মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (পর্ব-১৬)

সংখ্যা: ২৮০তম সংখ্যা | বিভাগ:

৩৬তম ফতওয়া হিসেবে

“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার সম্মানিত আদব মুবারক-

১৭. জামাতে সম্মানিত ছলাত আদায়ের সময় কাতার সোজা করা এবং কাতারে জায়গা ফাঁক না রাখা:

জামাতে সম্মানিত ছলাত আদায়ের সময় কাতার সোজা করা এবং কাতারের মাঝখানে ফাঁক না রেখে পরস্পর মিলিয়ে দাঁড়ানো ওয়াজিব। কাতারের মাঝখানে জায়গা ফাঁকা রাখলে সেখানে শয়তান এসে অবস্থান নেয়। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৬৯৫-৭০১)

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَقِيْمُوا الصُّفُوْفَ وَحَاذُوْا بَيْـنَ الْمَنَاكِبِ وَسُدُّوا الْـخَلَلَ وَلِيْنُوْا بِاَيْدِىْ اِخْوَانِكُمْ وَلاَ تَذَرُوْا فُرُجَاتٍ لِّلشَّيْطَانِ وَمَنْ وَصَلَ صَفًّا وَصَلَهُ اللهُ وَمَنْ قَطَعَ صَفًّا قَطَعَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ.

অর্থ: “হযরত ইবনে ‘উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনারা সম্মানিত ছলাত উনার জন্য কাতার সোজা করুন, কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে নিন, কাতারের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করুন এবং আপনাদের ভাই উনাদের হাতে নরম থাকুন অর্থাৎ আপনারা কাতারের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করে পরস্পর মিলে দাঁড়ান। আপনারা শয়তানের জন্য কাতারের মাঝখানে ফাঁক রাখবেন না। আর যে ব্যক্তি কাতার মিলাবেন অর্থাৎ কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে ফাঁক বন্ধ করে দাঁড়াবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনাকে নিজের সাথে মিলাবেন অর্থাৎ তিনি জান্নাতী হবেন। আর যে ব্যক্তি কাতারের মাঝে দূরত্ব বজায় রাখবে অর্থাৎ কাতারের মাঝখানে ফাঁক রেখে দাঁড়াবে, মহান আল্লাহ পাক তিনিও তাকে নিজের থেকে দূরে রাখবেন অর্থাৎ সে জাহান্নামী হবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ৩/১০১, আহকামুশ শরী‘আহ্ ২/১৭৩, কউছারুল মা‘আনিয়িদ দুরারী ৯/৬৭, ফাতহুল বারী লি ইবনে হাজার ২/২১১, ইরশাদুস সারী ২/৬৭, শরহুয যারক্বানী ১/৫৪৫ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

(৭০২-৭০৬)

عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَقِيْمُوا الصُّفُوْفَ فَاِنَّـمَا تَصُفُّوْنَ بِصُفُوْفِ الْمَلاَئِكَةِ وَحَاذُوْا بَيْـنَ الْمَنَاكِبِ وَسُدُّوا الْـخَلَلَ وَلِيْنُوْا فِـىْ اَيْدِىْ اِخْوَانِكُمْ  وَلَا تَذَرُوْا فُرُجَاتٍ لِّلشَّيْطَانِ وَمَنْ وَصَلَ صَفًّا وَصَلَهُ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالـٰى وَمَنْ قَطَعَ صَفًّا قَطَعَهُ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالـٰى.

অর্থ: “হযরত ইবনে ‘উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনারা সম্মানিত ছলাত উনার জন্য কাতার সোজা করুন। কেননা আপনারা হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাতারসমূহের সাথে কাতার সোজা করছেন। কাঁধের সাথে কাঁধ মিলান, কাতারের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করুন এবং আপনাদের ভাই উনাদের হাতে নরম থাকুন অর্থাৎ আপনারা কাতারের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করে পরস্পর মিলে দাঁড়ান। আপনারা শয়তানের জন্য কাতারের মাঝখানে ফাঁক রাখবেন না। আর যে ব্যক্তি কাতার মিলাবেন অর্থাৎ কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে ফাঁক বন্ধ  করে দাঁড়াবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনাকে নিজের সাথে মিলাবেন অর্থাৎ তিনি জান্নাতী হবেন। আর যে ব্যক্তি কাতারের মাঝে দূরত্ব বজায় রাখবে অর্থাৎ কাতারের মাঝখানে ফাঁক রেখে দাঁড়াবে, মহান আল্লাহ পাক তিনিও তাকে নিজের থেকে দূরে রাখবেন অর্থাৎ সে জাহান্নামী হবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ ২/৯৭, আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারনী ১৪/৩১৯, যাখীরাতুল ‘উক্ববা ১০/২৮৮, আল ফাত্হুর রব্বানী ৫/৩১২, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১০/৩৪৭ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

(৭০৭-৭০৯)

عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ وَصَلَ صَفًّا وَصَلَهُ اللهُ وَمَنْ قَطَعَ صَفًّا قَطَعَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ.

অর্থ: “হযরত ইবনে ‘উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি কাতার মিলাবেন অর্থাৎ কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে ফাঁক বন্ধ  করে দাঁড়াবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনাকে নিজের সাথে মিলাবেন অর্থাৎ তিনি জান্নাতী হবেন। আর যে ব্যক্তি কাতারের মাঝে দূরত্ব বজায় রাখবে অর্থাৎ কাতারের মাঝখানে ফাঁক রেখে দাঁড়াবে, মহান আল্লাহ পাক তিনিও তাকে নিজের থেকে দূরে রাখবেন অর্থাৎ সে জাহান্নামী হবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (নাসায়ী শরীফ, জামি‘উল উসূল লি ইবনে আছীর ৫/৬০৯, যাখীরাতুল ‘উক্ববা ১০/২৮৫ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৭১০-৭১৭)

عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّمَ مَنْ سَدَّ فُرْجَةً فِـىْ صَفٍّ رَفَعَهُ اللهُ بِـهَا دَرَجَةً وَبَنٰـى لَهٗ بَيْتًا فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি কাতারের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করবেন, এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ ঐ ব্যক্তি উনার জন্য একটি বালাখানা মুবারক নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মাজমা‘উয্ যাওয়াইদ ২/১০৯, জামি‘উল আহাদীছ ২০/৩৭৫, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/২৩০২৪, আল মু‘জামুল আওসাত ৬/৬১, সুবুলুস সালাম ২/৩০, শারহুল বুলূগ ১/২৯৪, শারহুস সুনান ৩/৫২৭, জাম‘উল ফাওয়াইদ ১/২৮৮ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

(৭১৮-৭৩২)

عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ وَمَلٰئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى الَّذِيْنَ يَصِلُوْنَ الصُّفُوْفَ وَمَنْ سَدَّ فُرْجَةً رَفَعَهُ اللهُ بِـهَا دَرَجَةً.

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ঐ সকল ব্যক্তি উনাদের প্রতি সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করেন, যাঁরা কাতারসমূহ সংযুক্ত করেন। আর যে ব্যক্তি কাতারের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করবেন, এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনাকে মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন।” সুবাহানাল্লাহ! (ইবনে মাজাহ শরীফ, মুসনাদে আহমাদ ৬/৮৯, ১/১৬৪৮, আল জামি‘উছ ছগীর লিস সুয়ূত্বী ১/১৫১, কানযুল ‘উম্মাল ৭/৬২৫, জাম‘উল জাওয়ামি’ লিস সুয়ূত্বী ২/২২৮, হাশিয়াতুস্ সিন্দী ১/৩১৩, আত্ তানবীর শরহুল জামি‘উছ ছগীর ৩/৩৫২, আল ফাতহুর রব্বানী ৫/৩১৬, তুহ্ফাতুল আশরাফ ১২/১২২, মিছবাহুয্ যুজাজাহ্ ১/১২০, ইত্রাফুল মুসনাদিল মু’তালী লি ইবনে হাজার আসক্বালানী ৯/১৭৩, আল মাত্বালিবুল আলিয়াহ লি ইবনে হাজার আসক্বালানী ৩/৬৯২, আনীসুস সারী ২/১৬৭৮, জামি‘উল মাসানীদ লি ইবনে যাওজী ৮/২৬১ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

(৭৩৩)

عَنْ حَضْرَتْ عَطَاءٍ رَضِىَ الله تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ سَدَّ فُرْجَةً فِـىْ صَفٍّ رَفَعَهُ اللهُ بِـهَا دَرَجَةً وَبَنٰـى لَهٗ بَيْتًا فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত ‘আত্বা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি কাতারের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করবেন, এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে ঐ ব্যক্তি উনার জন্য একটি বালাখানা মুবারক নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আদ্ দুররুল মানছূর লিস সুয়ূত্বী ১২/৪৯৪)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ  উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৭৩৪)

عَنْ حَضْرَتْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْـرِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ سَدَّ فُرْجَةً فِـىْ صَفٍّ رَفَعَهُ اللهُ بِـهَا دَرَجَةً اَوْ بَنٰـى لَهٗ بَيْتًا فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত ‘উরওয়াহ্ ইবনে যুবাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি কাতারের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করবেন, এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে ঐ ব্যক্তি উনার জন্য একটি বালাখানা মুবারক নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ্ ১/৩৮০)

এখন বলার বিষয় হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আদেশ মুবারক পালন করে কাতারের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করলে যদি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে একটি বালাখানা মুবারক নির্মাণ করা হয় অর্থাৎ জান্নাতী হওয়া যায়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আদেশ মুবারক অমান্য করে কাতারের মধ্যে যদি কেউ ফাঁক রাখে, তার জন্য যে জাহান্নাম ওয়াজিব হবে, সেটা বলার অপেক্ষাই রাখে না। তাই জামাতে সম্মানিত ছলাত আদায়ের সময় কাতার সোজা করা এবং কাতারের মাঝখানে ফাঁক না রেখে পরস্পর মিলিয়ে দাঁড়ানো ওয়াজিব। কাতারের মাঝখানে জায়গা ফাঁকা রাখলে সেখানে শয়তান এসে অবস্থান নেয়।

এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ  উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে

(৭৩৫-৭৪৬)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ اُمَامَةَ الْبَاِهِلِـىِّ رَضِىَ اللهُ  تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى الصَّفِّ الْاَوَّلِ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى الثَّانِـىْ قَالَ اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى الصَّفِّ الْاوَّلِ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى الثَّانِـىْ قَالَ اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى الصَّفِّ الْاَوَّلِ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى الثَّانِـىْ قَالَ وَعَلَى الثَّانِـىْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَوُّواْ صُفُوْفَكُمْ وَحَاذُوْا بَيْـنَ مَنَاكِبِكُمْ وَلِيْنُوْا فِـىْ اَيْدِىْ اِخْوَانِكُمْ وَسُدُّوا الْـخَلَلَ فَاِنَّ الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ بَيْنَكُمْ بِـمَنْزِلَةِ الْـحَذَفِ يَعْنِـىْ اَوْلَادَ الضَّاْنِ الصِّغَارِ.

অর্থ: “হযরত আবূ উমামাহ্ বাহেলী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রথম কাতার উনার (মধ্যে যাঁরা সম্মানিত ছলাত আদায় করবেন, উনাদের) প্রতি সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করেন। এটা শুনে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা আরজী পেশ করলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দ্বিতীয় কাতার উনার (মধ্যে যাঁরা সম্মানিত ছলাত আদায় করবেন, উনাদের) প্রতিও একইভাবে সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করা হয়? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রথম কাতার উনার (মধ্যে যাঁরা সম্মানিত ছলাত আদায় করবেন, উনাদের) প্রতি সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা আরজী পেশ করলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দ্বিতীয় কাতার উনার (মধ্যে যাঁরা সম্মানিত ছলাত আদায় করবেন, উনাদের) প্রতিও একইভাবে সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করা হয়?  নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, প্রথম কাতার উনার (মধ্যে যাঁরা সম্মানিত ছলাত আদায় করবেন, উনাদের) প্রতি মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনার আরজী পেশ করলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দ্বিতীয় কাতার উনার (মধ্যে যাঁরা সম্মানিত ছলাত আদায় করবেন, উনাদের) প্রতিও একইভাবে সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করা হয়? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হ্যাঁ, দ্বিতীয় কাতার উনার (মধ্যে যাঁরা সম্মানিত ছলাত আদায় করবেন, উনাদের) প্রতিও সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করা হয়। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, আপনারা আপনাদের কাতার সোজা করে নিন। আপনারা আপনাদের বাহুমূলসমূহকে একে অন্যের সহিত সমপর্যায়ে রাখবেন এবং আপনাদের ভাই উনাদের হাতে নরম থাকুন অর্থাৎ আপনারা পরস্পর মিলে দাঁড়ান। আপনারা কাতারের মাঝখানের ফাঁকসমূহ বন্ধ করুন। কেননা, শয়তান আপনাদের (কাতারের) মধ্যে ছোট কাল ভেড়ার বাচ্চার ন্যায় প্রবেশ করে।” (মুসনাদে আহমদ, আল ফাতহুর রব্বানী ৫/৩২০, মাজমা‘উয্ যাওয়াইদ ২/১১০, মিশকাত শরীফ, মিরক্বাত শরীফ, মুসনাদুল বাযযার ৮/১৮৯, শরহুল মিশকাত লিত্ ত্বীবী ৪/১১৪৬, গ¦য়াতুল মাক্বছাদ ফি যাওয়াইদিল মুসনাদ ১/৯৮২, ইত্তিহাফুল খইরাতিল মাহরাহ্ ২/১৪৪, বুসুত্বুল কাফ্ফি ফী ইত্মামিছ্ ছফ্ফি ১/১৬, আল হাওয়ী ১/৫৫, আত তারগীব ওয়াত তারহীব ১/১৮৭ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

(৭৪৭-৭৬২)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسِّطُوا الْاِمَامَ وَسُدُّوا الْـخَلَلَ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনারা ইমাম সাহেব উনাকে মাঝখানে রাখুন এবং কাতারের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করুন।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ৩/১০৪, আল জামি’উছ ছগীর লিস সুয়ূত্বী ৩/৩৮২, আল ফাতহুল কবীর ৩/২৮৮, জামি‘উল আহাদীছ ২২/৪৪৪, আল জামি‘উল কবীর লিস সুয়ূত্বী ১/২৫৪৯৭, কানযুল ‘উম্মাল ৭/৬২৭, মিশকাত শরীফ, মিরক্বাত শরীফ, নাইলুল আওত্বার ৩/২১৪, যাখীরাতুল ‘উক্ববা ১০/১৫২, আত তানবীর ১১/৩৫, শরহু সুনানে আবী দাউদ ৪/১৮১, বজলুল মাযহুদ ৩/৬৩১, খুলাছাতুল আহকাম ২/৭১০, আস সুনান ওয়াল আহকাম ২/১৭ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৭৬৩-৭৬৪)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـى سَعِيْدِنِ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاِذَا قُمْتُمْ فَاعْدِلُوْا صُفُوْفَكُمْ وَسُدُّوا الْفُرَجَ فَاِنِّـىْ اَرَاكُمْ مِنْ وَّرَاءِ ظَهْرِىْ

অর্থ: “হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনারা যখন সম্মানিত ছলাত মুবারক-এ দাঁড়াবেন, তখন আপনাদের কাতারসমূহ সোজা করবেন এবং কাতারের মাঝখানের ফাঁকসমূহ বন্ধ করে দাঁড়াবেন। কেননা, আমি আমার পিছন দিক থেকেও আপনাদেরকে দেখতে পাই।” সুবহানাল্লাহ! (ছহীহ ইবনে খুযাইমাহ্ ১/৭৪৭, ইত্হাফুল মাহ্রাহ্ ৫/২২৭)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৭৬৫-৭৭২)

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اُقِيْمَتِ الصَّلَاةُ فَاَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَجْهِهٖ فَقَالَ اَقِيْمُوْا صُفُوْفَكُمْ وَتَرَاصُّوْا فَاِنِّـىْ اَرَاكُمْ مِنْ وَّرَاءِ ظَهْرِىْ.

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একবার) নামাযের ইকামত দেয়া হলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের দিকে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চেহারা মুবারক) ফিরিয়ে ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনারা আপনাদের কাতারসমূহ সোজা করুন এবং আপনারা কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে ফাঁক বন্ধ করে দাঁড়ান। কেননা, নিশ্চয়ই আমি আমার পেছন দিক থেকেও আপনাদেরকে দেখতে পাই।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসনাদে আহমদ  ৩/২৬৩, সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকী ২/৩৩, ফাতহুল বারী, ‘উমদাতুল ক্বারী, মিশকাত শরীফ, মিরক্বাত শরীফ, ফুতূহুল গইব ফিল কাশফি ‘আন ক্বিনাইর রইব ১১/৪৩৬ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৭৭৩-৭৭৭)

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَجْهِهٖ حِيْـنَ قَامَ اِلَـى الصَّلَاةِ قَبْلَ اَنْ يُّكَبِّـرَ فَقَالَ اَقِيْمُوْا صُفُوْفَكُمْ وَتَرَاصُّوْا فَاِنِّـىْ اَرَاكُمْ مِنْ وَّرَاءِ ظَهْرِىْ.

অর্থ: “হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একবার) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সম্মানিত ছলাত মুবারক-এ দাঁড়ালেন, তখন সম্মানিত তাকবীরে তাহরীমা মুবারক বাঁধার পূর্বে আমাদের দিকে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চেহারা মুবারক) ফিরিয়ে ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনারা আপনাদের কাতারসমূহ সোজা করুন এবং আপনারা কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে ফাঁক বন্ধ করে দাঁড়ান। কেননা, নিশ্চয়ই আমি আমার পেছন দিক থেকেও আপনাদেরকে দেখতে পাই।” সুবহানাল্লাহ! (নাসায়ী শরীফ, ছহীহ ইবনে হিব্বান ৫/৫৪৭, মুখলিছিয়াত ১/১৪৪, মাশইয়াখাতু আবি বকর ১/২৯০, যাখীরাতুল ‘উক্ববা ফী শরহিল মুজতাবা ১০/২৫১ ইত্যাদি)

‘মিশকাত শরীফ’ উনার বিশ্বখ্যাত শরাহগ্রন্থ ‘মিরক্বাত শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

(৭৭৭-৭৭৮)

وَتَرَاصُّوْا اَىْ تَضَامُّوْا وَتَلَاصَقُوْا حَتّٰـى تَتَّصِلَ مَنَاكِبُكُمْ وَلَا يَكُوْنُ بَيْنَكُمْ فُرَجٌ

অর্থ: “ وَتَرَاصُّوْاঅর্থাৎ আপনারা পরস্পর চাপাচাপি করে এবং পরস্পর লাগালাগি করে দাঁড়ান, যাতে করে আপনাদের কাঁধগুলো মিলে যায় এবং আপনাদের মাঝে কোনো ফাঁক না থাকে।” সুবহানাল্লাহ! (মিরক্বাত শরীফ ৩/৮৪৯)

উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ উনাদের ভিত্তিতে সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার ফায়ছালা হচ্ছে, কাতার সোজা করা এবং কাতারের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করে পরস্পর মিলে দাঁড়ানো ওয়াজিব।

কিন্তু সম্প্রতি আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বের উলামায়ে সূ’রা মহাগযব করোনাকে ছোঁয়াচে রোগ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং এই মহাগযব থেকে বাঁচার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে নামাযের সময় কাতারের মাঝখানে দূরত্ব বজায় রেখে অর্থাৎ ফাঁক ফাঁক করে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে। যা সম্পূর্ণরূপে সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার খিলাফ, মনগড়, বানোয়াট, কাট্টা কুফরী এবং র্শিকের অন্তর্ভুক্ত। না‘ঊযুবিল্লাহ!

সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার বিধান অনুযায়ী যারা এরূপ নির্দেশনা দিয়েছে, সম্মতি দিয়েছে, এক মত পোষণ করেছে, জারি করেছে, প্রত্যেকেই ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির, মুনাফিক, মুশরিক ও মুরতাদে পরিণত হয়েছে। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত মুবারক উনার দৃষ্টিতে উক্ত মুরতাদদের ফায়ছালা হচ্ছে, তাদের জীবনের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে গেছে, বিবাহ করে থাকলে তা বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় সন্তান হলে উক্ত সন্তান অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। হজ্জ করে থাকলে তাও বাতিল হয়ে গেছে। ওয়ারিছসত্ত্ব থেকে বঞ্চিত হবে এবং মারা গেলে তাদের গোসল, কাফন, দাফন, জানাযা কোনোটাই করা যাবে না এবং মুসলমানদের কবরস্থানেও তাদেরকে দাফন করা যাবে না। বরং তাদেরকে কুকুর, শৃগালের ন্যয় গর্ত করে মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে। নাউযুবিল্লাহ! যারা তাদের গোসল, কাফন-দাফন করবে, জানাযার নামায পড়বে, তাদের উপরও একই হুকুম বর্তাবে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

কাজেই, সকলের জন্য অবশ্যক হচ্ছে, উলামায়ে সূ’দের গোমরাহীমূলক আদশে-নির্দেশ থেকে বিরত থাকা এবং সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার উপর ইস্তিক্বামত থাকা। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

অসমাপ্ত-পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন।

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩৩

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া১১ (১৪তম পর্ব)

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩৪

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া১১ ১৫তম পর্ব

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩৫