সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৫২ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

সংখ্যা: ২৮২তম সংখ্যা | বিভাগ:

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নির্দেশে শাদী মুবারক সুসম্পন্ন

 

সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বয়স মুবারক তখন ৯০ বছর। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার খিদমত মুবারকে আঞ্জাম দেয়ার কাজে নিবেদিত। যার ফলে তখনও শাদী মুবারক করার সুযোগ হয়নি। তাছাড়া তিনি তো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারক ব্যতীত কোন কাজ করেন না।

একদিন একটি মুবারক স্বপ্ন মুবারক দেখতে পেলেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন, মুঈনুদ্দীন! সত্যি আপনি আমার সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সাহায্যকারী। সম্মানিত দ্বীন উনার ধারক বাহক। (সুবহানাল্লাহ!) আপনি আমার বিলুপ্ত প্রায় সমস্ত সুন্নত মুবারক উনার যিন্দাকারী। সুবহানাল্লাহ! আপনি আমার সকল সুন্নত মুবারকই পালন করেছেন বটে। কিন্তু এখনো একটি সুন্নত মুবারক আদায় করা বাকী রয়েছে।

ঘুম ভেঙ্গে গেল। তিনি জাগ্রত হয়ে চিন্তা করতে লাগলেন, কোন সেই সুন্নত মুবারক আদায় করা এখনো বাকী রয়েছে? চিন্তা-ফিকিরের এক পর্যায়ে পবিত্র মানসপটে ভেসে আসলো, নব্বই বছর বয়স মুবারক হয়েছে। বিবাহ করা হয়নি। নিকাহ বা বিবাহ করা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সুন্নত মুবারক। এই মুবারক স্বপ্ন দেখার পর তিনি পর পর দুইটি শাদী বা বিবাহ মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, যে রাতে সুলত্বানুল হিন্দ কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি স্বপ্নযোগে শাদী বা বিবাহ মুবারক করার নির্দেশ মুবারক পেলেন। পরের দিনই কুদরতীভাবে উনার নিকট কনে এসে হাজির হলেন। সুবহানাল্লাহ!

সুতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রথম আহলিয়া ছিলেন একজন রাজকন্যা।

দাড়গরের রাজা, সূফী সাধকগণের প্রভাব-প্রতিপত্তি মেনে নিতে পারেনি। তাই তো সে মাঝে মধ্যে মুসলমানগণের উপর চোরা গুপতা হত্যা চালায়। মুসলমানগণের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ক্ষতি সাধন করে। দাড়গরের পাশে ছিল মুসলমানগণের সেনা ছাউনী। সেই সেনা ছাউনীর প্রধান ছিলেন মালিক খত্তাব হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি। সঙ্গত কারণেই উনার নেতৃত্বে  দাড়গড়ের রাজার বিরুদ্ধে একটি জিহাদ পরিচালিত হয়। সেই যুদ্ধে দাড়গড়ের রাজা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায়। অনেক ধনসম্পদ মুসলমানগণের হস্তগত হয়। সেই সাথে রাজার অনন্যা ও খুব ছুরত কন্যাও বন্দী হয়।

মালিক খত্তাব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশিষ্ট মুরীদ ও আশিক। তিনি উক্ত রাজ কন্যাকে সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফে হাজির করলেন। বললেন যে, হুযূর!  বেয়াদবী ক্ষমা চাই। ইনি দাড়গড়ের রাজার কন্যা। আমার সেনাপতি উনাকে বন্দী করে আমার হাতে সোপর্দ করেছেন। আমি আপনার মুবারক খিদমতের জন্য আপনাকে হাদিয়া পেশ  করছি। মেহেরবানী করে কবুল করতঃ গোলামরূপে বাধিত  করবেন।

এ দিকে সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র ও নূরানী চেহারা মুবারক দেখে রাজকন্যা বিস্ময়ে আভিভূত হন। তাছাড়া সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একপলকের দৃষ্টিতে রাজকন্যার অন্তরের সকল মলিনতা ও আবিলতা দূরীভুত হয়ে দুনিয়ার মোহ হতে মুক্তি লাভ করলেন।

সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, মালিক! উনাকে বন্দিত্ব জীবন থেকে মুক্তি দান করুন। উনি নিজ ঘরে ফিরে গিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহন করুন।

রাজকন্যা বললেন, হুযূর! বেয়াদবী ক্ষমা চাই আমি আর স্বদেশে ফিরে যাবো না। আমি আজীবন হুযূর মহোদয় উনার খিদমত মুবারকে জীবন উৎসর্গ করবো।

সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি রাজকন্যার আদব-ইহতিরাম, আক্বল-সমঝ, বুদ্ধিমত্তা ও ইস্তিক্বামত বা দৃঢ়তা দেখে অত্যন্ত খুশী হলেন। অসংখ্য ছূফীগণের উপস্থিতিতে শাদী মুবারক সুসম্পন্ন হলো। তিনি উনাকে আমাতুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহা তথা মহান আল্লাহ পাক উনার খাদিমা নামে নামকরণ করলেন। সুবহানাল্লাহ!

সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দ্বিতীয় আহলিয়া বা স্ত্রীর নাম মুবারক ইসমাতুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহা তথা মহান আল্লাহ পাক উনার নিস্কলুস বান্দী। সুবহানাল্লাহ!

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-২৩৯

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৮৯

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৮৫ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৬৯

ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্বরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৭২