মুহম্মদ মতিউর রহমান সদর, মুন্সীগঞ্জ
জাওয়াব : যারা সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বা চাকুরীজীবি তারাই এ টাকার মালিক। কেননা, এ টাকা তাদেরই বেতন-ভাতা থেকে কর্তিত জমা টাকা। তাদেরকে এককালীন সুবিধা দেয়ার জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ টাকা যখন প্রয়োজন তখনই তোলা না গেলেও এ টাকার মালিকানা কিন্তু বাদ যায় না। এ টাকার মালিক সে নিজেই থাকে। এটা অনেকটা (সুদমুক্ত) সেভিংস একাউন্টের মতো। সেভিংস একাউন্ট থেকে কারেন্ট বা চলতি একাউন্টের মতো যখন ইচ্ছা তখন টাকা উত্তোলন করা যায় না। নির্দিষ্ট সময়ে টাকা উত্তোলন করতে হয়। এর একটা উদাহরণ হলো, পাওনা টাকার মতো। পাওনাদারের কাছে টাকা পাওনা থাকা সত্ত্বেও, যখন তখন টাকা পাওয়া যায় না। তাই বলে কি পাওনা টাকার যাকাত দিতে হবে না? অবশ্যই পবিত্র যাকাত দিতে হবে। যদি নিছাব পূর্ণ হয় এবং বছর পুরা হয়। কাজেই, মালিকানা যেহেতু বাদ যায় না; বরং টাকা যেহেতু তারই থাকে সুতরাং এ টাকা নিছাব পরিমাণ হলে এবং এক বৎসর অতিবাহিত হলে তাকে অবশ্যই এর যাকাত দিতে হবে।