[সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউনার প্রতি। মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহ্মতে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ” উনার ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব-উনার অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন উনার শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) এবং ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা) ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-চলমান), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করার পর-
৩২তম ফতওয়া হিসেবে
“পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”-
পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয
২৯. التوحيد (আত্ তাওহীদ) :
(৯১-৯৩)
(التوحيد) : الايمان بالله تعالى وحده لا شريك له. و التوحيد (فى اصطلاح اهل الحقيقة) : تجريد الذات الالـهية عن كل ما يُتَصَوَّرُ فى الافهام و يُتَخَيَّلُ فى الاوهام والاذهان. (الـمعجم الوسيط بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۱۰۱۶، التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۲۴۰، الـمعجم الوجيز بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۶۶۲(
অর্থ : (তাওহীদ) : মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি এক উনার কোন শরীক নেই, এ কথার প্রতি বিশ্বাস করাকেই তাওহীদ বলা হয়। আক্বায়িদ বিশারদ উনাদের পরিভাষায় তাওহীদ হচ্ছে : আফহাম (বুঝসমূহ) উনার কল্পনা এবং চিন্তা চেতনা ও মেধাশক্তি উনার খেয়াল থেকে একমাত্র ইলাহ আল্লাহ তায়ালা উনাকে পবিত্র জানাকেই তাওহীদ বলে। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ১০১৬ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ২৪০ পৃষ্ঠা, আল্ মু’জামুল ওয়াজীয : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৬২ পৃষ্ঠা)
৩০. الشرك (আশ্ র্শিক) :
(৯৪-৯৫)
الشرك : اعتقاد تعدد الالـهة. (الـمعجم الوسيط بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۴۸۰، الـمعجم الوجيز بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۳۴۲)
অর্থ : মহান রব্বুল আলামীন তিনি ব্যতীত আরো এক বা একাধিক ইলাহ বা মা’বূদ আছে বলে বিশ্বাস করাকে র্শিক তথা অংশীদারিত্ব বলে। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত ¡ ৪৮০ পৃষ্ঠা ও আল্ মু’জামুল ওয়াজীয ৩৪২ পৃষ্ঠা : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর)
৩১. الايمان (আল্ ঈমান) :
(৯৬)
الايمان : بكسر فى اللغة التصديق بالقلب ، و فى الشرع هو الاعتقاد بالقلب والاقرار باللسان، قيل من شهد و عمل و لـم يعتقد فهو منافق و من شهد و لـم يعمل و اعتقد فهو فاسق و من اخل من الشهادة فهو كافر . (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۲۰۰)
অর্থ : ঈমান : শব্দটির শুরুর বর্ণে যের দিয়ে পড়তে হবে। আভিধানিক দৃষ্টিতে শুধু অন্তরের বিশ্বাসই ঈমান। আর পবিত্র ইসলামী শরীয়াত উনার পরিভাষায়- আক্বায়িদের বিষয়সমূহকে অন্তরে বিশ্বাস করা ও তা জবানে স্বীকৃতি দেয়াকে ঈমান বলা হয়। ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে যে : যে ব্যক্তি মুখে স্বাক্ষ্য দেয় ও আমল করে কিন্তু অন্তরে কুফ্রী পোষন করে সে মুনাফিক্ব। যে মৌখিক স্বাক্ষ্য দেয় আমল করেনা কিন্তু অন্তরে বিশ্বাস করে সে ফাসিক্ব। আর যে অন্তরে ও মৌখিকভাবে স্বাক্ষ্য দেয় না সে ব্যক্তি কাফির। (আত্ তা’রীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ২০০ পৃষ্ঠা)
৩১. الكفر (আল্ কুফর) :
(৯৭)
الكفر : لغة الستر و يقابله الشكر، و شرعا هو تكذيب النبى صلى الله عليه و سلم (نعوذ بالله) فى شئ مما جاء به من الدين ضرورة. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۴۵(
অর্থ : আল্ কুফ্র : শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো- গোপন করা, ঢেকে ফেলা, অস্বীকার করা ইত্যাদী। আর কুফ্র বা অস্বীকৃতির বিপরিত হচ্ছে শুক্র বা কৃতজ্ঞতা। পবিত্র ইসলামী শরীয়াত উনার পরিভাষায়- সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন হাবীবুল্লাহ হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিকট থেকে জরুরী যে দীন ইসলাম নিয়ে এসেছেন উনাকে মিথ্যা মনে করাকে কুফ্র বলে। (আত্ তা’রীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪৪৫ পৃষ্ঠা)
৩২. اَلْفِسْقُ (আল্ ফিস্ক্ব) :
(৯৮)
الفسق : فى اللغة عدم اطاعة امر الله ، و فى الشرع ارتكاب الـمسلم كبيرة قصدا او صغيرة مع الاصرار عليها بلا تأويل. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۱۲(
অর্থ : আল্ ফিসক্ব: আভিধানিক অর্থে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নির্দেশ মুবারক উনার আনুগত্যের বিপরীত কাজ করা ফিস্ক্ব। আর ইসলামী শরীয়াত উনার পরিভাষায়- শরীয়াত উনার মুরতাকিব (শরীয়াত উনার নির্দেশ পালনে বাধ্য) মুসলিম ব্যক্তি কর্তৃক ইচ্ছাকৃত কবীরাহ গুনাহ এবং বারবার ছগীরাহ গুনাহ করাকে ফিস্ক্ব বা ফাসিক্বী বলা হয়। (আত্ তা’রীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪১২পৃষ্ঠা)
৩৩. اَلْفَرْضُ وَ الْفَرِيْضَةُ (আল্ র্ফাদ্ব ওয়াল ফারীদ্বাহ) :
(৯৯-১০১)
الفرض : ما اوجبه الله عز و جل على عباده . (الـمعجم الوسيط بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۶۸۳، التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۱۰، الـمعجم الوجيز بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۴۶۷(
অর্থ : ফরদ্ব : মহান আল্লাহ আয্যা ওয়া জাল্লা তিনি উনার বান্দাগণের উপর যেসমস্ত ওয়াজিব তথা অবশ্য পালনীয় বিধান জারী করেছেন তাকেই ফরদ্ব বলা হয়। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪১০ পৃষ্ঠা, আল্ মু’জামুল ওয়াজীয : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৪৬৭ পৃষ্ঠা)
(১০২)
الفرض و الفريضة : و عند الاصوليين ما ثبت بدليل قطعىّ الثبوت و قطعىّ الدلالة حيث لا شبهة فيه و يكفر جاحده ويعذب تاركه. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۱۰(
অর্থ : আল্ র্ফাদ ওয়াল ফারীদ্বাহ : উছূল বিশারদ গণের মতে- যে সমস্ত বিধান অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণীত তাকেই ফরদ্ব ও ফারীদ্বাহ বলা হয়। ক্বিত্য়ী এমন দলীল যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। এমন বিধানকে অস্বীকার করা কুফরী এবং এমন বিধান তরককারী ব্যক্তি শাস্তির উপযুক্ত। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪১০ পৃষ্ঠা)
(১০৩-১০৪)
الفرض : ما يَفْرِضُهُ الْانسانُ على نفسه. (الـمعجم الوسيط بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۶۸۳، الـمعجم الوجيز بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۴۶۷(
অর্থ : মানুষ নিজে নিজের উপর যে আবশ্যিক বিধান নির্দিষ্ট করে নেয় তাকেও ফরদ্ব বলা হয়ে থাকে। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আল্ মু’জামুল ওয়াজীয : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৪৬৭ পৃষ্ঠা)
৩৪. الواجب (আল্ ওয়াজিব) :
(১০৫)
الواجب : هو فى عرف الفقهاء عبارة عما ثبت وجوبه بدليل فيه شبهة. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان المجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۵۳۹(
অর্থ : ওয়াজিব : হযরত ফুক্বাহা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পরিভাষায়- যে ইবারত দ্বারা কোন কিছু আবশ্যিকতা প্রমাণিত হয় তাকেই ওয়াজিব বলা হয়। যা এমন দলীল দ্বারা প্রমাণিত, যা দলীলে ক্বিত্য়ীর কাছাকাছি। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৫৩৯ পৃষ্ঠা)
৩৫. اَلنَّفْلُ (আন্ নাফ্ল) :
(১০৬-১০৭)
النفل بسكون الفاء ما تفعله مما لـم يجب فهو اسم لـما شُرع زيادة على الفرائض والواجبات وهو الـمسمى بالـمندوب والـمستحب والتطوع . (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۵۳۲)
অর্থ : আন্ নাফ্ল : শব্দটির ফা বর্ণে সাকিন যোগে পড়তে হবে। ইসলামী শরীয়াত উনার পরিভাষায়- যা অবশ্য পালনীয় নয় এবং যা ফরদ্ব ও ওয়াজিব থেকে অতিরিক্ত তাকেই নাফ্ল বলা হয়ে থাকে। নাফ্লকে মানদূব, মুস্তাহাব ও তাত্বাওউও বলা হয়। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৫৩২ পৃষ্ঠা)
৩৬. السنة (আস্ সুন্নাহ) :
(১০৮)
السنة : فى اللغة الطريقة وفى الشريعة هى الطريقة الـمسلوكة فى الدين من غير افتراض ولا وجوب. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۳۲۸(
অর্থ : সুন্নত : আভিধানিক দৃষ্টিতে সুন্নাত অর্থ ত্বরীকাহ তথা পথ ও পন্থা। আর ইসলামী শরীয়াত উনার পরিভাষায়- ফরদ্ব ও ওয়াজিব নয় দীন ইসলাম উনার এমন নিয়ম-নীতিকে সুন্নত বলা হয়। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৩২৮ পৃষ্ঠা)
৩৭. الـمستحب (আল্ মুস্তাহাব) :
(১০৯)
الـمستحب : اسم لـما شُرع زيادة على الفرائض و الواجبات وقيل الـمستحب ما رغّب فيه الشارع ولـم يوجبه. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۸۳(
অর্থ : পবিত্র ইসলামী শরীয়াত উনার পরিভাষায়- যা অবশ্য পালনীয় নয় এবং যা ফরদ্ব ও ওয়াজিব থেকে অতিরিক্ত তাকেই মুস্তাহাব বলা হয়ে থাকে। কতক উলামা কিরাম উনাদের মতে- শরীয়াত প্রণেতা যে বিষয় পালন করতে উৎসাহিত করেছেন এবং যা ফরদ্ব-ওয়াজিব নয় তাকেই মুস্তাহাব বলা হয়ে থাকে। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪৮৩ পৃষ্ঠা)
৩৮. الـمباح (আল্ মুবাহ) :
(১১০)
الـمباح : هو ما استوى طرفاه يعنى ما ليس بفعله ثواب و لا لتركه عقاب. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۶۰(
অর্থ : যা দু’টি হুকুমের মাঝামাঝি অর্থাৎ যে কাজ করলে ছাওয়াব নেই এবং তরক করলে শাস্তিও নেই তাকেই মুবাহ বলা হয়ে থাকে। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪৬০ পৃষ্ঠা)
(১১১-১১২)
الاباحة عند الاصوليين : حكم يقتضى التخيير بين الفعل و الترك. (الـمعجم الوسيط الصفحة ۷۵ والـمعجم الوجيز الصفحة ۶۶ بقلم الدكتور ابراهيم مدكور(
অর্থ : উছূল বিশারদগণের মতে : যে কাজ সংঘটিত করা ও তরক করার ব্যাপারে ইখতিয়ার বা ইচ্ছা স্বাধীনতা আছে তাকেই ইবাহাত বলা হয়। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত ৭৫ পৃষ্ঠা ও আল্ মু’জামুল ওয়াজীয ৬৬ পৃষ্ঠা- ডক্টর ইবরাহীম মাদ্কূর)
৩৯. الجائز (আল্ জায়িয) :
(১১৩)
الجائز ما شرع فعله وتركه على السواء وقد يترك هذا القول ويرادف الجائز الـمباح والحلال. (الحدود الأنيقة والتعريفات الدقيقة الـمؤلف : حضرت ابو يحيى زكريا بن محمد بن زكريا الأنصارى رحمة الله عليه الجزء ۱ الصفحة ۷۵ الناشر : دار الفكر الـمعاصر بيروت لبنان(
অর্থ : যে কাজ সংঘটিত করা ও তরক করা বরাবর তাকেই ইবাহাত বলা হয়। জায়িয শব্দটি মুবাহ ও হালাল শব্দের সমার্থবোধক শব্দ। (আল্ হুদূদুল আনীফাহ ওয়াত্ তা’রীফাতুদ্ দাক্বীক্বাহ- হযরত আবূ ইয়াহইয়া যাকারিয়া বিন্ মুহম্মদ বিন্ যাকারিয়া আনছারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১ম খন্ড ৭৫ পৃষ্ঠা প্রকাশনা : দারুল্ ফিকরিল মুয়াছিরা বাইরূত-লেবনান)
৪০. الحلال (আল্ হালাল) :
(১১৪)
الحلال : فى الشرع ما اباحه الكتاب و السنة اى ما اباحه الله سمى به لانحلال عقدة عنه و ضده الحرام، و يطلق على الخارج من الحرام، قال السيد الحلال كل شئ لا يعاقب عليه باستعماله. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۲۶۷ (
অর্থ : পবিত্র ইসলাম শরীয়াত উনার পরিভাষায়- কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে যা বৈধ হিসেবে বর্ণিত আছে তাকে হালাল বলা হয়। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি যা বৈধ করেছেন এবং যা হারামের বিপরীত তাকেই হালাল নামে নামকরণ করা হয়েছে। সাধারণত: যা হারাম নয় তা-ই হালাল। সাইয়্যিদ বলেছেন যে কাজের চর্চা করলে কোন শাস্তি ধার্য হয় না তাকেই হালাল বলা হয়। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ২৬৭ পৃষ্ঠা)
অসমাপ্ত – পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন