সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-২৩ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

সংখ্যা: ২৫২তম সংখ্যা | বিভাগ:

তিনি সম্মানিত হানাফী মাযহাবের মুকাল্লিদ বা অনুসারী, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত

সম্মানিত চার মাযহাব উনাদের মুকাল্লিদ বা অনুসারীগণকেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত বলা হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতই হচ্ছেন নাজী তথা নাজাতপ্রাপ্ত দল। উনারাই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত ছাহাবায়ে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মাসলাকের উপর প্রতিষ্ঠিত। উনাদের আদর্শে আদর্শিত। আক্বীদা-বিশ্বাসে বিশ্বাসী। এছাড়া বাকী সবাই বাতিল ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত, জাহান্নামী দল। ওহাবী, খারিজী, রাফিজী, তাবলীগী, জামায়াতী, লা-মাযহাবী প্রমুখ সকলেই বিদয়াত ও বাতিল ৭২ ফিরক্বার আক্বীদা-বিশ্বাসে বিশ্বাসী এবং তার প্রচার-প্রসারকারী।

সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি নাজাতপ্রাপ্ত দল তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, যুগে যুগে যত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এসেছেন এবং আসবেন উনারা সকলেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং থাকবেন। কেননা বাতিল ৭২ ফিরক্বার লোকদের ঈমানের মধ্যে খলল বা ত্রুটি আছে। আর যাদের সম্মানিত ঈমানের মধ্যে খলল রয়েছে, ঈমান-আক্বীদাই যাদের বিশুদ্ধ নয় তারা কখনো মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বন্ধু হতে পারে না। শত্রু কখনো বন্ধু হতে পারে না?  কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

والذين امنوا وكانوا يتقون

অর্থ: “যাঁরা খালিছ ঈমানদার এবং তাক্বওয়া বা পরহেযগারীতা ইখতিয়ার বা অবলম্বন করেন উনারাই ওলীআল্লাহ।”

তথা কথিত আহলে হাদীছ বা লা-মাযহাবী, ওহাবী, খারিজী, বিদয়াতীরা ওলীআল্লাহগণ উনাদের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। নাউযুবিল্লাহ! উপরোন্তু ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত মুবারকে যাওয়া, উনাদের তা’লীম-তরবিয়ত গ্রহণ করা, খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়া, তা’যীম-তাকরীম করাকে নাজায়িয ও কুফরী, শিরকী মনে করে এবং তা জোড়ালোভাবে প্রচার করে। নাউযুবিল্লাহ!

সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিশ্বখ্যাত ও সমাদৃত সম্মানিত হানাফী মাযহাবের মুকাল্লিদ তথা অনুসারী ছিলেন। ইমামুল মুহাদ্দিসীন, ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা ইমাম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার তাকলীদ বা অনুসরণ করতেন। এ ব্যাপারে উনার খিদমত মুবারকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হানাফী মাযহাবই হচ্ছে সর্বোত্তম মাযহাব। সুবহানাল্লাহ! (হযরত গরীবে নেওয়াজ পূর্ণাঙ্গ জীবনী-৭৯)

মাযহাব (مذهب) অর্থ: চলার পথ, পন্থা, পদ্ধতি, নিয়ম-কানুন, রীতি-নীতি। যে নিয়ম-নীতি, পন্ধা-পদ্ধতি পালন করলে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আদেশ নিষেধসমূহ  ভালোভাবে জানা ও পালন করত: মা’রিফাত-মুহব্বত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি হাছিল করা যায় তাকে (مذهب) বলে। মাযহাব চারটি।

হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী, হাম্বলী এই চারটি মাযহাবের উপর ইজমায়ে আযীমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর একথাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, চারটি মাযহাবকে হক্ব বা সঠিক জানতে হবে। সাথে সাথে যে কোন একটিকে অনুসরণ করতে তথা উনাদের আদর্শে আদর্শিত হতে হবে; যা ফরযে আইন।

মাযহাব না মানা গোমরাহী বা পথভ্রষ্টতা। প্রকারান্তরে কুফরীতেও পৌঁছার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। মাযহাব পরিবর্তন করাও জায়িয নেই। বাবা-মা, তথা পূর্ব পুরুষগণ যে মাযহাবে রয়েছেন উত্তরসূরীদেরকে তারই অনুসরণ করতে হবে। এক মাযহাবের লোক অন্য মাযহাব উনার অনুসরণ করা জায়িয নেই। এ ব্যাপারেও উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

يا ايها الذين امنوا اطيعوا الله واطيعوا الرسول واولى الامر منكم

অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার ইতায়াত (অনুসরণ-অনুকরণ করো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত করো। আর উলিল আমর তথা ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের অনুসরণ করো। (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৯)

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-২৩৯

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৮৯

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৮৫ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৬৯

ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্বরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৭২