصلى مطلقا يسجد عليها او لـم يسجد. (البناية شرح الهداية المشهور: عينى شرح هداية كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره للمصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: قاضي القضاة الامام الفقيه المجتهد المحدث المؤرخ حضرت العلامة بدر الدين ابو محمد محمود بن احمد بن موسى بن احمد العيني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۷۶۲ هجرى سنة الوفاة ۸۵۵ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۸۰۷ المكتبة الامدادية باب العمرة المكة المكرمة)

অর্থাৎ: (কেননা, অন্যান্য বিছানার তুলনায় মাছাল্লা তথা নামাযের স্থান বা মাসজিদকে সম্মানের সাথে দেখা হয়) এটা সাধারণ ব্যাখ্যা। ‘আল্ মাছাল্লা’ শব্দটি মীম বর্ণে যবর যোগে পড়তে হবে। শব্দখানা দ্বারা মাসজিদ উদ্দেশ্য, যেখানে নামায পড়া হয়। ‘মুয়ায্যামুন’ শব্দখানার যো বর্ণে যবর যোগে পড়তে হবে। অর্থাৎ সম্মানের উপযুক্ত। কেননা, নামাযের বিছানা গুলো অন্য বিছানার থেকে অধিক সম্মানের হক্বদার। তাই নামাযের মাছাল্লা বা মাসজিদে প্রাণীর ছবি বা মূর্তি থাকলে এ ছবি বা মূর্তিগুলোকে অধিক সম্মান দেখানো প্রামাণিত হচ্ছে! অথচ আমাদের ফাতাওয়া ছিলো এগুলোকে উৎক্ষাতের মাধ্যমে লাঞ্চনা প্রদর্শন করা। অতএব, স্বাভাবিক ভাবেই মাছাল্লা বা মাসজিদে-নামাযের স্থানে প্রাণীর ছবি মূর্তি প্রতিমা প্রতিকৃতি ভাস্কর্য ম্যানিকিন পুতুল কার্টুন ইত্যাদী থাকলে নামায জায়িয হবে না; এতে এগুলোর উপর সিজদাহ করুক অথবা না-ই করুক (অর্থাৎ নামাযী ব্যক্তির জায়নামাযে, সামনে, পিছনে, ডানে, বামে, উপরে, নিচে, মাসজিদে, বাড়ীতে, যেকোন স্থানে, প্রাণীর ছবি মূর্তি প্রতিমা প্রতিকৃতি ভাস্কর্য ম্যানিকিন পুতুল কার্টুন ইত্যাদী থাকলে সেখানে নামায পড়া জায়িয হবে না। নামায পড়লেও তা কবূল হবে না)। (আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ মাশহূর: আইনী শরহে হিদায়াহ অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী, ওফাত: ৮৫৫ হিজরী ১ম খন্ড ৮০৭ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুল্ ইমদাদিয়াহ বাবুল্ উমরাহ আল্ মাক্কাতুল্ মুর্কারামাহ)

(১০৭১)

(او صورة معلقة) فى السقف و نحوه او كان فى استاره معلقة و نحوها. (البناية شرح الهداية المشهور: عينى شرح هداية كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره للمصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: قاضي القضاة الامام الفقيه المجتهد المحدث المؤرخ حضرت العلامة بدر الدين ابو محمد محمود بن احمد بن موسى بن احمد العيني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۷۶۲ هجرى سنة الوفاة ۸۵۵ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۸۰۷  المكتبة الامدادية باب العمرة المكة المكرمة)

অর্থ: (লটকানো কিছুতে প্রাণীর ছবি-মূর্তি থাকে; তাহলে এমন স্থানে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী হবে) ছাদে ও অনুরূপ অন্য জায়গায় অথবা লটকানো পর্দায় ও অনুরূপ কোন কিছুতে প্রাণীর ছবি-মূর্তি থাকলে নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে। (আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ মাশহূর: আইনী শরহে হিদায়াহ অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী, ওফাত: ৮৫৫ হিজরী ১ম খন্ড ৮০৭ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুল্ ইমদাদিয়াহ বাবুল্ উমরাহ আল্ মাক্কাতুল্ মুর্কারামাহ)

(১০৭২)

