সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৫৫ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

সংখ্যা: ২৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

কারামত মুবারক -২

একবার সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সফরে ছিলেন। বনের মধ্য দিয়ে পথ চলছিলেন। পথের পাশে দেখতে পেলেন যে, একদল লোক অগ্নিকুন্ড প্রজ্বলিত করে তার পূজায় বিভোর রয়েছে। তারা ঐ অগ্নিপূজায় এমনই মশগুল ছিলো যে, খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত ভুলে গিয়েছিলো। বেশিরভাগ অগ্নিপূজারীর দুনিয়ার কোন খোঁজখবরই ছিলো না। সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন এদের কর্মকান্ড প্রত্যক্ষ করলেন, তখন বারে বারেই উনার মনে একটি কথাই ভেসে আসছিল যে, মহান আল্লাহ পাক উনার এসব বান্দা তাদের সঠিক পথ ত্যাগ করে কিভাবে বিভ্রান্ত পথ ধরে নিজেদের জীবনকে নষ্ট করছে। তিনি উনার সফর বিরতি দিয়ে তাদের নিকট প্রশ্ন করলেন, “হে বিভ্রান্ত দল! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ছেড়ে আগুনের পূজা কেন করছো? তারা বললো, “আগুনকে আমরা এজন্য পূজা করছি যে, দোযখের আগুন আমাদেরকে গ্রাস করবেনা।” নাউযুবিল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “এ পদ্ধতির মাধ্যমে দোযখ থেকে নাজাত পাওয়া যাবে না। তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত কর। তাহলে দোযখ থেকে নাজাত পাবে।” তিনি আরো বললেন, “তোমরা তো বহুদিন যাবৎ এ আগুনের পূজা করছো এখন এ আগুনের একটা টুকরা হাতে নিয়ে দেখতো এ আগুন তোমাদেরকে জ্বালায় কিনা? যদি জ্বালায় তাহলে বুঝবে তোমাদের এতোদিনের পূজা ও তপস্যা সব বিফল হয়েছে। আর না জ্বালালে বুঝবে তোমরা সঠিক আছ। সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একথা শুনে তাদের পুরোহিত বা দলপতি বললো যে, “এটা তো একটা হাস্যকর কথা যে, আগুন হাতে নিলে হাত জ্বলবেনা। কেননা, আগুনের ধর্মই হচ্ছে জ্বালানো।

তাহলে আপনি কি এ কথা বলতে চান যে, যারা মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করেন তারা আগুনে জ্বলবে না? সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নিশ্চয়ই তাই।” তখন পুরোহিত বললো, “আমি কি করে বিশ্বাস করবো যে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারীকে আগুন জ্বালাতে পারবেনা? আপনি যদি জ্বলন্ত আগুন হাতে নিয়ে দেখাতে পারেন যে আপনার হাত না জ্বলে অক্ষত রয়েছে তাহলে আপনার কথা বিশ্বাস করবো। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জজবার সাথে বললেন, “আমি মুঈনুদ্দীন  কেন, মুঈনুদ্দীনের জুতাকেও আগুন জ্বালাবার ক্ষমতা রাখেনা।” এ কথা বলে তিনি উনার পবিত্র না’লাইন শরীফ বা জুতা মুবারককে জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করে বললেন, “হে আগুন! এ জুতা যদি মহান আল্লাহ পাক উনার মকবুল বান্দার (মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য লাভকারী বান্দা) হয়ে থাকে তাহলে তুমি এ জুতার হিফাযত এভাবে কর যেন এর মধ্যে সামান্যতম আঁচও না লাগে। সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এ বাক্য শ্রবণ করার সাথে আগুন নিভে গিয়ে ঠা-া হয়ে গেলো এবং জুতা অক্ষত অবস্থায় বের হয়ে এলো। এ কারামত দেখে অগ্নী উপাসকের দলপতি তার লোকজনসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করে মুসলমান হয়ে গেলো এবং সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাত মুবারকে হাত রেখে তরীকা মুবারকের উপর বাইয়াত গ্রহণ করলো। সুবহানাল্লাহ!

পরবর্তী জীবনে উনারা সবাই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নৈকট্যশীল বান্দা ও উম্মতে পরিণত হয়েছিলেন।

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছুফিয়ে বাতিন, ছাহিবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয যামান উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৫

একজন কুতুবুয যামান উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৬ -মুহম্মদ সাদী

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৭

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম  উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-২৩৮

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৮৮