সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-২ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

সংখ্যা: ২৩১তম সংখ্যা | বিভাগ:

পরিচিতি: সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সম্মানিত মাতা ও পিতা উভয় দিক থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বংশধর, আওলাদে রসূল। সপ্তম হিজরী শতকের সম্মানিত মহান মুজাদ্দিদ। সম্মানিত চিশতীয়া তরীক্বা উনার ইমাম। ভারত উপমহাদেশে বিলায়েত বা অলীত্ব প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উনার অনুমোদন প্রয়োজন। উনার উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রায় এক কোটি লোককে ঈমান দান করেছেন। বিছাল শরীফ গ্রহনের পর উনার কপাল মুবারকে সোনালী অক্ষরে কুদরতীভাবে লিখা ছিল

هذا حبيب الله مات فى حب الله

অর্থাৎ: ‘ইনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব বা পরম বন্ধু। আর তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে বিছাল শরীফ গ্রহন করেছেন।” (তাযকিরাতুল আউলিয়া) তিনি মহান আরশ মুবারক উনার অধিবাসী তথা সারাক্ষণ মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারকে ধন্য।

বিলাদত শরীফ: ৫৩৬ হিজরী, ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ, ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ, পারস্য তথা ইরানের সাঞ্জার নামক পূণ্য ভূমিতে তিনি বিলাদত শরীফ গ্রহন করেন। উনার সম্মানিতা মাতা সাইয়্যিদা হযরত উম্মুল ওয়ারাহ মাহে নূর রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহনের সময়ের অবস্থার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, রাতের অন্ধকার দূর হয়ে দিনের আলোক রশ্মি ধরার বুককে আস্তে আস্তে আলোকিত করতেছিল। আমি অনুভব করলাম আমার সন্তান যমীনে আসার সময় অতি নিকটে। যথারীতি আমি ফযরের নামায আদায় করতঃ শয্যা গ্রহণ করলাম। আর সাথে সাথে দেখতে পেলাম আমাদের মুবারক ঘরে তাশরীফ এনেছেন মহান আল্লাহ পাক উনার অনেক ওলী-বন্ধু। উনাদের অনেককেই আমি চিনি। আর অনেককে ইতিপূর্বে কখনো দেখিনি।

উনাদের আগমণকে ঘিরে আমার মনে অনেক প্রশ্নের উদয় হলো। এমন সময় হাতীব (মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম) আমার প্রশ্নের উত্তরে বললেন, হে সম্মানিতা মাতা! আপনার কোল মুবারকে যিনি তাশরীফ আনতে যাচ্ছেন তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব (পরম বন্ধু) রূপে সর্বত্র পরিচতি লাভ করবেন। কাজেই, উনাকে সালাম, অভিনন্দন ও মুবারকবাদ জানানোর জন্যই এই সব গাউছ, কুতুব, অলী, আবদাল ও দরবেশগণ উনাদের আগমন ঘটেছে। আর সাথে সাথেই সমস্বরে সবাই বলে উঠলেন, মারহাবা ইয়া কুতুবাল মাশায়িখ! মারহাবা ইয়া হাবীবাল্লাহ!! আমার তন্দ্রা কেটে গেল। দেখতে পেলাম ঘরের মধ্যে কোন লোকজন নেই। সবাই অদৃশ্য হয়ে গেছেন। আর আমার কাঙ্খিত আওলাদও দুনিয়াতে তাশরীফ মুবারক এনেছেন। উনার মুবারক ঠোঁটদ্বয় নড়ছে। তা দেখে আমি উনার মুখ মুবারকে কান লাগালাম। শুনতে পেলাম তিনি নফী-ইছবাত যিকির করছেন। সুবহানাল্লাহ! আমি উনাকে আমার মুবারক কোলে তুলে নিলাম। উনার সমস্ত শরীর মুবারক কস্তুরীর (মৃগনাভী) খুশবুতে ভরপুর হয়ে আছে। এমন দৃশ্য দেখে আমি বিস্ময়াবিভূত হয়ে পড়েছি। আমি কাউকে ডাকতে পারছিনা। আমার মুখ মুবারক দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না। আমি নীরব নিথর দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করছি। আর ভাবছি এটাও কি সম্ভব। সাথে সাথে মহান আল্লাহ পাক হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম উনার এ সমস্ত ঘটনার হিকমত বা রহস্য জানিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, আপনি ভাবছেন, সন্তান ভূমিষ্ট হওয়াকালীন ব্যাথা-বেদনা কোথায়? সন্তান ভূমিষ্টের পর নবজাতকের শরীরে যা থাকে তা কোথায়? আর নাড়িই বা কাটলো কে?

তবে শুনে রাখুন! আপনি যখন তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মনোনীত মহিমাময়ী সম্মানিতা মহিলা দ্বারা আপনার এসব কার্য সম্পন্ন করেছেন। পবিত্র হাউজে কাওসার হতে পানি এনে সে পানি দ্বারা গোসল দিয়ে আপনার সন্তানকে আপনার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। সাইয়্যিদা উম্মুল ওয়ারাহ রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি ইহা শুনে মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফে বার বার শুকরিয়া আদায় করতে লাগলেন। সুবহানাল্লাহ! (গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি পূর্ণাঙ্গ জীবনী-৪১)

সম্মানিতা মাতা উনার রেহেম শরীফে

থাকাকালীন অবস্থা মুবারক:

হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিতা মাতা সাইয়্যিদাহ উম্মুল ওয়ারাহ রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি বলেন, আমার প্রথম দুজন মুবারক পুত্র সন্তান বিলাদত শরীফ গ্রহনের পর আমরা আহাল ও আহলিয়া উভয়েই তৃতীয় সন্তানের প্রয়োজন অনুভব করতে থাকি। আমার যাওজুল মুকাররাম আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদ গিয়াসুদ্দীন হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একজন উচ্চ পর্যায়ের আলিম ও ওলীআল্লাহ ছিলেন। যে দিনটিতে আমার তৃতীয় আওলাদ হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক অস্তিত্ব আমার রেহেম শরীফে আগমন ঘটে সে দিনটি ছিলো ইয়াওমুল খমীস বা বৃহস্পতিবার রাত। আমার যাওজুল মুকাররাম প্রতি রাতের মত এ রাতেও পবিত্র ইশার নামায আদায় করে ওযীফা শরীফ ও পবিত্র যিকিরে মশগুল হলেন এবং রাতের তৃতীয় প্রহরে তিনি তাহাজ্জুদ নামায আদায় করলেন। আমিও উনার পাশে থেকেই একইভাবে পবিত্র নামায, ওযীফা শরীফ ও পবিত্র যিকির শেষ করে বিছানা মুবারকে এসে পবিত্র ফজরের নামাযের সময় হওয়ার অপেক্ষা করছি।

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুজ্জামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৬৪

 ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলার্দু রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুজ্জামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৬৪

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-৪০

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৯০

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৮৬ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)