মুহম্মদ আনোয়ার হুসাইন, কচুয়া, চাঁদপুর
জাওয়াব: দ্বীন ইসলাম উনার নামে যারা গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলন করে তাদের এ আন্দোলনের জন্য পবিত্র যাকাত, ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান করলে তা আদায় হবে না এবং এজন্য প্রদানকারী কোন ছওয়াবও পাবে না। কারণ, যারা গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলন করে তাদের আন্দোলন ইসলামের বোল-বালা, প্রচার-প্রসার বা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয়; বরং তাদের আন্দোলন হচ্ছে গণতন্ত্র অর্থাৎ কুফরী মতবাদকেই প্রতিষ্ঠা করা। নাউজুবিল্লাহ!
অতএব, তাদের সে আন্দোলন জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ নয়। বরং তাদের সে আন্দোলন জিহাদ ফী সাবীলিশ শয়তান। নাউযুবিল্লাহ!
প্রকৃতপক্ষে তারা জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর নামে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের এ ধোঁকা থেকে সাবধান সতর্ক হওয়া উচিত।
প্রকাশ থাকে যে, গণতন্ত্রভিত্তিক যত তথাকথিত ইসলামী দল রয়েছে তারা গণতন্ত্র ও তার কার্যসমূহকে শুধু জায়িযই মনে করে না বরং তারা গণতন্ত্র এবং তার কার্যসমূহ যেমন ভোট দেয়া, নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া ইত্যাদিকে ফরয-ওয়াজিবও বলে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
কিন্তু শরীয়তের ফতওয়া হচ্ছে- কোন হারাম ও কুফরী বিষয়কে হালাল বা জায়িয মনে করা কুফরী। যেমন এ প্রসঙ্গে আক্বাঈদের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে-
استحلال الـمعصية كفر
অর্থ: কোন নাফরমানিমূলক বিষয়কে হালাল বা জায়িয মনে করা কুফরী। (শরহে আক্বাঈদে নাসাফী শরীফ)
অর্থাৎ শরীয়ত কর্তৃক সাব্যস্ত কোন হারাম ও কুফরী বিষয়কে কেউ যদি হালাল বা জায়িয মনে করে তবে সে কুফরী করলো। আর যারা কুফরী করে তারা মুরতাদ হয়ে যায়।
অতএব, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে গণতন্ত্র করা সম্পূর্ণ হারাম। এটাকে হালাল বা জায়িয মনে করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, যারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে গণতন্ত্র করে তারা কুফরী করে। আর যারা কুফরী করে তাদেরকে পবিত্র যাকাত, ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান করলে তা কস্মিনকালেও আদায় হবে না; বরং কবীরা গুনাহ ও কুফরী হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এ সম্পর্কে দলীল-আদিল্লাহসহ আরো বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত ৮৪ ও ৯০তম সংখ্যা পাঠ করুন।