সম্পাদকীয়

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা যিনি মহান আল্লাহ পাক, উনার জন্য। যিনি একটি গুপ্ত ধনভান্ডার ছিলেন। উনার আসমা ও ছিফাতের বিকাশ স্থল, মাখলুকাতের মূল- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার প্রতি অসংখ্য দুরূদ ও সালাম। উনার আগমনের দিন হিসেবে, ‘বারই রবীউল আউয়াল শরীফ’, কুল মাখলুকাতে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত ও সমাদৃত। মুসলিম জাহানে যে দিনটি ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রূপে হয় উদ্যাপিত।

সাইয়্যিদুল আইয়াদ, পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার ঈদ কেবল বারই রবীউল আউয়াল শরীফ-এ সীমাবদ্ধ নয়। মুসলমানদের অন্য দু’টি ঈদ- ‘ঈদুল ফিত্র’ ও ‘ঈদুল আযহা’ নির্দিষ্ট দিনে গন্ডিভুক্ত থাকলেও, ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ‘ঈদ’ তথা খুশি প্রকাশের কেবল শুরুই রয়েছে। কিন্তু তার স্থিতি অনন্তকালের জন্য। সে খুশি প্রকাশ মহান আল্লাহ পাক, উনার কাছে অত্যন্ত মকবুল আমলরূপে গৃহীত।

মূলত পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদ্যাপনের ঘনঘটা, ব্যাপকতা, প্রাচুর্যতা এমনকি দায়সারা মানসিকতা উম্মত হিসেবে হাবীবে দো’জাঁহা রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার প্রতি আমাদের অন্তরের টানের তথা মহব্বতের মাপকাঠির সূচক নির্দেশ করে।

যদিও কম সমঝ, কম আক্বলধারী একটি মহল দুরভিসন্ধিমূলকভাবে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের প্রতি বিষোদগার করে থাকে।

তারা বলে, ‘বিলাদত শরীফ পালন খ্রিস্টানদের ‘ক্রিসমাস ডে’ এবং হিন্দুদের ‘জন্মাষ্টমী’ পালনের শামিল।’ নাঊযুবিল্লাহ!

সত্যিকার অর্থে তাদের একথাটি আদৌ শুদ্ধ নয় বরং অজ্ঞতামূলক।

কারণ জন্ম, মৃত্যু, বিয়েসহ কিছু মৌলিক বিষয়াদি আছে যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবারই মানবিক অনুভূতি।

জন্ম বা বিয়েতে আনন্দ এবং মৃত্যুতে শোক প্রকাশের অনুভূতিকে রুদ্ধ করা সৃষ্টির শানবিরোধী বা স্বভাববিরোধী কাজ। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘ইসলাম ফিতরাতের ধর্ম বা স্বাভাবিকতার ধর্ম।’

উল্লেখ্য, যারা বলছে যে, খ্রিস্টানদের থেকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ধারা এসেছে তাদের আদৌ কোন দলীল নেই। বরং ধর্ম প্রবর্তকের জন্মদিন পালন প্রত্যেক ধর্মেরই স্ব-স্ব বৈশিষ্ট্য। এক্ষেত্রে মূলত জন্মদিন উদ্যাপনে নিষেধাজ্ঞা নয় বরং উদ্যাপনের পদ্ধতিটি ইসলামী হয় কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।

Organized religions, such as Christianity, Islam and Hinduism celebrate the birth dates of their founders (Encyclopedia Americana)

খ্রিস্টানরা এবং হিন্দুরাও তাদের ধর্ম প্রবর্তকের নামে জন্মদিন পালন করে এজন্য ইসলামে করা যাবে না”- এ কথার উদাহরণটা হচ্ছে এরকম যে, খ্রিস্টান ও হিন্দু ধর্মে বাবা-মার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালনের কথা আছে। সুতরাং মুসলমান হতে হলে বাবা-মার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য বাদ দিতে হবে। নাঊযুবিল্লাহ!

