-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম
‘মুহ্ইস সুন্নাহ’ লক্বব মুবারক প্রসঙ্গেঃ
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর জিন্দাকৃত বা পুনঃ প্রচলন করা কতিপয় সুন্নতের বিবরণঃ
আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, উলামায়ে “ছূ” তথা দুনিয়াদার আলিমগণ দ্বীনের জন্য হুমকি স্বরূপ। কাফির-মুশরিকেরা দ্বীন ইসলামের যতটা ক্ষতি করে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি সাধন করে উলামায়ে “ছূ” তথা দুনিয়াদার আলিমরা। পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রেও তারা আওয়ামুন নাস বা সাধারণ মানুষদের আক্বীদা-আমল বিনষ্ট করার জোর প্রচেষ্টায় লিপ্ত। তারা ক্বমীছ বা জামা পরিধানের ক্ষেত্রেও আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইতায়াত (অনুসরণ-অনুকরণ) করে না। নিজেদের খেয়াল-খুশি মত ক্বমীছ বা জামা পরিধান করে। আর সাধারণ লোকদেরকে বলে “এতো সুন্নত লাগে না।“ (নাঊজুবিল্লাহ) আবার কেউ কেউ নিজেদের সেই খেয়াল-খুশির পোশাককেই খাছ সুন্নতী পোশাক বলে থাকে। (নাঊযুবিল্লাহ)
তারা আরো বলে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুগের চাহিদানুযায়ী, মৌসুমের চাহিদা মুতাবিক যখন যে পোশাক পেতেন তাই পরিধান করতেন। (নাঊজুবিল্লাহ)
আবার কেউ কেউ একথাও বলে যে, সবধরনের পোশাক পরিধান করা সুন্নত। ইসলামে পোশাকের নির্দিষ্ট কোন বর্ণনা নেই। (নাঊজুবিল্লাহ)
উলামায়ে “ছূ”, বদ মাযহাব ও বদ আক্বীদার লোকদের এসব বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, গুমরাহীমূলক, বিভ্রান্তিকর এবং কাট্টা কুফরী বটে। তাদের দীর্ঘদিনের এই কুতৎপরতার কারণে সাধারণ মানুষ খাছ সুন্নতি পোশাককে “মেয়েদের পোশাক” বলে ঈমান হারাচ্ছে।
তাদের সেই বক্তব্য সরাসরি আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি মিথ্যারোপের সামিল। সাথে সাথে “দ্বীন ইসলামকে নাকিছ বা অপূর্ণাঙ্গ” সাব্যস্ত করার কূট কৌশলী বা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।
উলামায়ে “ছূ”, বদ মাযহাব, বদ আক্বীদার লোকগুলো উক্ত বক্তব্য দিয়ে নিজেরা গুমরাহ ও কাফির হচ্ছে। সাথে সাথে আওয়ামুন্ নাছকেও গুমরাহ ও কাফিরে পরিণত করছে।
কারণ আল্লাহ পাক দ্বীন ইসলামকে পূর্ণ করেছেন আর সেই মর্মে তিনি বলেছেন-
اليوم اكملت لكم دينكم واتممت عليكم نعمتى ورضيت لكم الاسلام دينا.
অর্থঃ “আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের উপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণ করলাম। ইসলামকে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করে তোমাদের উপর সন্তুষ্ট হলাম।” (সূরা মায়িদা-৩)
আর আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
من كذب على متعمدا فليتبوا مقعده من النار.
অর্থঃ “যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আমার নামে মিথ্যা কথা বলবে, সে যেন তার স্থান (দুনিয়াতে থাকতে) জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয়।” (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিলুøহুল আলী মুসলিম উম্মাহ’র সেই ভ্রান্ত আক্বীদা-আমলকে বিশুদ্ধ করার জন্য সেই বিদয়াত ও বিদয়াতীদের মর্মমূলে আঘাত হেনেছেন। উলামায়ে “ছূ”, বদ মাযহাব ও বদ আক্বীদার লোকদের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে কোর্তার বিলুপ্ত সেই সুন্নতকে জিন্দা করেছেন। আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে ধরনের কোর্তা মুবারক পরিধান করেছিলেন তিনি হুবহু সে ধরনের কোর্তা মুবারক পরিধান করে আওয়ামুন্ নাস (সমস্ত মানুষ) কে খাছ সুন্নত-এর উপর আমল করার ব্যবস্থা করেছেন। মুরীদ-মু’তাকিদগণকে তা পরিধান করার জন্য উৎসাহিত করেন। আর তারা একান্ত মুহব্বতের সাথে তা পরিধান করেন। এভাবে বিলুপ্ত সেই সুন্নত আস্তে আস্তে সমাজের সর্বত্র জারি হচ্ছে। (চলবে)