(ولو كانت الصورة صغيرة بحيث لا تبدو) اى لا يظهر. (البناية شرح الهداية المشهور: عينى شرح هداية كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره للمصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: قاضي القضاة الامام الفقيه المجتهد المحدث المؤرخ حضرت العلامة بدر الدين ابو محمد محمود بن احمد بن موسى بن احمد العيني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۷۶۲ هجرى سنة الوفاة ۸۵۵ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۸۰۸ المكتبة الامدادية باب العمرة المكة المكرمة)

অর্থ: (প্রাণীর ছবি যদি এমন ছোট হয় যে, তা ছবি হিসেবে বুঝা যায় না) অর্থাৎ ছোট হওয়ার কারণে যদি ছবি হিসেবে প্রকাশমান না হয়, বরং কালির মতো দেখা যায়। তাহলে তা মাকরূহ তাহরীমী হবে না। (আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ মাশহূর: আইনী শরহে হিদায়াহ অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী, ওফাত: ৮৫৫ হিজরী ১ম খন্ড ৮০৮ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুল্ ইমদাদিয়াহ বাবুল্ উমরাহ আল্ মাক্কাতুল্ মুর্কারামাহ)

(১০৭৩)

(للناظر لا يكره لأن الصغار جدا لا تعبد) لان الكراهة باعتبار شبه العبادة. (البناية شرح الهداية المشهور: عينى شرح هداية كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره للمصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: قاضي القضاة الامام الفقيه المجتهد المحدث المؤرخ حضرت العلامة بدر الدين ابو محمد محمود بن احمد بن موسى بن احمد العيني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۷۶۲ هجرى سنة الوفاة ۸۵۵ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۸۰۸ المكتبة الامدادية باب العمرة المكة المكرمة(

অর্থ: (প্রাণীর ছবি যদি এমন ছোট হয় যে, তা দৃষ্টিতে আসে না, তাহলে তা মাকরূহ তাহরীমী হবে না। কেননা, অতিরিক্ত ছোট হওয়ার কারণে তা বুঝা যায় না, তাই তার পাশে নামায পড়াতে তা পূজা হিসেবে বিবেচিত হয় না) কেননা, প্রতিমার উপাসনা সাদৃশ্য হওয়ায় মাকরূহ তাহরীমী হওয়াই গ্রহণযোগ্য মত। (আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ মাশহূর: আইনী শরহে হিদায়াহ অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী, ওফাত: ৮৫৫ হিজরী ১ম খন্ড ৮০৮ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুল্ ইমদাদিয়াহ বাবুল্ উমরাহ আল্ মাক্কাতুল্ মুর্কারামাহ)

(১০৭৪)

(لانه لا يعبد بدون الرأس) اى لان التمثال لا يعبد اذا كان بلا راس لانه يصير كغيره من الجمادات. (البناية شرح الهداية المشهور: عينى شرح هداية كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره للمصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: قاضي القضاة الامام الفقيه المجتهد المحدث المؤرخ حضرت العلامة بدر الدين ابو محمد محمود بن احمد بن موسى بن احمد العيني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۷۶۲ هجرى سنة الوفاة ۸۵۵ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۸۰۹ المكتبة الامدادية باب العمرة المكة المكرمة(

অর্থ: (কেননা, প্রাণীর ছবি মস্তকহীন অবস্থায় থাকায় তার মূর্তিপূজা করা প্রমাণীত হয় না) অর্থাৎ প্রাণীর ছবি যদি মস্তকহীন অবস্থায় থাকায় তা জড়ব¯‘র মতো হয়ে যায় তবে তার দ্বারা মূর্তিপূজা প্রমাণিত হবে না। (আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ মাশহূর: আইনী শরহে হিদায়াহ অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী, ওফাত: ৮৫৫ হিজরী ১ম খন্ড ৮০৯ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুল্ ইমদাদিয়াহ বাবুল্ উমরাহ আল্ মাক্কাতুল্ মুর্কারামাহ)

(১০৭৫-১০৭৬)

(على ما قالوا) اشار به الى ان فيه اختلاف الـمشائخ حيث قيل يكره التوجه الى السراج و الشمع و الـمختار انه لا يكره و فى الـمحيط ان توجه الى سراج او قنديل او شمع لا يكره و كذا ذكر قاضيخان من غير اشارة اليه بخلاف اذا توجه الى تنور او كانون فيه نار تتوقد فيه انه يكره لانه يشبه العبادة لانه فعل الـمجوس فانهم لا يعبدون الا نارا موقدة. (البناية شرح الهداية المشهور: عينى شرح هداية كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره للمصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: قاضي القضاة الامام الفقيه المجتهد المحدث المؤرخ حضرت العلامة بدر الدين ابو محمد محمود بن احمد بن موسى بن احمد العيني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۷۶۲ هجرى سنة الوفاة ۸۵۵ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۸۰۹ المكتبة الامدادية باب العمرة المكة المكرمة(