উল্লেখ্য, রেনেসাঁর যুগে খ্রিস্টানদের একটি মহল বরং ক্রিসমাস পালন করাকে অধর্মীয় মনে করত এবং এ অনুভূতির কারণে ১৬০০ সালে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার কিছু অংশে তা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়ে যায়।

During The Reformation Many Christians began to consider christmas anon religious customs> During the 1600’s. because of these reelings. Christmas was ourlawed in England and in parts of the British colonies in America. (The world Book Encyclopeadia-3)

পাশাপাশি Encyclopeadia Britannica তে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এভাবে, Mawlid, also spelled MAWLUD of MILAD in islam especially the birthday of the prophet MUHAMMAD (Mawlid an-Nabi) লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে যে, বিশ্বব্যাপী চালু খ্রিস্টানদের এই বৃহৎ রেফারেন্স বইয়ে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে যে, পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফকেই বোঝায়। অথবা মীলাদ বলতে বিলাদত সম্পর্কিত আলোচনাকেই বোঝায়। মীলাদ শরীফ যে বরং খ্রিস্টানদের বিরোধী প্রথা সে সম্পর্কেও খ্রিস্টানদের ঐ বইয়েই লেখা রয়েছে, The Mawlid indeed betrayed a Chiristian influence.

উল্লেখ্য, এসব দুনিয়াবী দলীলের বাইরে খোদ কুরআন শরীফেই নবী আলাইহিমুস্ সালামগণের আগমন দিন বা বিলাদত শরীফ-এর দিন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, æউনার প্রতি সালাম (রহ্মত, বরকত ও সাকিনা) যেদিন তিনি আগমন করেন এবং যেদিন তিনি বেছাল শরীফ বরণ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।” (সূরা মরিয়ম-১৫)

æসালাম (রহ্মত, বরকত ও সাকিনা) আমার প্রতি যেদিন আমি আগমন করেছি, যেদিন বেছাল শরীফ লাভ করবো ও যেদিন পুনরুত্থিত হবো।” (সূরা মরিয়ম-৩৩)

বর্ণিত আয়াত শরীফদ্বয়ে হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস্ সালাম ও হযরত ঈসা আলাইহিস্ সালাম উনাদের আগমন, বেছাল শরীফ ও পুনঃরুত্থান প্রত্যেকটাই সালাম, রহ্মত, বরকত ও সাকিনার কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

যদি তাই হয়, তাহলে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহ্মতুল্লিল আ’লামীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ পাক কিছুই সৃষ্টি করতেন না; উনার বিলাদত শরীফ, বিছাল শরীফ ও পুনরুত্থান শরীফ যে কতটুকু ছলাত, সালাম, রহ্মত, বরকত ও সাকিনার কারণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

উল্লেখ্য, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও নিজের বিলাদত শরীফ-এর দিনকে মূল্যায়ন করেছেন। তিনি নিজেও নিজের বিলাদত শরীফ-এর উপর খুশি হয়ে পরিণত বয়সে নিজের আক্বীকা নিজেই দিয়েছেন। এবং ইরশাদ করেছেন, তোমরা সোমবার রোজা রাখ। কারণ, ঐদিন আমার বিলাদত শরীফ হয়েছে।” (মুসলিম শরীফ)

মত রয়েছে যে, বাদশাহ মালিক মোজাফ্ফর মীলাদ শরীফ-এর প্রবর্তক। আসলে তিনি এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। মূল প্রচারক ও পুনঃপ্রবর্তক ছিলেন শায়খ হযরত ওমর ইবনে মোল্লা মুহম্মদ মাওসেলী রহমতুল্লাহি আলাইহি। অপরদিকে মালেক বাদশাহ ছিলেন মিশরের প্রখ্যাত সুলতান গাজী সালাহউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহির আহলিয়া-এর ভাই। যিনি ছিলেন নেককার, আল্লাহওয়ালা। মীলাদ বিরোধীরা তাঁকে অন্যায়ভাবে ফাসিক বানিয়েছে। অথচ ঐতিহাসিক সত্য যে, সপ্তম শতাব্দীতে কুখ্যাত জালিম গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের পৃষ্ঠপোষকতায় কুরআন শরীফ-এ হরকতযুক্ত করা হয়। আর আজকের ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা মীলাদ বিরোধীরাও জাহিল হাজ্জাজের হরকত দেয়া কুরআন শরীফই পড়ে যাচ্ছে। যদিও যুদ্ধের ময়দান ছাড়াই হাজ্জাজ অন্যায়ভাবে এক লাখ বিশ হাজার লোককে হত্যা করেছে।

অতএব, যারা নেক্কার হওয়া সত্ত্বেও মালিক মোজাফ্ফর বাদশাহ্র প্রবর্তিত মীলাদ শরীফকে অস্বীকার করতে চায় তাহলে কুরআন শরীফ-এ মহা জালিম হাজ্জাজের দেয়া হরকত তারা গ্রহণ করে কিভাবে? হাজ্জাজের করা হরকত গ্রহণ করেই তারা নিজেরা ইল্ম শিখছে এবং তাদের ছাত্রদেরকেও দরস্ দিচ্ছে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী তাহলে মীলাদ শরীফ-এর আগে কুরআন শরীফ-এর হরকতকেই বাদ দিতে হবে।

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘উত্তম কথা তা, যা সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক ও গভীর অর্থবোধক।’ (কানযুল উম্মাল)

আল্লাহ পাক-এর শুকরিয়া যে, বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এই হাদীছ শরীফ-এর মিছদাক। আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে তিনি বলেন, মূলত খালিক-মালিক রব্বুল আলামীন, আল্লাহ পাক, উনার পর যার স্থান তিনিই ফখরে আওয়ালীন ওয়াল আখিরীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি শুধু আল্লাহ পাক নন। এছাড়া আল্লাহ পাক, উনার যত ফাযায়িল-ফযীলত মর্যাদা, মর্তবা, শান-মান রয়েছে সব কিছুরই অধিকারী সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘তোমাদেরকে যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে তা তোমরা আলোচনা কর, প্রকাশ কর।’ (সূরা দোহা-১১)

এ আয়াত শরীফ-এ উল্লিখিত সবচাইতে বড় নিয়ামত হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কারণ, কায়িনাত যদি উনাকে না পেত তাহলে আল্লাহ পাক উনাকেও পেত না।

প্রসঙ্গত, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ পাক দেন আর আমি বন্টন করে থাকি। (মিশকাত শরীফ)

কিন্তু আল্লাহ পাক দিলে বান্দা পাবে কোথা থেকে? হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার মাধ্যম ব্যতীত। কাজেই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার বর্ণনা দিয়েই আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করতে হবে।

স্মর্তব্য, যে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার প্রশংসা করতে পারবে না, সে আল্লাহ পাক, উনারও প্রশংসা করতে পারবে না। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার মুহব্বতের হক্ব যে আদায় করতে পারবে না, সে আল্লাহ পাক, উনার মুহব্বতের হক্বও আদায় করতে পারবে না।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে উনারই সুমহান মর্যাদা  আদর্শের কথা দীপ্তমান করে তোলা এবং সে আলোকে চলার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করার অমোঘ দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, আলিম সম্প্রদায়ের উপর। যারা উনার ওয়ারিছ হিসেবে বিবেচ্য। কিন্তু যামানার এই আখেরে, এ ক্ষেত্রে অনেকেই যে অনুপযুক্ত ও অবাঞ্ছিত হবে, সে সম্পর্কে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার ভবিষ্যদ্বাণী বিশেষভাবে  স্মরণীয়।

হযরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বর্ণনায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ক্বিয়ামত আসবে না, যতদিন না এমন এক শ্রেণীর লোক বের হবে, যারা বাছবিচারহীনভাবে কথা বিক্রি করে জীবন ধারণ করবে। যেমন গরুগুলো বাছ-বিচার না করে যা পায়, তাই খেয়ে জীবন ধারণ করে। অর্থাৎ এরা হচ্ছে চতুষ্পদ জন্তু বা তার চেয়েও অধিকতর হীন পর্যায়ের।

আর সঙ্গত কারণেই আমরা বলতে পারি যে, আজকে যেসব আলিম দাবীদার ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরুদ্ধে বলে, ছবি তোলে, হারাম গণতন্ত্র করে, সুদ তথা জি.পি ফান্ড জায়িয বলে, তারা সবই এর আওতাভুক্ত। তাই তাদের হিদায়েত কামনা করি এবং তা তাদের নছীবে না থেকে থাকলে তাদের নিস্তানুবাদিতা কামনা করি।

পাশাপাশি মনে রাখা কর্তব্য, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার সাথে সার্বক্ষণিক রূহানী সংযোগ সমৃদ্ধ ও উনার মহান সুন্নত দ্বারা সুশোভিত মুজাদ্দিদে আ’যম, উনার নেক ছোহবতের মাধ্যমেই আমাদের পক্ষে পাওয়া সম্ভব হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার জাত ও সিফত সম্পর্কিত ইলম ও ফিকির, উনার হাক্বীক্বত সম্পর্কিত মারিফাত এবং উনার পূর্ণ অনুসরণ ও সুন্নত পালনের কুওওয়াত। সাইয়্যিদুল আইয়াদ, পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সেসব নিয়ামত হাছিলই হোক আমাদের অন্তরের আরজু। (আমীন)  

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়