সম্পাদকীয়

সংখ্যা: ১৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক-এর জন্য। যিনি একটি গুপ্ত ধনভা-ার ছিলেন। তাঁর আসমা ও ছিফাতের বিকাশ স্থল, মাখলুকাতের মূল- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি অসংখ্য দুরূদ ও সালাম। যাঁর আগমনের দিন হিসেবে, ‘বারই রবীউল আউয়াল শরীফ’, কুল মাখলুকাতে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত ও সমাদৃত। মুসলিম জাহানে যে দিনটি ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রূপে হয় উদ্যাপিত।

ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঈদ কেবল বারই রবীউল আউয়ালে সীমাবদ্ধ নয়। মুসলমানদের অন্য দু’টি ঈদ- ‘ঈদুল ফিত্র’ ও ‘ঈদুল আযহা’ নির্দিষ্ট দিনে গ-িভুক্ত থাকলেও, ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ‘ঈদ’ তথা খুশি প্রকাশের কেবল শুরুই রয়েছে। কিন্তু তার স্থিতি অনন্তকালের জন্য। সে খুশি প্রকাশ মহান আল্লাহ পাক-এর কাছে অত্যন্ত মকবুল আমলরূপে গৃহীত।

মূলতঃ ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদ্যাপনের ঘনঘটা, ব্যাপকতা, প্রাচুর্যতা এমনকি দায়সারা মানসিকতা উম্মত হিসেবে সরদারে দো’জাঁহা রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি আমাদের অন্তরের টানের তথা মহব্বতের মাপকাঠির সূচক নির্দেশ করে।  যদিও কম সমঝ, কম আক্বলধারী একটি মহল দুরভিসন্ধিমূলকভাবে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের প্রতি বিষোদগার করে থাকে।

তারা বলে, বিলাদত শরীফ পালন খ্রিস্টানদের ‘ক্রিসমাস ডে’ এবং হিন্দুদের ‘জন্মাষ্টমী’ পালনের শামিল। সত্যিকার অর্থে কথাটি আদৌ শুদ্ধ নয় বরং অজ্ঞতামূলক। কারণ জন্ম-মৃত্যু বিয়েসহ কিছু মৌলিক বিষয়াদি আছে যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবারই মানবিক অনুভূতি। জন্ম বা বিয়েতে আনন্দ এবং মৃত্যুতে শোক প্রকাশের অনুভূতিকে রুদ্ধ করা সৃষ্টির শানবিরোধী বা স্বভাববিরোধী কাজ। হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, ‘ইসলাম ফিতরাতের ধর্ম বা স্বাভাবিকতার ধর্ম।’

উল্লেখ্য যারা বলছে যে, খ্রিস্টানদের থেকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ধারা এসেছে তাদের আদৌ কোন দলীল নেই। বরং ধর্ম প্রবর্তকের জন্মদিন পালন প্রত্যেক ধর্মেরই স্ব-স্ব বৈশিষ্ট্য। এক্ষেত্রে মূলতঃ  জন্মদিন উদ্যাপনে নিষেধাজ্ঞা নয় বরং উদ্যাপনের পদ্ধতিটি ইসলামী হয় কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।

Organized religions, such as Christianity, Islam and Hinduism celebrate the birth dates of their founders (Encyclopedia Americana)

 “ খ্রিস্টানরা এবং হিন্দুরাও তাদের ধর্ম প্রবর্তকের নামে জন্মদিন পালন করে এজন্য ইসলামে করা যাবে না”- এ কথার উদাহরণটা হচ্ছে এরকম যে, খ্রিস্টান ও হিন্দু ধর্মে বাবা-মার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালনের কথা আছে। সুতরাং মুসলমান হতে হলে বাবা-মার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য বাদ দিতে হবে।

উল্লেখ্য, রেনেসাঁর যুগে খ্রিস্টানদের একটি মহল বরং ক্রিসমাস পালন করাকে অধর্মীয় মনে করত এবং এ অনুভূতির কারণে ১৬০০ সালে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার কিছু অংশে তা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়ে যায়।

During The Reformation Many Christians began to consider christmas anon religious customs> During the 1600’s. because of these reelings. Christmas was ourlawed in England and in parts of the British colonies in America. (The world Book Encyclopeadia-3)

পাশাপাশি Encyclopeadia Britannica তে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এভাবে, Mawlid, also spelled MAWLUD of MILAD in islam especially the birthday of the prophet Muhammad (Mawlid an-Nabi)

লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে, বিশ্বব্যাপী চালু খ্রিস্টানদের এই বৃহৎ রেফারেন্স বইয়ে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে যে, ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফকেই বোঝায়। অথবা মীলাদ বলতে বিলাদত সম্পর্কিত আলোচনাকেই বোঝায়। মীলাদ শরীফ যে বরং খ্রিস্টানদের বিরোধী প্রথা সে সম্পর্কেও খ্রিস্টানদের ঐ বইয়েই লেখা রয়েছে, The Mawlid indeed betrayed a Chiristian influence.

উল্লেখ্য এসব দুনিয়াবী দলীলের বাইরে খোদ কুরআন শরীফেই নবী আলাইহিমুস্ সালামগণের আগমন দিন বা বিলাদত শরীফের দিন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, “তাঁর প্রতি সালাম (রহ্মত, বরকত ও সাকিনা) যেদিন তিনি আগমন করেন এবং যেদিন তিনি বেছাল শরীফ বরণ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।” (সূরা মরিয়ম-১৫) “সালাম (রহ্মত, বরকত ও সাকিনা) আমার প্রতি যেদিন আমি আগমন করেছি, যেদিন বেছাল লাভ করবো ও যেদিন পুনরুত্থিত হবো।” (সূরা মরিয়ম-৩৩) বর্ণিত আয়াত শরীফদ্বয়ে হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস্ সালাম ও হযরত ঈসা আলাইহিস্ সালাম-এর আগমন, বেছাল শরীফ ও পুনঃরুত্থান প্রত্যেকটাই সালাম, রহ্মত, বরকত ও সাকিনার কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

যদি তাই হয়, তাহলে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহ্মতুল্লিল আ’লামীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যাঁকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ পাক কিছুই সৃষ্টি করতেন না; তাঁর আগমন বিদায় ও পুনরুত্থান যে কতটুকু ছলাত, সালাম, রহ্মত, বরকত ও সাকিনার কারণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

উল্লেখ্য, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও নিজের বিলাদত শরীফের দিনকে মূল্যায়ন করেছেন। তিনি নিজেও নিজের বিলাদত শরীফের উপর খুশি হয়ে পরিণত বয়সে নিজের আক্বীকা নিজেই দিয়েছেন। এবং ইরশাদ করেছেন, “তোমরা সোমবার রোজা রাখ। কারণ, ঐদিন আমার বিলাদত শরীফ হয়েছে।” (মুসলিম শরীফ)

মত রয়েছে যে, বাদশাহ মালিক মোজাফ্ফর মীলাদ শরীফের প্রবর্তক। আসলে তিনি এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। মূল প্রচারক ও পুনঃপ্রবর্তক ছিলেন শায়খ হযরত ওমর ইবনে মোল্লা মুহম্মদ মাওসেলী রহমতুল্লাহি আলাইহি। অপরদিকে মালেক বাদশাহ ছিলেন মিশরের প্রখ্যাত সুলতান গাজী সালাহউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহির আহলিয়া-এর ভাই। যিনি ছিলেন নেককার, আল্লাহওয়ালা। মীলাদ বিরোধীরা তাঁকে অন্যায়ভাবে ফাসিক বানিয়েছেন। অথচ ঐতিহাসিক সত্য যে, সপ্তম শতাব্দীতে কুখ্যাত জালিম গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের পৃষ্ঠপোষকতায় কুরআন শরীফে হরকতযুক্ত করা হয়। আর আজকের ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা মীলাদ বিরোধীরাও জাহিল হাজ্জাজের হরকত দেয়া কুরআন শরীফই পড়ে যাচ্ছে। যদিও যুদ্ধের ময়দান ছাড়াই হাজ্জাজ অন্যায়ভাবে এক লাখ বিশ হাজার লোককে হত্যা করেছে।

অতএব, যারা নেক্কার হওয়া সত্ত্বেও মালিক মোজাফ্ফর বাদশাহ্র প্রবর্তিত মীলাদ শরীফকে অস্বীকার করতে চায় তাহলে কুরআন শরীফ-এ মহা জালিম হাজ্জাজের দেয়া হরকত তারা গ্রহণ করে কিভাবে? হাজ্জাজের করা হরকত গ্রহণ করেই তারা নিজেরা ইল্ম শিখছেন এবং তাদের ছাত্রদেরকেও দরস্ দিচ্ছেন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী তাহলে মীলাদের আগে কুরআন শরীফের হরকতকেই বাদ দিতে হবে।

একটি পরীক্ষিত সত্য এই যে, সব আউলিয়ায়ে কিরাম, অনুসরণীয় মুহাক্কিক আলিম তথা আশিক্বে রসূলগণ সবাই মিলাদ শরীফকে উচ্ছ্বসিতভাবে গ্রহণ করেছেন। আর ওহাবী, খারেজী, দেওবন্দী, জামায়াতী, বিদয়াতী ও দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী আলিম তথা উলামায়ে ‘ছূ’রাই মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়ামের বিরোধিতা করে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ওহাবী, সালাফী, খারিজী, দেওবন্দী, মওদুদী, লা-মাযহাবী, কাদিয়ানী, বাহাই, শিয়া ইত্যাদি অনেক বাতিল ফিরক্বার ভারে দিশেহারা সাধারণ মুসলমানের হতাশ জিজ্ঞাসা হচ্ছে ‘ইসলামের নামে এত ফিরক্বা কেন?’ আসলে মানুষ যেমন জাহান্নামী হবে এবং জান্নাতী হবে এটা যেমন স্বতঃসিদ্ধ তেমনি ইসলামের নামে অনেক ফিরক্বা দল, মত-পথ হবে তাও অনিবার্য সত্য। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে বণী ইসরাইলে হয়েছে বাহাত্তর ফিরক্বা আর উম্মতে হাবীবীর মাঝে হবে তিয়াত্তর ফিরক্বা। তার মধ্যে কেবল একটিই হক্ব বা জান্নাতী আর বাকী সব জাহান্নামী।

মূলত ইসলামের নামে হাজারো দল, মত তথা ঐক্যজোট বা ফিরক্বা গ্রুপ এগুলো মুসলিম উম্মাহর জন্য চরম ফিৎনা স্বরূপ। আফযালুন নাস বাদাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন ‘অচিরেই বিভিন্ন ধরনের ফিৎনা দেখা দিবে। জেনে রাখ এর পর আরো বিভিন্ন ধরনের ফিৎনা দেখা দিবে। জেনে রাখ অতঃপর বিরাট ফিৎনা এসে হাজির হবে।’ (মিশকাত)

বর্তমান আখিরী যুগের ফিৎনা সম্পর্কে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “আখিরী যামানায় মানুষ সকালে ঈমানদার আর সন্ধ্যায় কাফির হবে। আবার সন্ধ্যায় ঈমানদার হবে কিন্তু সকালে কাফির হবে।” অর্থাৎ আখিরী যামানায় বেশরা-বিদয়াত বা বাতিল মতবাদের এত ব্যাপকতা থাকবে, এত গুমরাহির বিস্তৃতি থাকবে যে, মানুষের ইচ্ছায় অনিচ্ছায়, জ্ঞানে-অজ্ঞানে, মুহূর্তে-মুহূর্তে ঈমান হারাবে। এরপর হয়তোবা তার মধ্যে ইসলামী অনুভূতি আসবে কিন্তু পরে আবার কুফরী মত সমর্থন করে কাফির হয়ে যাবে। বলাবাহুল্য, এজন্য সর্বাংশে দায়ী বর্ণিত উলামায়ে ‘ছূ’রাই। যেমন তারা আজকে ছবি তোলা জায়িয করেছে। মাওসেতুং এর লংমার্চ, গান্ধীর হরতাল, খ্রিস্টান প্রোটেস্ট্যান্ট এর মৌলবাদ, ইহুদী নাছারার নির্বাচন করছে, বেপর্দা হচ্ছে। এমনকি তারা মসজিদেও হারাম মহিলা জামায়াত জায়িয করার পাশাপাশি নারী নেতৃত্বও জায়িয করছে। ফলতঃ নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুসলমানদের আবহমানকালের যে অসহনীয় দৃষ্টিভঙ্গি ছিল তাতে ধস নেমেছে। এই সুযোগটি ইহুদীগোষ্ঠী লুফে নিয়েছে। ডঃ আমিনা তথা কমিনা ইহুদী তথাকথিত নামাযে ইমামতি করে নতুন ফিৎনা তৈরি করেছে।

উল্লেখ্য ডঃ কমিনা ইসলামের দৃষ্টিতে শুধু মুরতাদ তাই নয় বরং সেও একজন নব্য কাদিয়ানী। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার পরে ৭০ জন অর্থাৎ বহুসংখ্যক ভ- নবীর আবির্ভাব হবে। মূলতঃ যারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শরীয়তের খেলাফ মনগড়া মত বা ফতওয়া জারি করে তারা কার্যত নিজেরাই নতুন নবী দাবি করে। অর্থাৎ তারাও হুবহু কাদিয়ানীদের সমপর্যায়। এক্ষেত্রে ডঃ কমিনার সাথে সাথে হাজারো হারামকে হালালকারী তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, মুফতী, মাওলানা, খতীব, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাস্সিরে কুরআন এরা সবাই নব্য কাদিয়ানীর পর্যায়ভুক্ত হয়।

হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, মানুষের অন্তরে ফিৎনাসমূহ এমনভাবে প্রকাশ করে, যেমন আঁশ একটির পর আরেকটি বিছানো হয়ে থাকে। এবং যেই অন্তরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তা প্রবেশ করে তাতে একটি কালো দাগ পড়ে। আর যে অন্তর তাকে স্থান দেয় না সেটাতে একটি সাদা দাগ পড়ে। ফলে মানুষের অন্তরসমূহ পৃথক পৃথক দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এক প্রকার অন্তর হয় মর্মর পাথরের ন্যায় শ্বেতশুভ্র, যাতে আসমান ও যমীন বহাল থাকা পর্যন্ত (অর্থাৎ ক্বিয়ামত পর্যন্ত) কোন ফিৎনাই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় প্রকার অন্তর হয় কয়লার মত কালো। উপুড় হওয়া পাত্রের ন্যায়, যাতে কিছুই ধারণ করার ক্ষমতা থাকে না। তা ভালকে ভাল জানার এবং মন্দকে মন্দ জানার ক্ষমতা রাখে না ফলে কেবলমাত্র তাই গ্রহণ করে যা তার প্রবৃত্তির চাহিদা হয়।” (মুসলিম)

উল্লেখ্য, ফিৎনার এ যুগে প্রবৃত্তির সংশোধন তথা রূহানী আমলের সাথে ইসলামী আমলে প্রবৃত্ত হওয়ার জন্য হামিলু লিওয়ায়িল হামদ্, হাবীবে আ’যম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে সার্বক্ষণিক রূহানী সংযোগ সমৃদ্ধ ও তাঁর মহান সুন্নত দ্বারা সুশোভিত মুকাম্মিলে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যমের নেক ছোহবতের বিকল্প নেই। সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আযম, ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সে মহান নিয়ামত নছীব করুন। (আমীন)

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়