মুহম্মদ ফজলে রাব্বী, চট্টগ্রাম
জাওয়াব: উক্ত বইয়ের উল্লিখিত বক্তব্যটি সম্পূর্ণরূপে ভুল ও দলীলবিহীন এবং স্ববিরোধী।
কারণ, আসমানী কিতাব মুবারক হচ্ছে ৪খানা। আর ছহীফা মুবারক হচ্ছে ১০০ খানা। মোট ১০৪খানা কিতাব মুবারক ও ছহীফা মুবারক মোট ৮ জনের উপর নাযিল হয়েছে।
তাহলে তাদের কথায় বুঝা যায় যে, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন ৮ জন। নাউযুবিল্লাহ!
অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে ৮ জন এরও বেশি হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের নাম মুবারক উল্লেখ আছে।
শুধু তাই নয়, উক্ত বইয়ের ৯ পৃষ্ঠায় উল্লিখিত বক্তব্যের পরপরই তারা লিখেছে, “তন্মধ্যে মাত্র ৩১৩ (তিনশত তের) জন ছিলেন ‘রসূল’।
তাদের এ বক্তব্য স্ববিরোধী নয় কি?
প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে ১০৪খানা কিতাব মুবারক ও ছহীফা মুবারক ৩১৩ জনের উপর কিভাবে নাযিল হলো?
মূলকথা হলো- উল্লিখিত বইয়ে ‘রসূল ও নবী’ উনাদের যে সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুল, মনগড়া ও দলীলবিহীন।
হযরত নবী-রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের সঠিক পরিচয় ও সংজ্ঞা হচ্ছে, যাঁদের নিকট সরাসরি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র ওহী মুবারক নিয়ে এসেছেন উনারাই ‘রসূল’। আর যাঁদের নিকট হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি সরাসরি পবিত্র ওহী মুবারক নিয়ে আসেননি উনারা হচ্ছেন নবী। এটা জানা অবশ্যই কর্তব্য যে, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম হওয়ার জন্য কিতাব নাযিল হওয়া শর্ত নয়। সে হিসেবে সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার ছহীহ মত হলো হযরত রসূল আলইহিমুস সালাম উনাদের সংখ্যা হচ্ছে ৩১৩ থেকে ৩১৫ জন। (দলীলসমূহ : উছূলুল কুরআন, তাফসীরে কবীর।)
অতএব, কর্তৃপক্ষের জন্য ফরয হচ্ছে অতিসত্তর উক্ত বইয়ের উক্ত বক্তব্য সংশোধন করে সঠিক বক্তব্য প্রকাশ করা।