অর্থ: (হক্কানী-রব্বানী উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এমটিই ফাতাওয়া দিয়েছেন) হযরত উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা প্রদীপ অথবা মোমবাতি সামনে রেখে নামায পড়ার বিষয়ে ইখতিলাফ করেছেন। কেউ বলেন, প্রদীপ ও মোমবাতির দিকে মুখ করে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী। কিন্তু গ্রহণযোগ্য মত হলো- মাকরূহ হবে না। ‘আল্ মুহীত’ কিতাবে আছে: প্রদীপ, মোমবাতি অথবা কুপি সামনে রেছে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী নয়। আল্লামা ক্বাযীখান রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি কোন ইঙ্গিত ছাড়াই অনুরূপ বলেছেন। তবে তিনি এর খিলাফ করে বলেছেন যে- যদি প্রজ্বলিত চুলা অথবা অগ্নিকুন্ড সামনে রেখে নামায পড়া হয় তাহলে তা মাকরূহ তাহরীমী হবে। কেননা, এটা অগ্নি পূজার মতোই হয়, এটা তো মাজূসী বা অগ্নি উপাসকদের কাজ আর তারা তো প্রজ্বলিত অগ্নিকুন্ড ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা করে না। (আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ মাশহূর: আইনী শরহে হিদায়াহ অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী, ওফাত: ৮৫৫ হিজরী ১ম খন্ড ৮০৯ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুল্ ইমদাদিয়াহ বাবুল্ উমরাহ আল্ মাক্কাতুল্ মুর্কারামাহ)

(১০৭৭)

(بخلاف ما اذا كانت الوسادة منصوبة او كانت) اى الصورة (على الستر) اى على الستارة (لانه تعظيم لـها) اى لان الصلوة اليها تعظيم لها فتكره … (واشدها كراهة) اى الصورة من حيث الكراهة (ان تكون امام المصلي) اى اقدامه (ثم من فوق رأسه) ثم ان يكون من فوق راسه (ثم على يمينه) اى ثم ان يكون على يمينه (ثم على شماله) اى ثم ان يكون على شماله (ثم خلفه) اى ثم ان يكون خلفه. (البناية شرح الهداية المشهور: عينى شرح هداية كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره للمصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: قاضي القضاة الامام الفقيه المجتهد المحدث المؤرخ حضرت العلامة بدر الدين ابو محمد محمود بن احمد بن موسى بن احمد العيني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۷۶۲ هجرى سنة الوفاة ۸۵۵ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۸۰۹ المكتبة الامدادية باب العمرة المكة المكرمة(

অর্থ: (বালিশ খাড়া করে রাখা কিংবা ঝুলন্ত পর্দায় প্রাণীর ছবি থাকলে ভিন্ন কথা) অর্থাৎ তা মাকরূহ তাহরীমী হবে। (কেননা, এতে মূর্তি বা প্রাণীর ছবিকে সম্মান দেখানো হয়।) অর্থাৎ এগুলোতে থাকার কারণে এগুলোকে সম্মান করা হয় বিধায় মাকরূহ তাহরীমী হবে।… (কঠিনতম মাকরূহ তথা হারাম হচ্ছে) অর্থাৎ প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য, প্রতিমা, ম্যানিকিন, পুতুল ইত্যাদী। (প্রাণীর ছবি-মূর্তি মুছাল্লীর সামনে থাকা,) অর্থাৎ পা থেকে শুরু করে সামনের দিকে (অতপর মাথার উপরে থাকা,) মাথা থেকে শুরু করে উপর দিকে (এরপর ডান দিকে থাকা,) পা থেকে শুরু করে ডান দিকে (এরপর বাম দিকে থাকা,) পা থেকে শুরু করে বাম দিকে (অতপর পিছনে থাকা) পা থেকে শুরু করে পিছনের দিকে। (আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ মাশহূর: আইনী শরহে হিদায়াহ অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী, ওফাত: ৮৫৫ হিজরী ১ম খন্ড ৮০৯ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুল্ ইমদাদিয়াহ বাবুল্ উমরাহ আল্ মাক্কাতুল্ মুর্কারামাহ)

(১০৭৮-১০৭৯)

(ولو لبس ثوبا فيه تصاوير يكره لانه يشبه حامل الصنم) و الصنم ما يعمل من خشب او ذهب او فضة صورة انسان و اذا كان من حجارة فهو وثن، و فى الذخيرة و كره فى الكتاب الصلوة بخاتم فيه تماثيل لانه من ذى الاعاجم. (البناية شرح الهداية المشهور: عينى شرح هداية كتاب الصلاة باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره للمصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده المؤلف: قاضي القضاة الامام الفقيه المجتهد المحدث المؤرخ حضرت العلامة بدر الدين ابو محمد محمود بن احمد بن موسى بن احمد العيني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۷۶۲ هجرى سنة الوفاة ۸۵۵ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۸۱۰ المكتبة الامدادية باب العمرة المكة المكرمة(

অর্থ: (প্রাণীর ছবিযুক্ত পোশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। কেননা, সে এতে মূর্তি বহনকারীর অনুরূপ হয়ে যায়) কাঠ, সোনা ও রূপা দ্বারা তৈরীকৃত মানুষের আকৃতিকে ছনাম বা মূর্তি বলা হয়। আর যখন পাথর দিয়ে তৈরী করা হয় তখন তাকে ওয়াছান বা মূর্তি বলা হয়। ‘আয্ যখীরাহ’ কিতাবে উল্লেখ আছে, মূর্তি, প্রতিকৃতি বা প্রাণীর ছবিযুক্ত আংটিসহ নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী, কেননা তা আযমীদের রসম-রেওয়াজ। (আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ মাশহূর: আইনী শরহে হিদায়াহ অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী, ওফাত: ৮৫৫ হিজরী ১ম খন্ড ৮১০ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুল্ ইমদাদিয়াহ বাবুল্ উমরাহ আল্ মাক্কাতুল্ মুর্কারামাহ)

(১০৮০-১০৮১)

(ولا يكره تمثال غير ذى الروح لانه لا يعبد) و قد جاء فى صحيح مسلم عن ابن عباس رضى الله عنه انه قال كنت لا بد فاعلا فاصنع الشجر و ما لا نفس له، فروع يكره اتخاذ الصورة فى البيوت و يكره الدخول فى مثل هذه البيوت و الجلوس. (البناية شرح الهداية المشهور: عينى شرح هداية كتاب الصلاة  باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره للمصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده  المؤلف: قاضي القضاة الامام الفقيه المجتهد المحدث المؤرخ حضرت العلامة بدر الدين ابو محمد محمود بن احمد بن موسى بن احمد العيني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۷۶۲ هجرى سنة الوفاة ۸۵۵ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۸۱۰ المكتبة الامدادية باب العمرة المكة المكرمة(

অর্থ: (প্রাণহীনের প্রতিকৃতি বা ছবির চর্চা মাকরূহ তাহরীমী নয়। কেননা, সেগুলোর উপাসনা করা হয় না)। ছহীহ মুসলিম শরীফে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলেছেন যে, যদি তোমার ছবি আঁকতেই হয় তাহলে গাছ-পালার ছবি আঁকো এবং যার কোন প্রাণ নেই। ঘরের ভিতর প্রাণীর ছবি রাখা, সে ঘরে প্রবেশ করা এবং বসা মাকরূহ তাহরীমী। (আল্ বিনায়াহ শরহুল্ হিদায়াহ মাশহূর: আইনী শরহে হিদায়াহ অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: ক্বাযিল্ কুযাত ইমাম ফক্বীহ মুজতাহিদ মুহাদ্দিছ মুয়াররিখ হযরত আল্লামা বদরুদ্দীন আবূ মুহাম্মাদ মাহমূদ বিন আহমাদ বিন মূসা বিন আহমাদ আইনী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৭৬২ হিজরী, ওফাত: ৮৫৫ হিজরী ১ম খন্ড ৮১০ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আল্ মাকতাবাতুল্ ইমদাদিয়াহ বাবুল্ উমরাহ আল্ মাক্কাতুল্ মুর্কারামাহ)

 

অসমাপ্ত-

পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মুর্তি তৈরী করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-১১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মুর্তি তৈরী করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-১২

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক (৩০তম পর্ব)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৭তম পর্ব)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (পর্ব-৩১)