আরবী দশম মাসটির নাম শাওওয়াল। এ মাসের পহেলা তারিখ অর্থাৎ প্রথম দিনটি ঈদুল ফিতর উনার দিন। ঈদুল ফিতর উনার রাত ও দিন উভয়টি অত্যধিক ফযীলত ও মর্যাদার। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার রাতে একদল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আসমান হতে যমীনে আগমন করে উচ্চস্বরে ঘোষণা করতে থাকেন, হে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয় বান্দাগণ! আপনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দির জন্য এক মাস রোযা রেখেছেন, বিনিময়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং আপনাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি জান্নাতে এমন সব বালাখানা তৈরি করে দিবেন, যা অন্য কারো পক্ষে লাভ করা সম্ভব হবে না। শুধুমাত্র যারা আপনাদের মতো নেক আমল করবেন উনারাই সেই মর্যাদা লাভে সক্ষম হবেন।” সুবহানাল্লাহ!
আর দিনটির ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঈদুল ফিতর উনার দিনে যখন মুছল্লীগণ ঈদের নামায আদায় করার জন্য ঈদগাহে জমায়েত হন তখন মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, “হে আমার বান্দাগণ! কেবলমাত্র আমারই রিযামন্দি মুবারক লাভের আশায় আপনারা এক মাস রোযা রেখেছেন এবং আজ আমার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের আশায় ঈদগাহে সমবেত হয়েছেন। কাজেই, আমি আজ আপনাদেরকে ক্ষমা করে দিলাম। যান, আপনারা আজ ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করুন।”
স্মরণীয় যে, উক্ত ফযীলতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ ও রহমতপূর্ণ খুশি প্রকাশের দিনটিতে বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন ওলীয়ে মাদারযাদ, লখতে জিগারে ও বিনতে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদাতুন নিসা, নাক্বীবাতুল উমাম হযরত শাহযাদী ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
এ মাসটি আরো যেসব কারণে ফযীলতপূর্ণ তা হচ্ছে-
৪ শাওওয়াল শরীফ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
৭ শাওওয়াল শরীফ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক উনার আ’দাদ শরীফ।
১২ শাওওয়াল শরীফ: পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ ১২ই শরীফ। এদিন কোটি কোটি কণ্ঠে মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয় ও পবিত্র তাবারুক বিতরণ করা হয়।
১৪ শাওওয়াল শরীফ: * সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু ছালিছাহ লি-ইমামিল আউওয়াল আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। * হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১৮ শাওওয়াল শরীফ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইবনে যিন নূর আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবস্থায় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ।
১৯ শাওওয়াল শরীফ: ছহিবু সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সাথে ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস।
২০ শাওওয়াল শরীফ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
২১ শাওওয়াল শরীফ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আক্বদ্ মুবারক এবং মহাসম্মানিত নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস। এ মহাসম্মানিত দিনকে “বিশ্ব বাল্যবিবাহ মুবারক দিবস” বলা হয়।
২২ শাওওয়াল শরীফ: * আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস।
* আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস।
২৪ শাওওয়াল শরীফ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস।
২৫ শাওওয়াল শরীফ: আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
মাহে রজব ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা
মাহে শা’বান ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা
সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ, সম্মানিত শা’বান শরীফ ও সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাস এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা