পূর্ব প্রকাশিতের পর
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ফুঁক ও দুআ’য় বাতিলগোষ্ঠীদের কুফরী কালাম থেকে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সুস্থতা গ্রহণ
আপন স্বার্থ হাছিলের ক্ষেত্রে দলগত বিভাজন থাকলেও হক্ব বিনাশের অপপ্রয়াসে বাতিল ফিরকা গোষ্ঠীরা আক্বীদাগতভাবে অভিন্ন। বিধর্মীদের সেবা দাস এই বাতিল গোষ্ঠীরা সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার নতুন কাঠামো তৈরী করেছে। সম্মানিত শরীয়ত উনার নতুন ফর্মুলা তৈরী করেছে। তারা বেপর্দা, গণতন্ত্র, ছবি, টিভি, গানবাজনা, খেলাধূলা, হরতাল, লংমার্চ, পয়লা বৈশাখ পালন ইত্যাদি হারাম বিষয়গুলোকে জায়িয বলে। পক্ষান্তরে অন্তর ইছলাহ করার জন্য বাইয়াত হওয়াকে, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফভিত্তিক পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদ আ’যম আলাইহিস সালাম উনার যাবতীয় কার্যক্রমকে ওহাবী-খারিজিসহ যাবতীয় নাহক্ব পন্থীরা নাজায়িয, বিদয়াত ও হারাম বলে। নাউযুবিল্লাহ!
পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক কার্যক্রম এবং মুবারক কন্ঠরোধ না করতে পারলে সম্মানিত ইসলাম বিরোধী তাদের অন্যায় প্রভাব ও প্রতিপত্তি বহাল থাকে না। প্রেক্ষিত কারণে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার প্রকাশ্য ও নেপথ্য সার্বিক বিরোধিতায় তারা সদা তৎপর।
কাফির-মুশরিকদের সেবা দাস ধর্মব্যবসায়ী সর্বনিকৃষ্ট দুনিয়াদার আলিমসহ যেসব বাতিলগোষ্ঠী মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র আদেশ-নিষেধ অমান্য করে জাগতিক স্বার্থ হাছিলে নিজেদের ই”ছা ও মতামত যমীনে বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর, যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন শান-মান, অতুলনীয় মর্যাদা-মর্তবা এবং উনার বেমেছাল মাক্বাম উনাদের বিরোধিতা ও সমালোচনায় অনুক্ষণ ব্যাপৃত, তারা পঞ্চদশ হিজরী শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতায় এবং উনার সার্বিক ক্ষতিসাধনে নিরন্তর নিয়োজিত থাকার, এটিই স্বাভাবিক ও সঙ্গত। কারণ এরা সকলেই আবূ জাহিল, আবূ লাহাব, উতবা, শায়বা গং কাফিরগোষ্ঠীর অধস্তন সন্তান। এরা মুনাফিক উবাই বিন সুলুলের ভাবশিষ্য। এরা ইহুদী মুনাফিক ইবনে সাবা’র একনিষ্ঠ অনুসারী। নাউযূবিল্লাহ!
দীর্ঘদিন ধরে এই বাতিল গোষ্ঠীরা, দ্বীন-ইসলাম উনার শত্রুরা ওলীআল্লাহ, মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, উনাদের বিরোধিরা সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার সার্বিক ক্ষতিসাধনে, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। নেপথ্য কারসাজিতে ব্যাপৃত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় খারিজিরা, বাতিল গোষ্ঠীরা, ১৯৯৭ ঈসায়ী সনে উনার মুবারক কণ্ঠরোধ করার অপপ্রয়াস চালায় কুফরী কালামের মাধ্যমে। নাউযুবিল্লাহ।
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম। উনার দুর্বার তাজদীদ প্রকাশ ও প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হলো উনার মুবারক কণ্ঠস্বর। মক্ববুল মুনাজাত শরীফ উনার মাধ্যম হলো উনার মুবারক কণ্ঠস্বর। অমিয় হিদায়েত ও নছীহত ব্যক্ত ও প্রচারের মাধ্যম হলো উনার মুবারক কণ্ঠস্বর। বাতিল নিপাত করে হক্ব প্রকাশ ও প্রচারের অন্যতম মাধ্যমও হলো উনার মুবারক কণ্ঠস্বর। তাই উনার যবান মুবারক স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য বাতিলগোষ্ঠীদের এই জঘন্য অপপ্রয়াস। নাউযুবিল্লাহ! এতে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অসু¯’ হয়ে পড়েন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেও কাফির-মুশরিকরা যাদু-টোনা করেছে। উনাকে কষ্ট দিয়েছে। উনার প্রিয়তম আওলাদ, উনার আখাছছুল খাছ নায়িব, উনার মনোনীত মুজাদ্দিদে আ’যম, উনার ক্বায়িম মাক্বাম হলেন পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি। এ কারণে সম্মানিত দ্বীন- ইসলাম উনার অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়ার অপপ্রয়াসেই সুমহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার বিরুদ্ধে খারিজিদের কুফরী কালাম প্রয়োগ। নাউযুবিল্লাহ! (চলবে)
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি