বিবাহের কতিপয় সুন্নত মুবারক:
বৈবাহিক জীবনে কতিপয় সম্মানিত সুন্নত মুবারক রয়েছে যা জীবনে একবারই পালিত হয়। কাজেই বিবাহ করার পূর্বে সে সম্পর্কে ইলিম হাছিল করা জরুরী। অন্যথায় পরবতীর্ জীবনে আফসোসের সীমা থাকবে না।
১. সুন্নতী বিবাহ অপচয়, অপব্যয়, বেপর্দা, বেহায়াপনা ও বিধর্মীদের অনুসরণ-অনুকরণ মুক্ত হবে। গান-বাজনা, ছবি-ভিডিও করতে পারবেনা। যৌতুকের শর্ত করা যাবে না।
২. দ্বীনদার-পরহেযগার পাত্র-পাত্রী দেখে বিবাহ করা সুন্নত। শুধু সম্পদ ও সৌন্দর্যের দিককে অগ্রাধিকার দেয়া যাবে না।
৩. বিবাহের পূর্বে দ্বীনদার পাত্র-পাত্রীর সন্ধান করা সুন্নত।
৪. পাত্র-পাত্রী উভয়ের পক্ষ থেকে পয়গাম পাঠানো সুন্নত।
৫. মেয়েদের অভিভাবকদের উচিত হলো, দ্বীনদার-পরহেযগার ছেলে দেখে বিবাহ দেয়া। শুধু সম্পদ, বংশ ও সৌন্দর্যের দিক প্রাধান্য দিলে পরিণাম খারাপ হয়।
৬. যে বিবাহে খরচ কম হয় এবং মোহরানা সুন্নতী তারতীবে হয় সে বিবাহে বরকত বেশি হয়।
৭. পবিত্র মসজিদে বিবাহ করা সুন্নত।
৮. পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসে বিবাহ করা সুন্নত। এছাড়া যে সমস্ত মাসে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং হযরত বানাতু রসূল আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পবিত্র নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়েছে, সে সমস্ত মাসেও বিবাহ করা সুন্নত।
৯. পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াম শরীফ অর্থাৎ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) ও ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ-জুমুয়াবার বিবাহ করা সুন্নত।
১০. বিবাহের ঘোষণা দেয়া অর্থাৎ প্রচার করা সুন্নত।
১১. বিবাহের পর বিবাহের মজলিসে খোরমা-খেজুর ছিটানো সুন্নত।
১২. অলিমা করা বা দাওয়াত খাওয়ানো সুন্নত।
১৩. মোহরে আহলে বাইত শরীফ খাছ সুন্নত।
১৪. বিবাহের সময় মহিলাদের জন্য মেহেদী ব্যবহার করা সুন্নত। কিন্তু পুরুষের জন্য হাতে-পায়ে মেহেদী ব্যবহার করা মাকরূহ তাহরীমী।
১৫. বিবাহের আগে ছেলে, মেয়েকে দেখে নেয়া সুন্নত।
১৬. কোনো মেয়ে বা ছেলের যদি কোথাও বিবাহের আলোচনা চলতে থাকে তখন কোন এক পক্ষ থেকে উত্তর না দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত সেখানে অন্য কারো প্রস্তাব দেয়া জায়িয নেই।
১৭. ইজাব-কবুল বিবাহের জন্য আবশ্যক। এ দুটি দ্বারা বিবাহ হয়ে যাবে। তবে বিবাহের আগে মেয়ের থেকে মেয়ের অলি বা অভিভাবক অনুমতি নিবেন। অনুমতি নিয়ে আসার সময় মেয়েকে ছেলের বিস্তারিত পরিচয় দিতে হবে। মোহরের টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সে রাজি আছে কিনা সেটা জানতে হবে। মেয়ে যদি অবিবাহিতা হয় তাহলে চুপ থাকলে বা অল্প আওয়াজে কাঁদলে কিংবা হাসলে অনুমতি হয়ে যাবে। আর যদি বিবাহিতা হয় তাহলে স্পষ্টভাবে বলতে হবে। এভাবে অনুমতি নিয়ে তিনি বা অন্য কাউকে উকিল বানিয়ে ছেলে থেকে কবুল গ্রহণ করবেন।
১৮. বিবাহের জন্য খুতবা পাঠ করা সুন্নত।