সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-১১ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

সংখ্যা: ২৪০তম সংখ্যা | বিভাগ:

তিনি কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে পরওয়া করতেন না

যে সকল মহান ব্যক্তিত্ব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মা’রিফাত-মুহব্বত মুবারক, তাওয়াল্লুক-নিছবত মুবারক, নৈকট্য মুবারকের তালাশী বা আশাবাদী উনাদের তিরস্কার, ভয়ভীতি ইত্যাদির পরওয়া করা উচিত নয়। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নির্দেশ মুতাবিক একান্ত নিবিষ্ট মনে আপন পথে চলা কর্তব্য। আর এটাই মু’মিন-মু’মিনাগণের অন্যতম খুছূছিয়াত বা বৈশিষ্ট্য। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

يُجَاهِدُونَ فِى سَبِيلِ اللّهِ وَلاَ يَخَافُونَ لَوْمَةَ لآئِمٍ

অর্থ: “উনারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে পাওয়ার জন্য মুজাহাদা তথা চেষ্টা-কোশেশ করেন। আর কোনো তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত সন্ত্রস্ত হয় না।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৪)

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ হক্বদার, মিছদাক্ব ছিলেন। তিনি হযরত ইবরাহীম কান্দুজী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছ থেকে প্রাপ্ত বিশেষ নিয়ামত প্রাপ্তির পর পৈত্রিক সূত্রে যা পেয়ে ছিলেন তা বিক্রি করলেন। বিক্রয় লব্ধ টাকা গরীব, দুঃখীদেরকে বিতরণ করতঃ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তালাশে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়লেন।

এটা দেখে উনার একজন বাল্যবন্ধু বললেন, হে গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি এটা কি করলেন?

উত্তরে তিনি বললেন, দুনিয়ার বস্তু সাথে রেখে দুনিয়াদার বা দুনিয়ার আশিক্ব হয়ে থাকতে চাই না। আজ হতে সব ছেড়ে দিয়ে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জিম্মাদারীতে চলে গেলাম। সুবহানাল্লাহ!

বাল্যবন্ধু বললেন, তাহলেও তো আপনার একটি জিনিস চিন্তা করা উচিত ছিলো যে, আপনি পথ চলতে চলতে একটু পরেই যখন ক্ষুধার্ত হবেন তখন খাবার কেনার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হবে তখন কি করবেন? আপনিতো কোনকিছুই রাখলেন না। শেষ কপর্দটুকু পর্যন্ত দান করে দিলেন।

সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রথমে একটু ¯িœগ্ধ হাসি দিলেন। অতঃপর বললেন, আমার সাথে আসো। তিনি তাকে একটি গাছের নিকট নিয়ে গেলেন। বললেন, ভালো করে লক্ষ্য করে দেখো যে, এ বিরাট গাছটিকে বাঁচানোর জন্য এই ছোট্ট ছোট্ট শিকড়গুলো কিভাবে কাজ করছে। এ প্রকা- গাছটির প্রাণ হচ্ছে এ শিকড়। আবার এর পাতাগুলো তার প্রয়োজনীয় খাদ্যপ্রাণ যোগাড় করে তাকে দান করছে।

অতএব, তুমি প্রয়োজনে যে কোনো একটি ব্যবহার করে জীবনধারণ করতে পারো। আসল কথা হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক তিনিই আমার জন্য যথেষ্ট। উনার উপর তাওয়াক্কুল করলে তিনিই যথেষ্ট হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

أَلَيْسَ اللّهُ بِكَافٍ عَبْدَهُ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি কি উনার বান্দার জন্য যথেষ্ট নন।” (পবিত্র সূরা যুমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

وَمَن يَتَّقِ اللَهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَايَحْتَسِبُ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ

অর্থ: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে তিনি তাকে বের হওয়ার সমস্ত পথ প্রদর্শন করেন। আর এমন স্থান হতে তাকে রিযিক দান করেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর তাওয়াক্কুল করে মহান আল্লাহ পাক তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হন।” (পবিত্র সূরা ত্বলাক শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২, ৩)

বাল্যবন্ধুকে আরো কিছু নছীহত মুবারক করতঃ সামনে চলার পথে পা মুবারক বাড়ালেন।

ছাত্র জীবনের কিছু কৃতিত্ব:

তাদনিন্তন সময়ের শ্রেষ্ঠতম বিদ্যাপিঠ ছিল সমরকন্দ, বোখারা ও নিশাপুর। সুলতানুল আউলিয়া, কুতুবুল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুবারক ইলিম হাছিলের লক্ষে সেসকল স্থানসহ আরো অনেক এলাকা সফর করেন। তিনি নিশাপুর থেকে চলে গেলেন বোখারায়। তিনি জানতে পারলেন, বোখারায় সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বুযুর্গ ও স্বনামধন্য আলিম হযরত মাওলানা হিসামুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি উনার খিদমতে নিজের মনের আশা-আকাঙ্খা ব্যক্ত করলেন। তিনি গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইলিম হাছিলের আগ্রহ উদ্দীপনা দেখে অত্যন্ত খুশি হয়ে ছাত্র হিসেবে বরণ করে নিলেন।

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৯

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২০

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-২৩৫

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৮৫

হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি