সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গওছুল আ’যম, মুজাদ্দিদুয যামান, ইমামুর রাসিখীন, সুলত্বানুল আরিফীন, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি (১১)

সংখ্যা: ২১৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

রিয়াজত-মাশাক্কাত:

মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মা’রিফাত-মুহব্বত, সন্তুষ্টি, রেযামন্দি, তায়াল্লুক, নিছবত হাছিলের ক্ষেত্রে রিয়াজত-মাশাক্কাতের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হচ্ছে, কোন কাজ করার নিয়ত এবং তদানুযায়ী কোশেশ (চেষ্টা) করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি সে কাজটি সুসম্পন্ন করার তৌফিক দেন, মদদ করেন। ফলে কাজটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য সহজ ও শান্তিদায়ক হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-

ويهدى اليه من ينيب

অর্থ: যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে রুজু হন তথা রিয়াজত-মাশাক্কাত করেন আল্লাহ পাক তাকে হিদায়েত বা সঠিক পথের সন্ধান দেন।” (সূরা শুরা : আয়াত শরীফ ১৩)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন-

والذين جاهدوا فينا لنهدينهم سبلنا

অর্থ: যারা আমার পথে তথা মা’রিফাত, মুহব্বত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি, তায়াল্লুক নিছবত লাভের জন্য মুজাহাদা তথা রিয়াজত-মাশাক্কাত করে আমি অবশ্যই অবশ্যই তাদেরকে আমার সেই পথের সন্ধান দিয়ে থাকি।” (সূরা আনকাবুত: আয়াত শরীফ ৬৯)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন-

وجاهدوا فى سبيله لعلكم تفلحون

অর্থ: তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় মুজাহাদা তথা রিয়াজত-মাশাক্কাত করো, অবশ্যই কামিয়াব হবে।” (সূরা মায়িদা : আয়াত শরীফ ৩৫)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন-

ان الله لا يغير ما بقوم حتى يغيروا ما بانفسهم

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না; যতক্ষণ না তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।” (সূরা রা’দ : আয়াত শরীফ ১১)

মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র বলেছেন-

وان ليس للانسان الا ما سعى

অর্থ: আর মানুষ যা চেষ্টা-কোশেশ করে তাই পায়।” (সূরা নজম : আয়াত শরীফ ৩৯)

তবে একথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত ব্যতীত কোন কিছুই সম্ভব নয়। কাজেই যারা মনে করে, শুধু চেষ্টা কোশেশ বা রিয়াজত-মাশাক্কাত দ্বারাই সব হাছিল হবে তারা কামিয়াবী লাভ করতে পারে না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যর্থতার গ্লানি বহন করতে থাকে। পক্ষান্তরে যারা ভাগ্যের উপর দোষারোপ করে রিয়াজত-মাশাক্কাত বা চেষ্টা-কোশেশ ছেড়ে দিয়ে উচ্চাকাঙ্খা করে তারাও জীবনের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না। খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, বাবুল ইলমে ওয়াল হিকাম, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি তাদের সম্পর্কে বলেন, æযারা বিনা পরিশ্রমে কামিয়াবীর শীর্ষ চূড়ায় পৌঁছার আশা করে তারা যেন অসম্ভবের পথে সারাটি জীবন ব্যয় করলো।”

কাজেই, মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত দ্বারা সবকিছুই হয়- এ বিশ্বাস দৃঢ়তার সাথে পোষণ করতঃ রিয়াজত-মাশাক্কাত তথা চেষ্টা-কোশেশ করা উচিত। কারণ উক্ত আক্বীদা পোষণ করতঃ রিয়াজত-মাশাক্কাত করলে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রহমত, ইহসান লাভ হবে। আর তখনই কামিয়াবীর শীর্ষ চূড়ায় উপনীত হওয়া সহজ ও সম্ভব হয়।

এই রহমত ও ইহসান রয়েছে নিজের শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার ছোহবতে, খিদমতে, তায়াল্লুক-নিসবতে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-

وان الله لـمع الـمحسنين

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি মুহসিন তথা ওলীআল্লাহগণ উনাদের সাথে রয়েছেন।” (সূরা আনকাবুত : আয়াত শরীফ ৬৯)

তিনি আরো বলেন-

ان رحمت الله قريب من الـمحسنين

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুহসিন তথা ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবতে রয়েছে।” (সূরা আ’রাফ : আয়াত শরীফ ৫৬)

সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউসুল আ’যম, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক জীবনীতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং অনাগত সকলের জন্য একটি উত্তম আদর্শ হিসেবে পরিগণিত। তিনি বাগদাদ শরীফ-এ ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করার পাশাপাশি ইলমে তাছাউফ হাছিলের জন্য শায়খুল মাশায়িখ হযরত আবূ সাঈদ মুবারক মাখযুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত হন। নিয়মিত ছোহবত ইখতিয়ার করেন। কামিয়াবীর শীর্ষ চূড়ায় পৌঁছার জন্য কঠিন রিয়াজত-মাশাক্কাতে লিপ্ত হন।

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-২৩৯

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৮৯

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৮৫ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৬৯

ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্বরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৭২