সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহ্মতে æগবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ”-উনার ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব উনার অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র æমাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লিন-যোয়াল্লীন-এর শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) এবং ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা) ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-চলমান), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২০৩তম সংখ্যা) পেশ করা হয়েছে।
আর বর্তমানে ২৮তম ফতওয়াটি অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াটি” এখনো পত্রস্থ হচ্ছে। তাই মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা, করানো ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ
সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলাম উনার নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরক ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- æমাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ æমাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” উনার মধ্যে এমনসব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক।
বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো ‘ওহাবী সম্প্রদায়’। ইহুদীদের এজেন্ট ওহাবী মতাবলম্বী উলামায়ে ‘ছূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে একের পর এক হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, জায়িযকে নাজায়িয, নাজায়িযকে জায়িয বলে প্রচার করছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
স্মরণীয় যে, ইহুদীদের এজেন্ট, ওহাবী মতাবলম্বী দাজ্জালে কায্যাব তথা উলামায়ে ‘ছূ’রা প্রচার করছে æছবি তোলার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই”। (নাউযুবিল্লাহ) সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, æনির্বাচন কমিশনার বলেছে, ছবি তোলার বিরুদ্ধে বললে জেল-জরিমানা হবে, নির্বাচন কমিশনার ভোটার আই.ডি কার্ডের জন্য ছবিকে বাধ্যতামূলক করেছে এবং ছবির পক্ষে মসজিদে, মসজিদে প্রচারণা চালাবে বলেও মন্তব্য করেছে। আর উলামায়ে ‘ছূ’রা তার এ বক্তব্যকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে যে, æরাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যেই ছবি তোলা জায়িয।” (নাঊযুবিল্লাহ) শুধু তাই নয়, তারা নিজেরাও অহরহ ছবি তুলে বা তোলায়।
অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, চরম বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। তাদের এ বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত ও আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, æরাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ছবি তোলা জায়িয” তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। কেননা কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে-
استحلال الـمعصية كفر.
অর্থাৎ æগুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” (শরহে আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)
অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে æসূ”দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমানদের আক্বীদা বা ঈমানের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।
অনুরূপ æছবি তোলার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন নিষেধ নেই বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সকলের জন্যে ছবি তোলা জায়িয” উলামায়ে æসূ”দের এ কুফরীমূলক বক্তব্য মুসলমানদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে ছবি তুলবে (যদিও হারাম জেনেই তুলুক না কেন) তারা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজে তথা হারাম কাজে মশগুল হবে যা শক্ত আযাব বা কঠিন গুনাহের কারণ। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نـمير فراى فى صفته تـماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى صلى الله عليه وسلم يقول ان اشد الناس عذابا عند الله الـمصورون.
অর্থঃ হযরত আ’মাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি হযরত মাসরূক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইর উনার ঘরে ছিলাম, তিনি উনার ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকট শুনেছি, তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, æনিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ ৮৮০)
উক্ত হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় æউমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী” উনার মধ্যে উল্লেখ আছে-
وفى التوضيح قال اصحابنا وغيرهم صورة الحيوان حرام اشد االتحريم وهم من الكبائر.
