লাইলাতুল কদর

সংখ্যা: ০১ম সংখ্যা | বিভাগ:

লাইলাতুল কদর

আল্লামা মুহম্মদ কামাল উদ্দিন


 লাইলাতুল কদর মহান বরকতময় রাত। এ রাতেই হিদায়েতের বাণী নিয়ে পবিত্র আল কুরআন নাযিল হয়েছিল। পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে এ রাতের ফযীলত অনেক বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেছেন। “কদর রজনী হাজার মাস হতেও উত্তম।” হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বর্ণনা করেছেন, “রমযান মাসের মধ্যে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাস হতে উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের নেকী হতে বঞ্ছিত থাকবে সে সর্বহারা হবে।” (আহমদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ) তিনি আরও বর্ণনা করেছেন, “যে ব্যক্তি কদরের রাতে বিশ্বাস ও সওয়াবের উদ্দেশ্যে রাত্র জাগ্রত থেকে ইবাদত করে তার পূর্বকৃত ছগীরা গুনাহ মাফ হয়ে যায়।” (কবীরা গুনাহ মাফ হওয়ার আশা করা যায়; বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ) তিনি আরও ইরশাদ মুবারক করেন, “কদর রজনী উপস্থিত হলে হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম একদল হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালামসহ পৃথিবীতে নেমে আসেন। এ রাতে যে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরে মশগুল থাকে, তার জন্য হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালামগণ দোয়া করতে থাকেন। আরও বলেন, “তোমরা রমযান শরীফ উনার শেষ দশদিনে সবে কদর তালাশ করো।”

alihsan

রমযান শরীফ-এর শেষ দশকের যে কোন বেজোড় রাত্রিতে এ রাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ২৬ তারিখ দিবাগত রাতেই হবে এমন কোন কথা নয়; তবে অধিকাংশ মোফাস্সীরে কিরামগণ উনাদের মতে এ রাতে হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। আর রমযান শরীফ উনার শেষ দশকে ইতেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযান শরীফ উনার শেষ দশদিন ইতেকাফ করতেন। যে কোন লোক ইতেকাফে মশগুল থাকলে শবে কদর যে রাতেই হোক না কেন তার নসীবে হবেই এতে কোন সন্দেহ নেই। বিশেষ করে এ রাতের এত মর্যাদা হওয়ার কারণ এ রাতেই পবিত্র কুরআন শরীফ অবতীর্ণ হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন। “ইন্না আনযালনাহু ফী লাইলাতিম মোবারাকাহ।” অর্থাৎ “আমি উহাকে (কুরআন শরীফ) এক বরকতময় রাত্রিতে নাযিল করেছি।” উক্ত আয়াত শরীফ-এ ‘লাইলাতুম মোবারাকাহ’ বলতে ‘লাইলাতুম্মন নেছফে শা’বান’ বা শবে বরাতকে বুঝানো হয়। উহাকে ফয়সালার রাত্রিও বলা হয়ে থাকে। মূলত এ রাতেই পবিত্র আল কুরআন নাযিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেননা, এ রাতেই মানুষের জন্ম-মৃত্যু ও রিযিক বৃদ্ধি ইত্যাদির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আর তা কার্যকর হয় শবে কদর থেকে। সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেল শবে বরাতে আল কুরআন অবতীর্ণ করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তা শবে কদরে ‘লওহে মাহ্ফুজ’ থেকে ‘বাইতুল ইজ্জতে’ স্থানান্তর হয়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তেইশ বছর নবুয়তী জীবনে চাহিদানুযায়ী ক্রমান্বয়ে নাযিল হয়েছে।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আফদ্বলুন নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং সম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস আফদ্বলুন নিসা, মালিকাতুল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাম উনাদের সম্মানিত যবান মুবারক-এ পাঠকৃত দু’খানা ‘সম্মানিত না’ত শরীফ’ উনাদের বঙ্গানুবাদ

সাইয়্যিদে ঈদে আযম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন উপলক্ষে মাহফিল করা, সাধ্যমত খরচ করা ফরযে আইন এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম নেক আমল

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যুগে যুগে বিরুদ্ধাচরণ এবং তার নির্মম পরিণতি

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন নুরুম্ মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা জান্নাতী হওয়ার বিষয়ে কাফির ও উলামায়ে ‘সূ’দের বক্তব্যের জাওয়াব

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “মানবীয় দূর্বলতামুক্ত ছিলেননা, তাই তিনি মানবিক দূর্বলতার বশিভূত হয়ে গুনাহ করেছেন” নাউযুবিল্লাহ, নাঊযুবিল্লাহ, নাঊযুবিল্লাহ! বদ মাযহাব, বদ আক্বীদা ও বাতিল ফিরক্বার লোকদের এ বক্তব্য কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত