২. সৎস্বভাব: ইবাদত- বন্দেগী, যিকির- ফিকির, রিয়াদ্বাত- মাশাক্কাতে সুযোগ পাওয়ার জন্য এই গুণটি অতীব আবশ্যক। যদি আহাল ও আহলিয়া কর্কশভাষি, রুক্ষ স্বভাবি এবং কৃতঘ্ন প্রকৃতির হয় তাহলে উপকারের চেয়ে অপকার বেশী হয়ে থাকে। এ সকল মেয়ে ও ছেলের আচরণে ছবর বা ধৈর্যধারণ করা ফযীলতের কারণ। তবে সাধারণ লোকের জন্য খুবই কঠিন। আর হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ। আরবের জ্ঞানী ব্যক্তিগণ বলেন, ছয় প্রকার নারীকে বিবাহ করো না। অন্যথায় সুখ-শান্তি পাবেনা। তারা হলো- ক) আনানাহ্ খ) মানানাহ্ গ) হানানাহ্ ঘ) হাদাকাহ্ ঙ) বাবাকাহ্ চ) সাদাকাহ্ ।
ক) আনানাহ: আনানাহ্ ঐ নারীকে বলা হয়, যে কেবল সদা সর্বদা দুঃখ-কষ্ট প্রকাশ করে। নানা বিষয়ে অনুযোগ-অভিযোগ করতে থাকে। সব সময় মাথার ব্যাথা, মাথা ধরা ইত্যাদি প্রকাশ করে। যার সব সময় কোন না কোন রোগ থাকে কিংবা সে রোগ থাকার ভান করে। এরূপ নারীকে বিবাহ করে কল্যাণ ও বরকত লাভের আশা করা বৃথা।
খ) মানানাহ্: মানানাহ ঐ নারী, যে বার বার তার আহাল বা স্বামীকে প্রদত্ত জিনিসের জন্য খোটা দেয়। আর বলে, আমি আপনার জন্য আমার পিতার বাড়ী থেকে এ জিনিস এনেছি ও জিনিস এনেছি। আমি আপনার জন্য এ কাজ করেছি ও কাজ করেছি ইত্যাদি। এই শ্রেণীর নারীকে বিবাহ করে কোন পুরুষ কখনো শান্তি লাভ করতে পারে না।
গ) হানানাহ্: হানানাহ্ ঐ নারী, যে সব সময় প্রথম স্বামীর কথা বার বার উল্লেখ করে। তার দিকেই তার মন পড়ে থাকে। এই শ্রেণীর নারী কে বিবাহ না করাই উত্তম।
ঘ) হাদাকাহ্: হাদাকাহ্ ঐ নারী, যার প্রত্যেক জিনিসের প্রতিই অধিক লোভ থাকে। তা পাওয়ার আশায় অস্থির হয়ে পড়ে। আহালকে তা যেভাবে হোক সংগ্রহ করে আনার জন্য ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। এ জন্য আহালকে নানারূপ দুঃখ-কষ্ট দিয়ে থাকে।
ঙ) বাবাকাহ: বাবাকাহ্ এর দুটি অর্থ রয়েছে। এক অর্থে ঐ নারী , যে দিন রাত নিজের চেহারাকে সুন্দর করে রাখতে ব্যতিব্যস্ত, সারাদিন অতি মাত্রায় সাজ-গোছ করে থাকে। দ্বিতীয় অর্থ ঐ নারী, যে কখনো পানাহারে সন্তুষ্ট হয় না। একাকিনী আহার করতে পছন্দ করে। আর প্রত্যেক জিনিসের মধ্যে নিজের প্রাপ্ত অংশকে পৃথক করে রাখে। কোন কিছুতেই তার পরিতৃপ্তি লক্ষণ দেখা যায় না।
চ) সাদাকাহ্: সাদাকাহ্ ঐ নারী, যে অনর্থক কথা-বার্তা বলে। বাচালতা যার স্বভাব। আর এদের সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি অনর্থক অতিরিক্ত কথা বলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ঘৃণা করেন। (ইহয়াউ উলূমিদ্দীন -১/ ৪১০)
ইমামুল আউয়াল হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিনটি স্বভাব আছে যা পুরুষের জন্য খারাপ কিন্তু নারীদের জন্য উত্তম। ১. মিতব্যয়িতা, ২. আভিজাত্য সম্পন্ন হয় ৩. লজ্জাশীলতা। কেননা যখন কোন নারী মিতব্যয়ী হয়, তখন সে তার নিজের ধন- সম্পদ ও মাল সামান রক্ষা করে। যখন আভিজাত্য সম্পন্ন হয়, তখন সে কোমল হলেও যদি কোন ভিন্ন পুরুষ তার সাথে অসৌজন্যমূলক এবং সম্ভ্রম বিরোধী কোন কথা বলে তখন সে তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে। যখন কোন নারীর মধ্যে লজ্জাশীলতা থাকে, তখন সে সমস্ত বন্ধু- বান্ধব থেকে পৃথক হয় এবং নিজের গৃহকর্মে রত থাকে। বিশেষতঃ সে আহাল বা স্বামীর নিন্দার ভয়ে কোন অবাঞ্চিত স্থানে যাতায়াত করে না, এমন কাজও করেনা।