মুহম্মদ তারিকুল ইসলাম, নূরপুর
জাওয়াব: হ্যাঁ, পবিত্র যাকাত ও অন্যান্য দান ছদক্বা দেয়ার ব্যাপারে অবশ্যই সম্মানিত শরীয়ত উনার বিধান রয়েছে। স্মরণীয় এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
تعاونوا على البر والتقوى ولاتعاونوا على الاثم والعدوان واتقوا الله ان الله شديد العقاب.
অর্থ: তোমরা নেকী ও পরহেযগারীর মধ্যে পরস্পর পরস্পকে সাহায্য করো। আর পাপ ও শত্রুতা অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিরোধিতাকারী বা নাফরমানদেরকে সাহায্য করো না। এ বিষয়ে তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠোর শাস্তিদাতা। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২) অর্থাৎ ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের যাকাত, ফিৎরা ইত্যাদি দিলে ছওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ হবে।
যাদের আক্বীদা ও আমলের মধ্যে কুফরী রয়েছে অথবা যারা হারাম-নাজায়িয, বিদ‘য়াত-বেশরা’ কাজে মশগুল অথবা যারা নামায-কালাম পড়ে না, পর্দা-পুশিদায় চলেনা, গান-বাজনা করে, টিভি-সিনেমা দেখে, খেলাধুলা করে ইত্যাদি; অর্থাৎ যারা চরম ফাসিকী ও নাফরমানী কাজের সাথে জড়িত অথবা যেসব মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পর্দা নেই, যারা হারাম খেলাধুলায় লিপ্ত, যারা হারাম দল-মত ও আন্দোলনের সাথে জড়িত এদেরকে পবিত্র যাকাত, ফিতরা, কুরবানীর চামড়া ইত্যাদি ফরয, ওয়াজিব দান-ছদক্বা দেয়া মোটেই সম্মানিত শরীয়ত সম্মত নয়।
তাই যাকাতদাতাগণ যেনো সঠিক স্থানে উনাদের পবিত্র যাকাত, ফিতরা ইত্যাদি দান-ছদক্বা দিয়ে পরিপূর্ণ ফায়দা হাছিল করতে পারেন সেজন্যেই যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, মুজাদ্দিদ আ’যম, ইমামুল উমাম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ঢাকা রাজারবাগ শরীফ মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালক-বালিকা মাদরাসা ও ইয়াতীমখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ মাদরাসার অনেক শাখা রয়েছে সারাদেশব্যাপী। এ মাদরাসার ছাত্র ও ছাত্রীরা সম্মানিত সুন্নাত মুবারক পালন করার মাধ্যমে আল্লাহওয়ালা ও আল্লাহওয়ালী হচ্ছেন।