রসূলুর রহমাহ, রহমাতুল উম্মাহ, রহমাতুল্লিল আলামীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নায়িব বা ওয়ারিছগণের ফযীলত

সংখ্যা: ১২৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

عن على رضلى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم العلماء مصابيح الارض وخلفاء الانبياء وورثتى وورثة الانبياء.

অর্থঃ- “হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমান, উলামায়ে কিরাম (হক্বানী আলিমগণ) হচ্ছেন দুনিয়ার জন্য বাতি স্বরূপ এবং সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের খলীফা ও আমার ও সকল নবীদের হাক্বীক্বী ওয়ারিছ।” (ইবনে আদী, কানযুল উম্মাল ২৮৬৭৩)

বর্ণিত হাদীছ শরীফে হক্কানী রব্বানী আলিমগণকে নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগণের খলীফা ও ওয়ারিছ বা উত্তরাধিকারী বলা হয়েছে।

 হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত হয়েছে,

عن ابى امامة رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فضل العالم على العابد كفضلى على ادناكم ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله وملائكته واهل السموت والارض حتى النملة فى جحرها وحتى الحوت ليصلوت على معلم الناس الخير.

অর্থঃ- “হযরত আবু উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- হক্বানী রব্বানী আলিমগণের ফযীলত আবিদের তুলনায় এতবেশী যেমন আমার (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর) ফযীলত তোমাদের সাধারণ উম্মতের উপরে। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ পাক, সমস্ত ফেরেশতাগণ আসমানবাসী, জমীনবাসী এমনকি গর্তের পিপিলিকা ও সমুদ্রের মাছও মানুষের মধ্যে যিনি উত্তম মুয়াল্লিম তার জন্য ছলাত সালাম পাঠ (বর্ষণ) করতে থাকেন।” (তিরমিযী, দারেমী, মিশকাত)

এ হাদীছ শরীফে আলিম (ওলী আল্লাহ্) গণকে স্বয়ং আল্লাহ্ পাক এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই নিজের ফযীলতের সাথে তুলনা করেছেন। অর্থাৎ হক্কানী-রব্বানী আলিমগণকে আল্লাহ্ পাক এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বহু সম্মান দিয়েছেন।

অন্য হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-

علماء امتى كانبياء بنى اسرائيل.

অর্থঃ- “আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ইসরাঈলের নবীদের অনুরূপ।” (আল মাকাসিদুল হাসানা, তমীযুত্তীব, কাশফুল খিফা, আল ফাওয়াদেল মাজমুয়া, আল আসরারুল মুরফুয়াহ, আল সিমাল আলাল লিমায, আদ্দুরারুল মুন্তাসির, আওকিরা ফি আহাদীসিল মুশতাহারাহ) অর্থাৎ আখিরী নবী, আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, ইমামুন নাবিয়্যীন ওয়াল আখিরীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শ্রেষ্ঠত্বের কারণে উম্মতে মুহম্মদীকে বনী ইসরাইল তথা পূর্ববর্তী নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগণের সাথে তুলনা করা হয়েছে। সে জন্যই পূর্ববর্তী সকল নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগণ আখিরী নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সরাসরি উম্মত হওয়ার জন্য দোয়া করেছেন।

عن ام هانى رضى الله تعالى عنها قالت قال رسول الله صلى اله عليه وسلم العلم ميراثى وميراث الانبياء قبلى.

অর্থঃ- “হযরত উম্মেহানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ইলম আমার ও আমার পূর্ববর্তী নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগণের পরিত্যক্ত সম্পদ।” (দায়লামী, কানযুল উম্মাল ২৮৬৬৪)

عن جابر رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اكرموا العلماء فائهم ورثة الانبياء فمن اكرمهم فقد اكرم الله ورسوله.

অর্থঃ- “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- তোমরা আলিম-উলামা (ওলীআল্লাহ)গণকে সম্মান কর। কেননা তাঁরা নবীগণের ওয়ারিছ। যে ব্যক্তি তাঁদেরকে সম্মান করল সে যেন আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই সম্মান করল।” (কানযুল উম্মাল/২৮৭৬০)

عن ابى هريرة رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من اكرم عالما فقد اكرم سبعين نبيا ومن اكرم متعلما فقد اكرم سبعين شهيدا.

অর্থঃ- “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোন হক্কানী রব্বানী আলিমকে সম্মান করল অবশ্যই সে সত্তর জন নবীকে সম্মান করল। আর যে ব্যক্তি একজন তালিবে ইলমকে সম্মান করল সে যেন সত্তরজন শহীদকে সম্মান করল।” (তানযিয়াতুশ শরীয়া, দায়লামী ৫৮০৫)

عن ابن عباس رضى اله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اقرب النباس من درجة النبوة اهل العلم والجهاد.

অর্থঃ- “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- মানুষের মধ্যে নুবুওওয়াতের সর্বাধিক নিকটবর্তী হলেন আলিম ও মুজাহিদগণ।” (আবু নঈম আত তাযকিরাহ)

-হাফিয মুহম্মদ আব্দুল্লাহিল মাসউদ

ফতওয়া বিভাগ- গবেষণা কেন্দ্র, মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া – (১৮) প্রকাশিত ফতওয়াসমূহ

আউয়ালু শাফি’, আউয়ালু মুশাফ্ফা’, আউয়ালু মাঁই ইউহাররিকু বাবাল জান্নাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই জান্নাতের মালিক

ছাহিবুল কাওছার, ছাহিবুল  মাহ্শার, ছাহিবুল  মাক্বামিল  মাহমূদ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মত মানুষ নন

ছাহিবুল আয়াত, ছাহিবুল হাদীছ, ছাহিবুল বুরহান, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীছ শরীফ ব্যতীত কালামুল্লাহ শরীফ বুঝা এবং আমল করা সম্ভব নয়

ছাহিবুল মদীনাহ, ছাহিবুল মক্কাহ, ছাহিবুল হাত্বীম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমস্ত ইলমের অধিকারী ॥ সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখন তাঁর মু’জিযা ॥ তিনি মুয়াল্লিম হিসেবে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু  তায়ালা আনহুমগণকে আক্ষরিক জ্ঞান শিক্ষা দিতেন