অর্থ: ‘তাওদ্বীহ’ নামক কিতাবে উল্লেখ আছে যে, হযরত উলামায়ে কিরামগণ প্রত্যেকেই বলেন, জীব জন্তুর ছবি বা প্রতিমূর্তি নির্মাণ করা হারাম বরং শক্ত হারাম এবং এটা কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উলামায়ে সূ”দের উক্ত বক্তব্য ও বদ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ছবি তুলে প্রকাশ্য হারাম কাজে মশগুল হয়ে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে যা আমলের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষতিকর।
কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা ও হক্ব সমঝদার মুসলমানগণ ঈমান ও আমলকে যেন হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ মূর্তি বা ছবিসহ সকল বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দি হাছিল করতে পারে সে জন্যেই æপবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়াটি” পুনরায় প্রকাশ করা হলো।
প্রাণীর মূর্তি, ভাস্কর্য তৈরি করা-করানো, ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো হারাম ও নাজায়িয হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীল প্রমাণ
স্মর্তব্য যে, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র তাফসীর শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহ, পবিত্র ফিক্বাহ-ফতওয়া ও উনাদের ব্যাখ্যামূলক নির্ভরযোগ্য ও সর্বজনমান্য সকল কিতাব উনাদের মধ্যে æপ্রাণীর ছবি, মূর্তি, প্রতিমা, প্রতিকৃতি, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন, পুতুল ইত্যাদি তৈরি করা-করানো, তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো হারাম ও নাজায়িয” বলে উল্লেখ আছে। নিম্নে সেসকল কিতাবসমূহ থেকে ধারাবাহিকভাবে এ সম্পর্কিত দলীল প্রমাণ তুলে ধরা হলো-
পবিত্র ফিক্বাহ, ফতওয়া ও উনাদের নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যাগ্রন্থসমূহ থেকে প্রমাণিত যে, মূর্তি, ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি, প্রাণীর ছবি ইত্যাদি হারাম, কুফরী ও শিরকী কাজ
পবিত্র ফিক্বাহ-ফতওয়া ও উনাদের ব্যাখ্যামূলক নির্ভরযোগ্য ও সর্বজনমান্য সকল গ্রন্থসমূহে মূর্তি, ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি প্রাণীর ছবি ইত্যাদি তৈরি করা, এদের পূজা করা এগুলোর ব্যবসা করা এবং যে কোন অবস্থায় এগুলোর অনুশীলন করাকে নিষেধ করা হয়েছে। এগুলো তৈরি করা হারাম, এগুলোর পূজা করা কুফরী শিরকী এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদতের বিপরীতে গাইরুল্লাহর ইবাদত করার শামিল। নাউযুবিল্লাহ!
নিম্নে মূর্তি, ভাস্কর্য, প্রাণীর ছবি নিষেধ সম্পর্কিত বিশ্ববিখ্যাত সর্বজনমান্য পবিত্র ফিক্বা ও ফতওয়া উনাদের কিতাব থেকে ছহীহ সমাধান তুলে ধরা হলো-
সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ফিকাহ ও ফাতাওয়ার কিতাব থেকে দলীল
সম্মানিত ফিকাহ ও সম্মানিত ফাতাওয়া উনাদের কিতাব উনাদের থেকে প্রমাণিত যে- মূর্তি, ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি, প্রতিমা, প্রাণীর ছবি ইত্যাদীর অনুশীলন করা হারাম, নাজায়িয, কুফরী ও র্শিকী কাজ।
(১০৫৩)
وَتُكْرَهُ التَّصَاوِيرُ فِى الْبُيُوتِ لِمَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ سَيِّدِنَا جِبْرِيلَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَنَّهُ قَالَ { لَا نَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ أَوْ صُورَةٌ }…
ثُمَّ الْمَكْرُوهُ صُورَةُ ذِي الرُّوحِ فَأَمَّا صُورَةُ مَا لَا رُوحَ لَهُ مِنْ الْأَشْجَارِ وَالْقَنَادِيلِ وَنَحْوِهَا فَلَا بَأْسَ بِهِ.
)بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع كتاب الاستحسان المؤلف : علاء الدين ابو بكر بن مسعود بن أحمد الكاساني الحنفى رحمة الله عليه الـمتوفى: ۵۸۷ هجرى(
অর্থ: সাধারণত যেকোন ঘরে বা স্থানে প্রাণীর ছবি, মূর্তি ভাস্কর্য রাখা মাকরূহ তাহরীমী। যেমনটি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, æআমরা রহমতের হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম এমন ঘরে প্রবেশ করিনা, যেসমস্ত ঘরে প্রকাশ্যে কুকুর ও প্রানীর ছবি মূর্তি প্রতিমা ভাস্কর্য ইত্যাদি থাকে।”
প্রাণীর ছবি বা প্রতিকৃতি যেখানে প্রকাশ্যে থাকে, সেখানে প্রবেশ করা বা নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী। কিন্তু যেসমস্ত বস্তুর কোন প্রাণ নেই যেমন গাছ-পালা, মোমবাতি-প্রদীপ ও অনুরূপ কিছু থাকাবস্থায় সেস্থানে প্রবেশ করতে ও নামায পড়াতে কোন অসুবিধা নেই। (বাদায়িঊছ ছনায়ি’ ফী তারতীবিশ্ শারায়ি’ অধ্যায়: ইস্তিহসান লেখক: আল্লামা ইমাম আলাউদ্দীন আবূ বকর বিন মাসঊদ বিন আহমাদ কাসানী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ৫৮৭ হিজরী)
বিদায়াতুল্ মুবতাদী লিল্ মারগীনানী
অত্র কিতাব মুবারক খানা লিখেছেন, হযরত আল্লামা ফক্বীহ মুজতাহিদ বুরহানুদ্দীন আবুল্ হাসান আলী বিন আবূ বাকার বিন আব্দুল্ জলীল রশদানী ফারগানী মারগীনানী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৫১১ হিজরী, ওফাত: ৫৯৩ হিজরী।
(১০৫৪)
ولا يسجد على التصاوير ويكره أن يكون فوق رأسه في السقف أو بين يديه أو بحذائه تصاوير أو صورة معلقة وإذا كان التمثال مقطوع الرأس فليس بتمثال. (بداية المبتدي في فقه الإمام أبي حنيفة رحمة الله عليه كتاب الصلاة باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده المؤلف: حضرت العلامة الفقيه المجتهد برهان الدين ابو الحسن علي بن أبي بكر بن عبد الجليل الرشدانى الفرغاني المرغيناني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۵۱۱ هجرى سنة الوفاة ۵۹۳ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۶۹ دار الكتب العلمية بيروت لبنان(
অর্থ: প্রাণীর ছবি মূর্তি ভাস্কর্যের উপর সিজদাহ করবে না। যদি মুছল্লীর মাথার উপরে ছাদে কিংবা সামনে কিংবা জুতায় অথবা লটকানো কিছুতে প্রাণীর ছবি-মূর্তি থাকে; তাহলে এমন স্থানে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী হবে। প্রাণীর ছবি-মূর্তি যদি মাথা কাটার কারণে আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে তা প্রাণীর প্রতিকৃতি হিসেবে বিবেচিত হবে না। (বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: হযরত আল্লামা ফক্বীহ মুজতাহিদ বুরহানুদ্দীন আবুল্ হাসান আলী বিন আবূ বাকার বিন আব্দুল্ জলীল রশদানী ফারগানী মারগীনানী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৫১১ হিজরী, ওফাত: ৫৯৩ হিজরী প্রকাশক: মাকতাবাহ ও মাতবায়াহ মুহাম্মাদ আলী ছুব্হ প্রকাশনা: কায়রো-মিশর)
(১০৫৫)
ولو لبس فيه ثوبا فيه تصاوير يكره ولا يكره تمثال غير ذى الروح. بداية المبتدي في فقه الإمام أبي حنيفة رحمة الله عليه كتاب الصلاة باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده المؤلف: حضرت العلامة الفقيه المجتهد برهان الدين ابو الحسن علي بن أبي بكر بن عبد الجليل الرشدانى الفرغاني المرغيناني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۵۱۱ هجرى سنة الوفاة ۵۹۳ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۶۹ دار الكتب العلمية بيروت لبنان(
অর্থ: প্রাণীর ছবিযুক্ত পোশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। প্রাণহীনের প্রতিকৃতি বা ছবির চর্চা মাকরূহ তাহরীমী নয়। (বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: হযরত আল্লামা ফক্বীহ মুজতাহিদ বুরহানুদ্দীন আবুল্ হাসান আলী বিন আবূ বাকার বিন আব্দুল্ জলীল রশদানী ফারগানী মারগীনানী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি জন্ম: ৫১১ হিজরী, ওফাত: ৫৯৩ হিজরী ১ম খন্ড ৬৯ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল্ কুতুবিল্ ইলমিয়্যাহ বইরূত লেবনান)
আল্ হিদায়াহ শরহে বিদায়াতুল্ মুবতাদী লিল্ মারগীনানী
অত্র কিতাব মুবারক খানা লিখেছেন, হযরত আল্লামা ফক্বীহ মুজতাহিদ বুরহানুদ্দীন আবুল্ হাসান আলী বিন আবূ বাকার বিন আব্দুল্ জলীল রশদানী ফারগানী মারগীনানী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম: ৫১১ হিজরী, ওফাত: ৫৯৩ হিজরী।
(১০৫৬)
)ولا يسجد على التصاوير) لأنه يشبه عبادة الصورة وأطلق الكراهة في الأصل لأن المصلى معظم. (الهداية شرح بداية المبتدي في فقه الإمام أبي حنيفة رحمة الله عليه كتاب الصلاة باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده المؤلف: حضرت العلامة الفقيه المجتهد برهان الدين ابو الحسن علي بن أبي بكر بن عبد الجليل الرشدانى الفرغاني المرغيناني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۵۱۱ هجرى سنة الوفاة ۵۹۳ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۶۹ دار الكتب العلمية بيروت لبنان(
অর্থ: (প্রাণীর ছবি-মূর্তির উপর সিজদাহ করবে না।) কেননা, এতে মূর্তি পূজার সাথে সাদৃশ্য হয়। মূলত: মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার বিষয়টি সর্বসম্মত ফায়সালা হিসেবে স্বীকৃত। কেননা, অন্যান্য বিছানার তুলনায় মুছাল্লাকে সম্মানের সাথে দেখা হয়। (আল্ হিদায়াহ শরহে বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: হযরত আল্লামা ফক্বীহ মুজতাহিদ বুরহানুদ্দীন আবুল্ হাসান আলী বিন আবূ বাকার বিন আব্দুল্ জলীল রশদানী ফারগানী মারগীনানী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি জন্ম: ৫১১ হিজরী, ওফাত: ৫৯৩ হিজরী ১ম খন্ড ৬৯ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল্ কুতুবিল্ ইলমিয়্যাহ বইরূত লেবনান)
(১০৫৭)
)ويكره أن يكون فوق رأسه في السقف أو بين يديه أو بحذائه تصاوير أو صورة معلقة) لحديث جبريل إنا لا ندخل بيتا فيه كلب أو صورة ولو كانت الصورة صغيرة بحيث لا تبدو للناظر لا يكره لأن الصغار جدا لا تعبد. (الهداية شرح بداية المبتدي في فقه الإمام أبي حنيفة رحمة الله عليه كتاب الصلاة باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده المؤلف: حضرت العلامة الفقيه المجتهد برهان الدين ابو الحسن علي بن أبي بكر بن عبد الجليل الرشدانى الفرغاني المرغيناني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۵۱۱ هجرى سنة الوفاة ۵۹۳ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۶۹ دار الكتب العلمية بيروت لبنان(
অর্থ: (মুছাল্লীর মাথার উপরে ছাদে কিংবা সামনে কিংবা জুতায় অথবা লটকানো কিছুতে প্রাণীর ছবি-মূর্তি থাকে; তাহলে এমন স্থানে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী হবে।) কেননা, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমরা হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ এমন ঘরে প্রবেশ করি না যে ঘরে কুকুর ও প্রাণীর ছবি বা মূর্তি থাকে’। প্রাণীর ছবি যদি এমন ছোট হয় যে, তা দৃষ্টিতে আসে না তথা ছবির মত বুঝা যায় না তাহলে তা মাকরূহ তাহরীমী হবে না। কেননা, অতিরিক্ত ছোট হওয়ার কারণে তা ছবির মত বুঝা যায় না, তাই তার পাশে নামায পড়াতে তা পূজা হিসেবে বিবেচিত হয় না। (আল্ হিদায়াহ শরহে বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: হযরত আল্লামা ফক্বীহ মুজতাহিদ বুরহানুদ্দীন আবুল্ হাসান আলী বিন আবূ বাকার বিন আব্দুল্ জলীল রশদানী ফারগানী মারগীনানী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি জন্ম: ৫১১ হিজরী, ওফাত: ৫৯৩ হিজরী ১ম খন্ড ৬৯ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল্ কুতুবিল্ ইলমিয়্যাহ বইরূত লেবনান)
(১০৫৮)
)وإذا كان التمثال مقطوع الرأس) أي ممحو الرأس (فليس بتمثال) لأنه لا يعبد بدون الرأس، وصار كما اذا صلى الى شمع او سراج على ما قالوا. (الهداية شرح بداية المبتدي في فقه الإمام أبي حنيفة رحمة الله عليه كتاب الصلاة باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده المؤلف: حضرت العلامة الفقيه المجتهد برهان الدين ابو الحسن علي بن أبي بكر بن عبد الجليل الرشدانى الفرغاني المرغيناني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۵۱۱ هجرى سنة الوفاة ۵۹۳ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۶۹ دار الكتب العلمية بيروت لبنان(
অর্থ: (প্রাণীর ছবি-মূর্তি যদি মাথা কাটার কারণে আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায় অর্থাৎ গাছের মত দেখা যায়,) মাথা মিটিয়ে দেয়ার কারণে (তাহলে তা প্রাণীর প্রতিকৃতি হিসেবে বিবেচিত হবে না।) কেননা, মস্তকহীন অবস্থায় থাকায় তার মূর্তিপূজা করা প্রমাণীত হয় না। সুতরাং তা প্রদীপ অথবা মোমবাতি সামনে রেখে ছলাত আদায় করার মতোই হলো। হক্কানী-রব্বানী উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এমনটিই ফাতাওয়া দিয়েছেন। (আল্ হিদায়াহ শরহে বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: হযরত আল্লামা ফক্বীহ মুজতাহিদ বুরহানুদ্দীন আবুল্ হাসান আলী বিন আবূ বাকার বিন আব্দুল্ জলীল রশদানী ফারগানী মারগীনানী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি জন্ম: ৫১১ হিজরী, ওফাত: ৫৯৩ হিজরী ১ম খন্ড ৬৯ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল্ কুতুবিল্ ইলমিয়্যাহ বইরূত লেবনান)
(১০৫৯)
بخلاف ما اذا كانت الوسادة منصوبة، او كانت على السترة لانه تعظيم لها، واشدها كراهة ان تكون امام المصلي ثم من فوق رأسه ثم على يمينه ثم على شماله ثم خلفه. (الهداية شرح بداية المبتدي في فقه الإمام أبي حنيفة رحمة الله عليه كتاب الصلاة باب ما يفسد الصلاة و ما يكره فيها فصل ويكره مصلي أن يعبث بثوبه أو بجسده المؤلف: حضرت العلامة الفقيه المجتهد برهان الدين ابو الحسن علي بن أبي بكر بن عبد الجليل الرشدانى الفرغاني المرغيناني الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه سنة الولادة ۵۱۱ هجرى سنة الوفاة ۵۹۳ هجرى الجلد ۱ الصفحة ۶۹ دار الكتب العلمية بيروت لبنان(
অর্থ: খাড়া করে রাখা বালিশ কিংবা ঝুলন্ত পর্দায় প্রাণীর ছবি থাকলে ভিন্ন কথা অর্থাৎ তা মাকরূহ তাহরীমী হবে। কেননা, এতে মূর্তি বা প্রাণীর ছবিকে সম্মান দেখানো হয়। কঠিনতম মাকরূহ হলো প্রাণীর ছবি-মূর্তি মুছাল্লীর সামনে থাকা, অতপর মাথার উপরে থাকা, এরপর ডান দিকে থাকা, এরপর বাম দিকে থাকা, অতপর পিছনে থাকা। (আল্ হিদায়াহ শরহে বিদায়াতুল্ মুবতাদী অধ্যায়: নামায, পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাহ ওয়া মা ইয়াকরাহূ ফীহা অনুচ্ছেদ: ইয়াকরাহূ লিল্ মুছাল্লী আই্ ইয়া’বাছা বিছাওবিহী আও বিজাসাদিহী লেখক: হযরত আল্লামা ফক্বীহ মুজতাহিদ বুরহানুদ্দীন আবুল্ হাসান আলী বিন আবূ বাকার বিন আব্দুল্ জলীল রশদানী ফারগানী মারগীনানী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি জন্ম: ৫১১ হিজরী, ওফাত: ৫৯৩ হিজরী ১ম খন্ড ৬৯ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল্ কুতুবিল্ ইলমিয়্যাহ বইরূত লেবনান)
অসমাপ্ত-
পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন