ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৩৩)

সংখ্যা: ১৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

প্রসঙ্গঃ স্বীয় শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা-এর মুহব্বত ও সন্তুষ্টির লক্ষ্যে নিম্নলিখিত দশটি মাক্বাম হাছিল করার কোশেশ করবে।

২. শায়খ-এর নির্দেশিত যিকির-ফিকির

দশটি মাকাম হাছিলের অভিলাষী মুরীদের দ্বিতীয় করণীয় হচ্ছে, স্বীয় শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলার নির্দেশ মত যিকির-ফিকির করা।

যিকির-ফিকির-এর গুরুত্ব

কারো কাছে দ্বিতীয় দরবেশ ইলমে তাছাউফ তথা গভীরতত্ত্ব জ্ঞানলাভের উপায় সম্মন্ধে কোন কথা জিজ্ঞাসা করলেন না। তিনি সবার কাছে কেবল একটা কথাই জিজ্ঞাসা করলেন, যাদুর আয়না কোথায় পাওয়া যাবে? নানা লোকে নানা কথা বলে দিল। কিন্তু কোন পথ সঠিক নয়। সব পথই বিভ্রান্তিকর। অবশেষে দ্বিতীয় দরবেশ নিজেই  বুঝলেন, যাদুর আয়না কোথায় থাকা সম্ভব। চুলের মত সরু সুতো দিয়ে এই আয়নাটা ঝুলানো রয়েছে একটা কুয়ার মধ্যে। আর এই আয়নাটা একটা সামান্য টুকরো মাত্র। যেটা মানুষের চিন্তা শক্তির দ্বারা তৈরী। চিন্তার গভীরতা না থাকলে এই আয়না পূর্ণতা লাভ করতে পারে না।

একটা দৈত্য এই কূপের পাড়ে দাঁড়িয়ে আয়নাটা পাহারা দিচ্ছে। দ্বিতীয় দরবেশ দৈত্যটাকে পরাস্ত করে কূপের মধ্যে আয়নার দিকে তাকিয়ে গভীর তত্ত্বজ্ঞানের কথা জিজ্ঞাসা করলেন। আয়নার দিকে দৃষ্টি পরার সাথে সাথে দরবেশ ইলমে তাছাউফ তথা গভীর তত্ত্বজ্ঞান লাভ করলেন। আর নিজের মধ্যে তিনি আত্মবিস্মৃত হলেন। তিনি সেই দেশেই স্থায়ীভাবে থাকলেন। আর অনেককাল ধরে মানুষকে জ্ঞানদান করতে লাগলেন। কিন্তু তাঁর ভক্ত অনুসারীরা তাঁর মত গভীর মনসংযোগের সাথে রিয়াজত-মাশাক্কাত তথা সাধনা করতে অভ্যস্ত ছিল না। তাই এই যাদুর আয়না ক্রমে ম্লান হয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল। তবু আজও দু’একজন আছে যারা ক্রমাগত গভীর মনোসংযোগের মাধ্যমে দরবেশের এই যাদুয়ী আয়নায় সবকিছু অবলোকন করতে পারেন।

তৃতীয় দরবেশ নানা দেশে ঘুরে ঘূর্ণাবর্তের জ্বীনের খোঁজ করতে লাগলেন। ঘূর্ণাবর্তের জ্বীনের একাধিক নাম ছিল; কিন্তু তৃতীয় দরবেশ তাকে এক নামেই চিনতেন। বহু বছর ধরে তিনি এই জ্বীনের সাথে মুখোমুখি হয়েও তাকে চিনে নিতে পারেননি। কারণ কোথাও কোথাও হয়তো সে আদৌ জ্বীন নামে পরিচিত নয়। বিভিন্ন স্থানে তার নাম বিভিন্ন রকম। ঘূর্ণাবর্তের জ্বীন হিসাবে তাকে অনেকেই জানে না।

অনেক বছর ধরে ঘুরতে ঘুরতে তৃতীয় দরবেশ একটা গ্রামে এসে জিজ্ঞাসা করলেন- “ভাই সব! এই গ্রামে ঘূর্ণাবর্তের জ্বীন কোথায় থাকে কেউ জান কি?” একজন বললো- “এই ধরনের কোন জ্বীনের অস্তিত্ব আছে বলে আমরা জানি না। তবে এই গ্রামের নামই ঘূর্ণাবর্ত।”

দরবেশ ছাহেব হতাশ হয়ে মাটিতে শুয়ে চিৎকার করে বলতে লাগলেন- “ঘূর্ণাবর্তের জ্বীন আমার সামনে এসে হাজির না হওয়া পর্যন্ত আমি আর মাটি ছেড়ে উঠবো না।”

জ্বীন নিজ মনে বিচরণ করছিল। সে সহসা দরবেশের সামনে এসে উদয় হল। বললো- “আমাদের গ্রামে কোন বিদেশী আগন্তককে আমরা পছন্দ করি না। তবু তুমি যখন নাছোড় বান্দা তখন বল তুমি কি চাও?

দরবেশ ছাহেব বললেন- “আমি ইলমে তাছাউফ তথা গভীর তত্ত্বজ্ঞানের সন্ধানে এসেছি। এক ব্যক্তি আবির্ভূত হয়ে আমাকে এই পথের সন্ধান দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আপনি আমাকে ইলমে তাছাউফের উৎস বলে দিবেন।”

জ্বীন জবাবে বললো- “সত্যি আমি সন্ধান দিতে পারি। তুমি অনেক পরিশ্রম করেছ। এখন কয়েকটা ওযীফা বলে দিচ্ছি সেগুলো পড়বে। আর কয়েকটা আয়াত শরীফ, কয়েকটি কাছীদা পাঠ করবে। কতকগুলো কাজ থেকে বিরত থাকবে। আর কতকগুলো কাজ নিয়মিত করবে। তা হলেই তুমি ইলমে তাছাউফ তথা তত্ত্বজ্ঞানের সন্ধান পাবে।”

তৃতীয় দরবেশ জ্বীনকে ধন্যবাদ দিয়ে নিজের পথে রওনা হলেন। তার নির্দেশ মত যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মাশাক্কাত সব করতে লাগলেন। এইভাবে অনেকদিন পার হয়ে গেল। ক্রমে গ্রামের লোক দরবেশের কাছে ভীড় জমাতে লাগলো। দরবেশের সাধনা ও যিকির-আযকার দেখে লোকেরা মুগ্ধ হলো। ক্রমে একে একে সবাই তাঁকে অনুসরণ করতে লাগলো। চারিদিকে প্রচার হয়ে গেল যে, তিনি একজন কামিল দরবেশ।

জ্বীনের নির্দেশিত পদ্ধতিতে সাধনা করতে করতে দরবেশ অবশেষে গভীর তত্ত্বজ্ঞানের অধিকারী হলেন। শত শত ভক্ত দরবেশের সাধনা রীতি অনুসরণ করে চলতে লাগলো। যদিও তারা দরবেশের পদ্ধতিকেই অনুসরণ করছিল তথাপি তারা গভীর তত্ত্বজ্ঞানের সন্ধান পেল না। কারণ, দরবেশ সাধনার প্রথম স্তর পার হয়ে এসে তত্ত্বজ্ঞানের সন্ধানে কঠিন সাধনায় আত্মনিয়োগ করেছেন; কিন্তু তাঁর অনুসারী ও অনুকরণকারীরা প্রাথমিক স্তরে সাধনা না করে মাঝ পথে দরবেশকে অনুসরণ করছিল।

বহুদিন পর তিন দরবেশের অনুসারীরা একস্থানে মিলিত হলো। দ্বিতীয় দরবেশের অনুসারীরা বললো- “আমার কাছে যাদুয়ী আয়না আছে। সেই আয়নার দিকে গভীর মনোনিবেশ সহকারে তাকালেই ইলমে তাছাউফ তথা তত্ত্বজ্ঞানের সন্ধান পাবে।”

অপর দরবেশের অনুসারী প্রতিউত্তরে বললো- “তরমুজ কুরবানী কর তাহলেই তত্ত্বজ্ঞান লাভের পথ সুগম হবে। কারণ প্রথম দরবেশ তাই করতেন।”

তৃতীয় দরবেশের অনুসারীরা বিরক্ত হয়ে বললো- “কি সব বাজে কথা বলছো! ইলমে তাছাউফ তথা তত্ত্বজ্ঞান পেতে হলে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে যিকির-ফিকির, রিয়াযত-মাশাক্কাত, পড়া-লেখা করতে হবে। আর এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ।”

এভাবে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল যে, তিন দরবেশ গভীর তত্ত্বজ্ঞান লাভ করার পরও তাঁদের মুরিদানরা বাস্তবে ইলমে তাছাউফ তথা গভীর তত্বজ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হলেন না। কারণ, প্রত্যেক দরবেশের অনুসারীরা মাঝপথে তাদের সাধনা পদ্ধতিকে নির্বোধের মত অনুসরণ করছে।

উল্লেখ্য যে, শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা যেভাবে এবং যে পদ্ধতিতে আল্লাহ পাক এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মা’রিফাত-মুহব্বত হাছিল করেন মুরীদগণকে সেভাবে এবং সে পদ্ধতিতে হাছিলের কোশেশ করা উচিত। কারণ, শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা-এর যেভাবে এবং যে পদ্ধতিতে আল্লাহ পাক ও আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মা’রিফত-মুহব্বত সন্তুষ্টি-রেজামন্দি হাছিল হয়েছে মুরীদগণেরও সেভাবে এবং সে পদ্ধতিতেই হাছিল হয়ে থাকে। সঙ্গত কারণে শায়খ-এর জীবনী মুবারকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পুর্ণ অবস্থাই মুরীদের জন্য অনুসরণীয়- অনুকরণীয়। তাঁর কোন অংশই তারা পরিত্যাগ করতে পারবে না। পরিত্যাগ করলে মাকসুদে মঞ্জিলে (জীবনের অভিষ্ট লক্ষ্যে) পৌছা সম্ভব হবেনা। কাজেই মুরীদকে যেমন অতীব গুরুত্বের সাথে শায়খ-এর ছোহবত ইখতিয়ার করতে হবে। তেমনী গুরুত্বের সাথে যিকির-ফিকির করতে হবে। রিয়াজত-মাশাক্কাতও করতে হবে একইভাবে। শায়খ-এর আদব-ইহতিরামের বিষয়টির প্রতি গভীরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। মাল-জান দিয়ে সাধ্যমত তাঁর খিদমত করতে হবে। সাথে সাথে অন্যান্য বিষয়গুলোর প্রতিও লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলে আশা করা যায় যে, মুরীদ, শায়খ-এর নেক দৃষ্টি হাছিল করতে সক্ষম হবে। আর তখনই তার সুলূক বা চলার পথ জঞ্জাল মুক্ত হবে। সে মাকসুদে মানজিলে পৌছতে সক্ষম হবে।

আফজালুল আউলিয়া, ইমামে রব্বানী, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর একজন মুরীদ তাঁকে প্রশ্ন করলেন, আল্লাহ পাক-এর নিকট কান্নাকাটি এবং সব সময় তাঁর আশ্রয় কামনা করা ভাল? নাকি শুধু যিকির-ফিকির করা ভাল? অথবা যিকির-ফিকিরের সাথে সাথে কান্না-কাটি করা ভাল?

ইমামে রব্বানী, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বললেন, “যিকির-ফিকির করতেই হবে। ইহা ব্যতীত কোন উপায় নেই। যিকির-ফিকিরের সাথে অন্যান্য যে আমল সংযুক্ত হবে তা সৌভাগ্যের বিষয়। সন্তুষ্টি-রেজামন্দি এবং নৈকট্যলাভ যিকির-ফিকিরের প্রতিই নির্ভরশীল। অন্য সকল বস্তু তার ক্রিয়া এবং ফল স্বরূপ।” তিনি আরো বলেন, “যিকির-ফিকির যেন অজু ও পবিত্রতাতুল্য। যা নামাযের জন্য শর্ত। কাজেই যে পর্যন্ত পবিত্রতা হাছিল না হবে সে পর্যন্ত নামায শুরু করা নিষেধ। তদ্রুপ যতক্ষণ পর্যন্ত নফী বা নিবারণ পূর্ণ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ফরয, ওয়াজিব এবং সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ব্যতীত অন্য নফল ইবাদত করবেন, তা প্রাণের বিপদতুল্য হবে। প্রথমত: স্বীয় ব্যাধি বিদূরিত করা উচিৎ। যা যিকির-ফিকিরের প্রতি নির্ভরশীল। তৎপর অন্যান্য ইবাদত বা নেক আমল যা পুষ্টিকর খাদ্য স্বরূপ তার প্রতি মনোযোগ দেয়া আবশ্যক। কেননা ব্যাধি নির্মূল হওয়ার পূর্বে যে কোন পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা হউকনা কেন, তা অধিকতর অনিষ্টকারী হয়ে থাকে” (মাকতুবাত শরীফ-৫/২২ পৃষ্ঠা)

 তিনি সেই চিঠিতে আরো লিখেছেন যিকির-ফিকিরের মধ্যে পূর্ণ লজ্জত (স্বাধ) প্রাপ্তি এবং তাতে কিছু দেখার কোন আবশ্যকতা নেই। উহা যে খেল-তামাশার অন্তর্ভূক্ত। যতই কষ্ট করে যিকির করা যায় ততই ভাল। পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার পর অবশিষ্ট সময় যিকির-ফিকিরে লিপ্ত থাকা আবশ্যক। যিকির-ফিকিরের লজ্জতের জন্য যেন অনর্থক সময় নষ্ট না হয়। সাথে সাথে শায়খ বা মুর্শিদের খিদমতকে যথেষ্ট মনে করে তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করা আবশ্যক।” (মাকতুবাত শরীফ-৫/২৪ পৃষ্ঠা)

উল্লেখ্য যে, ইহসানের দরজা লাভ তথা দায়িমী হুজুরী হাছিলের পূর্বাভাষ হচ্ছে নিয়োমিত যিকির-ফিকির। দায়িমী যিকিরের দ্বারা দায়িমী হুজুরী লাভ হয়। অর্থাৎ নিয়মিত যিকির-ফিকির করতে থাকলে সালিকের অন্তর রাজ্যে একটি হাল (অবস্থা) সৃষ্টি হয়। এই হাল (অবস্থা) স্থায়িত্ব হতে থাকলে সে আল্লাহ পাককে মিসালি ছূরতে দেখতে পায়। ইবাদত বন্দেগী, যিকির-ফিকির ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই সে এই হালে (অবস্থায়) বিরাজ করে। অবশ্য আল্লাহ পাককে মিসালী ছুরতে দর্শনের পূর্বে সে আরো একটি হালের সম্মুখীন হয়। তা হচ্ছে ইবাদত বন্দেগী, যিকির-ফিকির, রিয়াযত-মাশাক্কাতসহ প্রতিটি আমলে সে এমন ভাবে মনোযাগী হয় যে, “আল্লাহ পাক আমাকে দেখছেন।” এই হাল তার অন্তরে বদ্ধমূল হয়। তৎপরবর্তীতে সে ইহসানের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়।

তবে সে যিকির-ফিকির অবশ্যই শায়খ থেকে অনুমোদিত হতে হবে। তাঁর নির্দেশমত হতে হবে। ইমামে রব্বানী, মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন- সালিক বা মুরীদের জন্য যিকির না করে উপায় নেই। তাকে দায়িমীভাবে যিকির করতে হবে। কারণ, তার উন্নতি দায়িমী যিকির-ফিকিরের উপর নির্ভরশীল। তবে শর্ত হচ্ছে, উক্ত যিকির-ফিকির কোন কামিল মুর্শিদ হতে গ্রহণ করতে হবে। যদি যিকির-ফিকির এই শর্ত সম্বলিত না হয়, তাহলে হয়তো উহা আবরার বা নেক্কারগণের দৈনন্দিন আমলের অন্তর্ভূক্ত হবে। যার ফল ছওয়াব প্রাপ্তি। তার দ্বারা নৈকট্য পাওয়া যাবেনা। যা মুকাররাবীনগণের সাথে সম্পৃক্ত।” (মাকতুবাত শরীফ-৫/৮০)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১২৭)

-ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার- মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১২৮)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১২৯)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছারল মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৩০)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৩১)