-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-
والذين امنوا وعملوا الصلحت لنكفرن عنهم سياتهم ولنجزينهم احسن الذى كانوا يعملون.
অর্থ : যারা ঈমান আনে এবং আমলে ছালিহ (সুন্নতের ইত্তিবা) করে আমি অবশ্যই তাদের গোনাহগুলো মিটিয়ে দিব এবং তাদের কৃত কর্মের সর্বোৎকৃষ্ট প্রতিদান দিব। (সূরা আনকাবুত : আয়াত শরীফ ৭)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরও ইরশাদ করেন,
والذين امنوا وعملوا الصالحات لندخلنهم فى الصالحين.
অর্থ : যারা ঈমান আনবে এবং আমলে ছালিহ (সুন্নতের ইত্তিবা) করবে আমি অবশ্যই অবশ্যই তাদেরকে ছালিহীন তথা ওলীআল্লাহগণ উনাদের অন্তর্ভুক্ত করবো। (সূরা আনকাবূত : আয়াত শরীফ ৯)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরও বলেন-
ولكل درجات مما عملوا وما ربك بغافل عما يعملون.
অর্থ : আমল অনুপাতে প্রত্যেকেরই মর্যাদা রয়েছে। আর মহান রব তায়ালা তিনি তারা যা আমল করে সে সম্পর্কে খবর রাখেন। (সূরা আনয়াম : আয়াত শরীফ ১৩২)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরও বলেন-
فمن كان يرجوا لقاء ربه فليعمل عملا صالحا ولا يشرك بعبادة ربه احدا.
অর্থ : যে তার মহান রব আল্লাহ পাক উনার মুলাকাত (সাক্ষাৎ) লাভের আশা করে সে যেন আমলে ছালিহ (সুন্নতের ইত্তিবা) করে। আর মহান রব আল্লাহ পাক উনার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে। (সূরা কাহাফ : আয়াত শরীফ ১১০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি এটাও বলে দিয়েছেন যে-
ومن جاهد فانما يجاهد لنفسه ان الله لغنى عن العالـمين.
অর্থ : যে ব্যক্তি মুজাহাদা তথা রিয়াজত-মাশাক্কাত করে তা তো নিজের জন্যই করে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত আলমের সবকিছু থেকে বেনিয়াজ বা অমুখাপেক্ষী। (সূরা আনকাবুত : আয়াত শরীফ ৬)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-
وما يزال عبدى يتقرب الى بالنوافل حتى احببته فاذا احببته فكنت سمعه الذى يسمع به وبصره الذى يبصر به ويده التى يبطش بها ورجله التى يمشى بها وان سالنى لاعطيته.
অর্থ : আমার বান্দা ও সবসময় আমার নৈকট্য লাভের চেষ্টা করতে থাকে নফল ইবাদত (সুন্নতে যায়িদা) দ্বারা। অবশেষে আমি তাকে মুহব্বত করি। আর আমি যখন তাকে মুহব্বত করি, আমি তখন তার কান হয়ে যাই যা দ্বারা সে শুনে। আমি তার চোখ হয়ে যাই, যদ্দ¦ারা সে দেখে। আমি তার তার হাত হয়ে যাই সে হাত দ্বারা সে ধরে। আমি তার পা হয়ে যাই সে পা দ্বারা সে চলে। তখন সে আমার নিকট যা চায় তা আমি তাকে অবশ্যই দিয়ে থাকি। (বুখারী শরীফ)
একটি বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মাশাক্কাতের সময় যেন (গরমীভাব, বেপরোয়াভাব) প্রকাশিত না হয়। কেননা তওবা-এর মাক্বামসহ অপরাপর মাক্বামগুলি হাক্বীক্বত বা প্রকৃত অবস্থায় পৌঁছা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ধীরে ধীরে বা পর্যায়ক্রমে মাকামগুলি হাক্বীক্বত বা শেষ প্রান্তে পৌঁছা যায়। তবে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা কাউকে এক সেকেন্ডে বা এক মুহূর্তে দিতে পারেন সেটা স্বতন্ত্র ব্যাপার।
প্রথমত: তওবা-এর মাক্বামের আকস বা প্রতিবিম্ব তথা ছায়া দৃষ্টিগোচর কিংবা অনুধাবনে আসে। পরে উক্ত নিয়মে যিকির-ফিকির করতে থাকলে সেই আকস বা প্রতিবিম্ব দূরীভূত হতে থাকে। এক পর্যায়ে উক্ত মাক্বামের হাক্বীক্বত জাহির হয়। সহজ কথায় ফানা যে পরিমাণ হবে বাক্বাও সেই পরিমাণ হবে। এক কথায় ইচ্ছা-কোশেশ যেমন হবে প্রাপ্তিও সেই পরিমাণ হবে।
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১২৭)
-ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার- মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১২৮)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১২৯)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছারল মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৩০)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৩১)