মুহম্মদ রূহুল কুদুস, বগুড়া, ডা. মুহম্মদ আওক্বাত আলী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
সুওয়াল : মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ১০ম খলীফা এবং খলীফাতুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ১১তম খলীফা এবং ‘আস সাফফাহ’ লক্বব মুবারক উনার অর্থ, ব্যাখা-বিশ্লেষণ ও মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনিই যে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা ‘হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম’ এবং উনার মুবারক উছীলায় যে, অবশ্যই অবশ্যই বর্তমান যামানায় সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হবে এ সম্পর্কে দলীল ভিত্তিক বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
জাওয়াব :
(পূর্ব প্রকাশিতের পর- ২৩)
‘সাইয়্যিদুল খুলাফা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি বাংলাদেশতো অবশ্যই; এমনকি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ।’ সুবহানাল্লাহ :
পঞ্চম প্রমাণ :
আর এই বিষয়টি আরো স্পষ্টভাবে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-
عَنْ حَضْرَتْ ثَوْبَانَ رَضِىَ الله تَعَالـی عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الله زَوٰى لِيَ الْأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا وَإِنَّ أُمَّتِىْ سَيَبْلُغُ مُلْكُهَا مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا
অর্থ: “বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি (আমার সম্মানিত উম্মত উনাদের সম্মানিত শান-মান মুবারক উনাদের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর জন্য) আমার সম্মুখে সারা কায়িনাত অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরলেন। অতঃপর আমি সারা কায়িনাত, উনার মধ্যে যা কিছু রয়েছে এবং উনার যত প্রান্তসমূহ রয়েছে সমস্ত কিছু দেখে নিলাম। (কোন কিছুই বাকী রইলো না।) আর নিশ্চয়ই আমাকে যেই পর্যন্ত দেখানো হয়েছে অতিশীঘ্রই আমার সম্মানিত উম্মত উনাদের সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক সেখানে যেয়ে পৌঁছবে।” (সুবহানাল্লাহ) (মুসলিম, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ ৫/২৭৮, ইবনে হিব্বান ১৫/১০৯, মুছান্নাফে আবী শায়বা ১১/৪৫৮, মুসনাদে রূয়ানী ১/১২০, আহকামুশ শরীয়াহ ১/২১৫, জামউল জাওয়ামি’, জামিউল আহাদীছ, ফাতহুল কাবীর, মাজমাউঝ ঝাওয়াইদ, জামিউল উছুল ইত্যাদি)
এই সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সম্মানিত ইলমে গইব মুবারক উনার অধিকারী; সেই বিষয়ে দলীল দেয়া হয়। (সুবহানাল্লাহ)
এই সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে-
وَاِنَّ اُمَّتِى سَيَبْلُغُ مُلْكُهَا مَا زُوِىَ لِىْ مِنْهَا
অর্থ: “আর নিশ্চয়ই আমাকে যেই পর্যন্ত দেখানো হয়েছে অতিশীঘ্রই আমার সম্মানিত উম্মত উনাদের সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক সেখানে যেয়ে পৌঁছবে।” সুবহানাল্লাহ!”
তাহলে অবশ্যই অবশ্যই যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যেই পর্যন্ত দেখানো হয়েছে, সেই পর্যন্ত যেয়ে উনার সম্মানিত উম্মত উনাদের সম্মানিত খিলাফাত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক পৌঁছবে। সুবহানাল্লাহ! কেউ যদি এখানে চূ-চেরা ক্বীল-ক্বাল করে তাহলে ঈমান থাকবে না। কেননা এখানে স্বয়ং যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্পষ্টভাবে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
وَاِنَّ اُمَّتِى سَيَبْلُغُ مُلْكُهَا مَا زُوِىَ لِىْ مِنْهَا
অর্থ: “আর নিশ্চয়ই আমাকে যেই পর্যন্ত দেখানো হয়েছে অতিশীঘ্রই আমার সম্মানিত উম্মত উনাদের সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক সেখানে যেয়ে পৌঁছবে।” সুবহানাল্লাহ!”
তাহলে এখন বলার বিষয় হচ্ছে, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কোন পর্যন্ত দেখানো হয়েছে? উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতের কোন কিছু দেখানো কি বাকী রয়েছে?
না। কস্মিনকালেও নয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত কায়িনাতের সমস্ত কিছু দেখিয়েছেন। কোন কিছু বাকী রাখেননি; সারা কায়িনাত সব সময় উনার সম্মুখেই রয়েছে। (সুবহানাল্লাহ)
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মতে কেউ যদি এই ব্যাপারে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে তাহলে সে ঈমানদার থাকতে পারবে না; বরং ঈমান হারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হয়ে যাবে। (না‘ঊযুবিল্লাহ)
এখন যেহেতু নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
وَاِنَّ اُمَّتِى سَيَبْلُغُ مُلْكُهَا مَا زُوِىَ لِىْ مِنْهَا
অর্থ: “আর নিশ্চয়ই আমাকে যেই পর্যন্ত দেখানো হয়েছে অতিশীঘ্রই আমার সম্মানিত উম্মত উনাদের সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক সেখানে যেয়ে পৌঁছবে।” সুবহানাল্লাহ!
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু উনার হাবীব যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত কায়িনাতের সমস্ত কিছু দেখিয়েছেন। কোন কিছু বাকী রাখেননি। (মূলত দায়িমীভাবে সব সময় সমগ্র কায়িনাত উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ উপস্থিত রয়েছে। তিনি সারা কায়িনাতের সমস্ত জায়গায় হাযির-নাযির। সুবহানাল্লাহ!) সুতরাং উনার সম্মানিত উম্মত উনাদের সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারকও সারা কায়িনাতব্যাপী পৌঁছবে; কোন কিছু বাকী থাকবে না। (সুবহানাল্লাহ)
আর একমাত্র যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতিত সমস্ত সৃষ্টি জগতই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ সাত আসমান, সাত যমীন, পাহাড়-পর্বত, সাগর, মরুভূমি, পৃথিবী, আরশ, কুর্সী, লওহ, কলম, সিদরাতুল মুনতাহা থেকে তাহতাছ ছারা পর্যন্ত যা কিছু রয়েছে, জিন, ফেরেশত, জান্নাত সমস্ত কিছুই যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!